নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনীর পরশুরাম সহকারি জজ আদালতের পেশকার সাইফ উদ্দিন ও পিয়ন কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবীর অভিযোগে মামলা হয়েছে। দাগনভূঞা উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর এএসএম নুর নবী দুলাল বাদি হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
নুর নবী দুলাল এজাহারে উল্লেখ করেন, “সাইফ ও কামাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবত কোর্টের ভিতরে ঘুষ, দুর্নীতি ও নানা অপকর্মের মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের দৌরাত্ম্য এমনপর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে উকিল-মুহুরী পর্যন্ত তাদের সামনে অসহায় বলে মনে হয়। তারা এজলাসের ভিতবে প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহন করে এবং বিচার প্রার্থীদের হুমকি দিয়ে টাকা আদার করে। পরশুরাম সহকারী জজ আদালতের ৩৮/১৪নং দেওয়ানী মামলার ৫নং বিবাদী হওয়ায় গত ২ বছর যাবৎ বিভিন্ন তারিখে প্রতিপক্ষের উকিল বিবাদীকে জেরা করে আসছিলেন। প্রত্যেক তারিখেই জেরা শেষে বিবাদীর স্বাক্ষর দেওয়ার সময় পেশকার-পিয়নকে ঘুষ দিতে হয়। বিনাকারণে হলেও এটা অনেকটা ব্যধ্যতামূলক। প্রায় ২ বছর যাবৎ এভাবে টাকা দিয়ে আসতে হয়েছে অসহায়ভাবে অনেকটা জিম্মি অবস্থায়। বর্তমানে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সমগ্র জাতি যখন ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার তখনও কোর্টের এই পেশকার-পিয়নরা দ্রোদন্ড প্রতাপে তাদের ঘুষ-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি আরো জানান, গত ৭ অক্টোবর ৩৮/১৪ নং মামলার জেরা শেষে আমার স্বাক্ষর দেওয়ার পর ২নং আসামী সাইফুর উদ্দিনের নির্দেশে ১নং আসামী কামাল উদ্দিন আমার নিকট টাকা দাবি করলে আমি টাকা দিতে অস্বীকার করি এবং টাকা কেন দিতে হবে কারণ জানতে চাই। ১নং আসামী আমাকে সন্ত্রাসী কায়দায় বলেন, যতদিন মামলা চলবে ততদিন টাকা দিতে হবে। আামি তার কথার প্রতিবাদ করি এবং শেষ পর্যন্তও টাকা প্রদানে অস্বীকার করি। এই সময় ১নং ও ২নং স্বাক্ষীসহ এজলাসে অন্যান্য উকিল ও মক্কেলগন উপস্থিত ছিলেন। প্রকাশ্য আদালতে ঘুষ দাবি করার ঘটনায় যথাযথ তদন্তপূর্বক বিচার দাবী করেন নুর নবী দুলাল।