নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী শহরের চেয়ে গ্রামে গ্রামে বিদ্যুতের লোডশেডিং যন্ত্রণা বেড়েই চলেছে। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের জীবনমান অসহনীয় হয়ে পড়েছে। একদিকে বিদ্যুত সংকট অন্যদিকে তীব্র তাপদাহে শিশু-বৃদ্ধ সহ সববয়সী মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। পল্লী বিদ্যুতের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ থেকে সহসা পরিত্রাণ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে চাহিদার তুলনায় কম সরবরাহ পাওয়ায় গ্রাম এলাকাগুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা গেছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ যন্ত্রণা বাড়তে থাকে। রাতে আরও বেশি কষ্ট। এক ঘন্টা বিদ্যুত থাকলে আবার দেড় থেকে দুই ঘন্টা বিদ্যুত থাকছেনা। দিনে গড়ে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে গেছে। জেলার ৬ উপজেলার ৫ পৌরসভা ও ৪৩টি ইউনিয়নে বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে ৭৫ থেকে ৮০ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হচ্ছে।
দাগনভূঞা জোনাল অফিসের ডিজিএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, দাগনভূঞা উপজেলায় গত বুধবারের চাহিদা ছিল ৩০ মেগাওয়াট। কিন্তু বরাদ্দ ছিল ৯ মেগাওয়াট। যার জন্য দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং করতে হচ্ছে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাতুভূঞা ইউনিয়নের মমারিজপুর এলাকায় বিদ্যুৎ ছিলো মাত্র সাড়ে তিন ঘন্টার মত পৌরসভা এলাকায় তেমন লোডশেডিং নেই। বিভিন্ন গ্রামে ২৪ ঘন্টায় গড়ে ১৬-১৮ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে।
ফেনী পল্লী বিদ্যুত সমিতির এজিএম (অপারেশন) আকাশ কুসুম বড়ুয়া জানান, রুটিন মেনেই লোডশেডিং করা হচ্ছে। তাপদাহ কমে গেলে লোডশেডিং এর মাত্রাও কমে যাবে।