নিজস্ব প্রতিনিধি :
শিক্ষিকা-ছাত্রী কেলেংকারি, নানা অনিয়ম-দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি সহ অসংখ্য ঘটনায় ফেনী আলীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসানের পদত্যাগ দাবীতে দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার পাল্টাপাল্টি হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে পুলিশ আটক করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে আওয়ামীলীগের পতনের পর বিতর্কিত অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসানের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করে আসছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল ১১টার দিকে কিছু শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করতে মাদরাসা মাঠে জড়ো হয়। তখন শ্রেণিকক্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা মাঠে না নামতে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয় অধ্যক্ষের অনুসারীরা। একপর্যায়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ফাজিল (অনার্স) আল হাদীস বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ রুপমের মাথা ফেটে যায়। এছাড়া আলিম ফল প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদের আঙ্গুলের একাংশ কেটে পড়ে। অপর আহতদের মধ্যে ফাজিল তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল হাসান, ফাজিল আল কুরআন বিভাগের ১ম বর্ষের ফরহাদ হোসেন, মাসুদ রানা, আলিম দ্বিতীয় বর্ষের আবদুল্লাহ আল নোমান, আরাফাত, মিনহাজ, দশম শ্রেণির আবু বকর ফাহাদ, ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী হাসান উল বান্নার নাম জানা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফাজিল ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সিয়াম ও ইসমাইল হোসেন জয় নামে একজনকে আটক করে।
এদিকে উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্বীন মোহাম্মদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ মারমা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাদরাসায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তারা মাদরাসার শিক্ষক ও উভয়পক্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। উদ্বুত পরিস্থিতিতে সব পক্ষকে তিনি শান্ত থাকার আহবান জানান।
আহত তানভীর আহমেদ রুপম জানান, মাহমুদুল হাসানের নির্দেশনায় তার ছেলে মাদরাসার শিক্ষক জুনাইদ আল মাহমুদের উপস্থিতিতে ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থী চোরা ও লাঠি নিয়ে সাধারণ ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। এতে আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জন ছাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ মারমা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ছাত্ররা আহতের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।