নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক ওরফে লোহা মালেকের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী রবিবার নানা আয়োজনে পালন হয়েছে। সকালে শহরের মধুপুর এলাকায় পৈত্রিক বাড়ির সামনে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ বরেণ্য এই রাজনীতিকের কবর জিয়ারত ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিকালে পৌরসভার লিবার্টি সুপার মার্কেটের দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দপ্তর সম্পাদক এ.কে শহীদ উল্যাহ খোন্দকারের পরিচালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পিপি হাফেজ আহম্মদ। শেষে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন ফেনী কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সাইফুল্লাহ। কর্মসূচীতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের দলীয় নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
১৯৮৪ সালের ২৮ আগস্ট শহরের তৎকালীন পাঁচগাছিয়া রোডের (শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক) বাসভবনে ৬০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ফেনীর রাজা খ্যাত এমএলএ খাজা আহম্মদের সাহচর্যেই রাজনীতি শুরু করেন ব্যবসায়ী ও সংগঠক আবদুল মালেক। জীবদ্দশায় শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং তৎসময়ের অন্যতম ক্রীড়া সংগঠন প্লাস ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। খাজা আহম্মদ যখন মহকুমা আওয়ামীলীগ তার নেতৃত্বাধীন কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন আবদুল মালেক। খাজা আহম্মদের মৃত্যুর পর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন আবদুল মালেক। তার প্রতিষ্ঠিত ট্রাংক রোডের মেসার্স আবদুল মালেক নামের দোকান থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হত।
১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতের বিলোনীয়া মডেল হাই স্কুলে বিলোনীয়া ইয়ুথ রিসিপশন ক্যাম্পের চীফ ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার হন। এরপর প্রায় দুই বছর কারাবরণ শেষে বেকসুর খালাস পান। মধুপুর এলাকার পন্ডিত বাড়ির এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা মধুপুর প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক হাজী আলী আহম্মদ। তিনি ২ ছেলে ও ৫ মেয়ের জনক। দুই ছেলে আবদুল কাইয়ুম পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও ছোট ছেলে আবদুল মোতালেব জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটির সদস্য।