নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ১২ জন ছাত্রকে শনাক্ত করেছে তদন্ত কমিটি। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সুপারিশ করা হয়েছে। বুধবার ইনস্টিটিউট অধ্যক্ষ প্রকৌশলী প্রদীপ্ত খিসার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
তদন্ত কমিটির একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, গত ১ মার্চ বুধবার দুপুরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় ইনস্টিটিউট শাখা সভাপতি মিশু সহ ৯ জন আহত হয়। ওই ঘটনায় ২০ মার্চ দ্বিতীয় মেয়াদে গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনার দিনের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষন, প্রত্যক্ষদর্শী ও একাধিক শিক্ষার্থী সহ অন্তত ১৫ জনের বক্তব্য সংগ্রহ করে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ১২ শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করে। এর প্রেক্ষিতে গতকাল তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
সূত্র আরো জানায়, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে প্রতিষ্ঠানের উপযুক্ত স্থানে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, জুনিয়র-সিনিয়র দ্বন্ধ নিরসনে বিভাগীয় প্রধানগণ কর্তৃক নিয়মিত কাউন্সিলিং, ছাত্রদের উচ্ছৃঙ্খলতার প্রমাণ পাওয়ার সাথে সাথে অভিভাবকদের বিষয়টি অবহিত করা হলে এ ধরনের ঘটনা রোধ করা যেতে পারে মর্মে সুপারিশ করা হয়।
কমিটিতে আহবায়ক পাওয়ার ডিপার্টমেন্টের চীফ ইনস্ট্রাক্টর ও এআইডিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইখলাস উদ্দিন এবং সদস্য সচিব ভারপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তা রফিক আহমদ নেতৃত্বে অপরাপর সদস্যগণ হলেন সাহাব উদ্দিন ছাত্রাবাসের সুপার ও মেকানিক্যাল বিভাগের চীফ ইনস্ট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও শাহীন ছাত্রাবাসের সুপার জিএম তাজ উদ্দিন, কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল। ইনস্টিটিউট অধ্যক্ষ প্রকৌশলী প্রদীপ্ত খিসা প্রতিবেদন প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত; এর আগে এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ৬ নেতাকে ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। সেদিন ছাত্রলীগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সংগঠনের শৃঙ্খলা, নীতি-আদর্শ কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তাদের ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা হলেন- সহ-সভাপতি আনোয়ারুল আজিম আরাফাত, সহ-সভাপতি নিলয় মজুমদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আল মাহমুদ রুতাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক মনোয়ার, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার চৌধুরী প্রিয়ম, দপ্তর সম্পাদক মো: দ্বীন মোহাম্মদ।