নিজস্ব প্রতিনিধি :
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফেনী শহরের রাজাঝির দীঘি দখলমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। তিনি বলেন, এই দীঘি ফেনী শহরের সৌন্দর্যবর্ধণ করে। দোকান বসার কারণে এই দীঘির সৌন্দর্য নেই। একসপ্তাহ সময় দিয়ে তাদের সম্পূর্ণ অপসারণ করতে হবে। তারা যেহেতু অবৈধ তাদের নোটিশ দেয়ার প্রয়োজন নেই। উচ্ছেদের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরবর্তীতে বিদ্যুত বিভাগের এক শ্রেণির অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজসে পুনরায় সংযোগ দেয়া হয়। বিদ্যুতের এসব কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেয়া হয়।
রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান। সভায় সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, ৪ বিজিবির অধিনায়ক লে; কর্ণেল আবদুর রহিম, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, সিভিল সার্জন ডা: রফিক উস ছালেহীন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আজগর আলীর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিমল কান্তি পাল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ইউসুফ আলী, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী সলিম উল্যাহ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদার, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম, ফেনী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও স্টার লাইন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন, সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম নবী, শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি শুকদেব নাথ তপন, ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি যতন মজুমদার, চ্যানেল ২৪ প্রতিনিধি দিলদার হোসেন স্বপন প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, রেজিষ্ট্রেশন বিহীন অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সা মাসিক ৫শ টাকা টোকেন দিয়ে চলাচল করছে। টোকেন বাণিজ্য বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। শহরের বিভিন্ন মার্কেট, বিপনীবিতান সহ বহুতল ভবনে পার্কিং স্পট বানিজ্যিকভাবে ভাড়া দেয়া হয়। এসব ভবনে দ্রুতসময়ের মধ্যে দোকানপাট ভেঙ্গে পার্কিং স্পট তৈরি করতে নির্দেশনা দেয়া হয়।
সভায় সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানী প্রসঙ্গ আলোচিত হয়। রাত্রিকালীন সময়ে একাধিক শিক্ষক মাদরাসায় অবস্থান না করতে নির্দেশনার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া আত্মহত্যা রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলিং, খেলাধুলার জন্য মাঠ তৈরি, সাংস্কৃতিক চর্চা সহ সামাজিক ও সচেতনতামূলক কর্মকান্ডের প্রতি জোর দেয়া হয়। একইভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের তাগিদের কথা জানানো হয়। অন্যদিকে বাজারের লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনে জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারী ও নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।
আসন্ন দূর্গাপূজায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ঠেকাতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কঠোর মনিটরিংয়ের কথা সভায় উল্লেখ করা হয়।