নাজমুল হক :
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১ দফা দাবির মুল কারণ সাবেক প্রধান বিচারপতি খাইরুল হক সুপ্রিম কোটকে ব্যবহার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাবস্থা সংবিধান থেকে উচ্ছেদ করা। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের জন্য জনমত বা গণভোট গ্রহণ করে নাই। ১৬ কোটি মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে ভোটারবিহীন একদলীয় এবং প্রধান বিরোধী দল বিহীন নিবাচন করে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকার লাভ করে। প্রতিবেশী ভারতের সহযোগিতায় বাংলঅদেশকে ভারতের বাজারে পরিনত করেছে। বাঙালি জাতী চিরকালই বিদ্রোহী জাতি, কোনো কালেই দিল্লীর পরাধীনতা, ব্রিটিশদের দালালী এবং পরাধীনতাকে বেশি দিন মেনে নেয়নি। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ থেকে স্বাধীন পাকিস্তান রাস্ট্রে বাংলা ভাষার অপমান মেনে নেয়নি, ১৯৫২ মাতৃভাষা আন্দোলনে রফিক সালাম বরকতের রক্তাক্ত ভাষা শহীদ হয়েছে। তাদের শহীদ স্মৃতি বহন করছে শহীদ মিনার।
১৯৬৯ সালে আসাদ হত্যাকাণ্ড এবং ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিদায় নিয়েছে ১০ বছরের স্বৈরাচারী শাসক জেনারেল আইউব খান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে পাকিস্তানের শোষণ নিপীড়ন গণহত্যা এবং বংগবন্ধুর গ্রেফতার এবং ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জেনারেল জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য ঝাপিয়ে পড়েছে বাংগালী জাতিী। ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদারদের পরাজয় ঘটে এবং এবং বাঙালি জাতী বিজয় অর্জন করে। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানে জেনারেল এরশাদের পতন ঘটে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাবস্থা সংবিধানে সংযোজন করা হয় এবং নিয়মতান্ত্রিক গণতিান্ত্রিক সরকারের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৬ সালের ভারতীয় আধিপত্যবাদী আমলাদের জনতার মঞ্চ স্বাধীন দেশে পরাধীনতার বীজ বোপন করে। ২০০৭ সালে ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে লগি বৈঠার তান্ডব এবং প্রকাশ্যেই নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, হত্যাকারীদের বিচার হয়নি। ২০১৮ নিরাপদ সড়ক আন্দোলন এবং কোটা সংস্কার আন্দোলন ক্ষমতাসীন সরকারের মধ্যে আতংক তৈরী করে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বৈষম্য বিরোধী সাধারণ ছাত্র আন্দোলনে হেলমেট বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর গুলিতে মেধাবী ২১৫ জনের অধিক আবু সাঈদ ও মুগ্ধদের রক্তাক্ত গণহত্যার তান্ডব ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীর গণহত্যাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। দেশে চলছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর নতুন প্রজন্মের হিরোদের অসহযোগ আন্দোলন এবং বাংগালী জাতি বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। ফ্যাসিবাদী সরকার এবং পরিবারতন্ত্রের করুন পরিণতি দেখার অপেক্ষায় আছে ১৭ কোটি বাঙালি জাতী।
মোগল আমলে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু দিল্লি থেকে বাংলা (সোনারগাঁও) দূরে হওয়ায় এবং শত শত নদী ও পাহাড় দিয়ে বিচ্ছিন্ন থাকায় বাংলার শাসক শ্রেণী দিল্লির বিরুদ্ধে প্রায় সময় বিদ্রোহ করেছে। দিল্লীর শাসকরা লক্ষ লক্ষ সৈন্যবহিনী নিয়ে বাংলার বিদ্রোহ দমনে ব্যস্ত থেকেছে। ব্রিটিশ আমলে সিপাহী বিদ্রোহ, ফকির বিদ্রোহ, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, তিতুমীরের বিদ্রোহ, বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন, কৃষক প্রজা আন্দোলন, নীল বিদ্রোহ, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন ইত্যাদী। স্বাধীন পাকিস্তানে বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, মেজর জিয়ার কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের স্বাধীনতার ঘোষণা, নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান এসব তার প্রমাণ করে বাংগালী জাতি পরাধীনতাকে কখনো মেনে নেয় নাই। ব্রিটিশদের প্রথমত কলকাতা-ছাড়া ও পরে ভারতছাড়া করেছিল মুলত মুসলমান এবং হিন্দু বাঙালিরাই। জেণারেল আইউব এবং জেনারেল এরশাদের পতন প্রমাণ করে একনায়কতন্ত্রী শাসনকে বাঙালি ১০ বছরের বেশি সহ্য করতে পারে না। আইয়ুব খানকে ১০ বছরের বেশি সহ্য করেনি। এরশাদকে ৯ বছরের মাথায় বিদায় করেছে। পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমীনকে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে ছাত্র হত্যার দায়ে ৭ বছরের মধ্যে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেছে। বাংলাদেশে দলীয় সরকারের নেতৃত্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা চিন্তা করা পাগলের পলাপ ছাড়া আর কিছু নহে। ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৮৮, ২০১৪. ২০১৬.২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিভেকবান নাগরিকরা এবং বিম্ববাসী দেখেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাবস্থা সংবিধানে সংযোজন করা ছাড়া দলীয় সরকারের নেতৃত্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নহে।
২০০৮ সালে সামরিক বাহিনী-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে নীল নকশায় বর্তমান সরকার বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ক্ষমতা দখল করে। সাবেক প্রধান বিচারপতি খাইরুল হক এবং সুপ্রিম কোটকে ব্যবহার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাবস্থা সংবিধান থেকে উচ্ছেদ করে একচ্ছত্ত ক্ষমতার অধিকারী হয়ে আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রের আড়ালে ফ্যাসিবাদ কায়েম করে। হেলমেট বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, র্যাব, বিজেপি এবং দলীয় আমলাদের ব্যবহার করে হাজার হাজার বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করে রাজনৈতি দলের আড়ালে পরিবারতন্ত্র কায়েম করে। এরশাদের পতনের পরে ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দলই ঐকমত্যে আসে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকেই একমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার একমাত্র নিশ্চয়তা , তাই ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ, জামায়াত, জাপা এবং বাম দলগুলো ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে বিএনপি সরকারের দ্বারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিটিকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করিয়ে নেয়।
আওয়ামীলীগ, জামায়াত, জাপা এবং বাম দলগুলো ১৯৯৬ সালে ৪৫ দিন অসহযোগ আন্দোলন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিকে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন,। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতাগ্রহণ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত করার জন্য প্রধান বিচারপতি খাইরুল হক কে ব্যবহার করে ২০১৪ সালে সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতাসীন সরকারের হাতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব অর্পণ করেন। এতে একটা ব্যাপার নিশ্চিত হয় যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার, ১৯৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ২০১৪ সালে সংবিধান সংশোধন মানেই ক্ষমতাসীন সরকার কারচুপির মাধ্যমে প্রতিটি নির্বাচনে জিততে ও যতদিন খুশি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার সুযোগ নিতে পারবে। বাস্তবে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে হলোও তাই। একের পর এক অবিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ভেতর দিয়ে বর্তমান সরকার নির্বিঘ্নে একচ্ছত্র ক্ষমতায় দেশ শাসন করে চলল। রাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি অঙ্গ যথা সামরিক বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, আমলাতন্ত্র ও বিচার বিভাগকে তারা সম্পূর্ণভাবে বশীভূত করে ফেলেছে। দলের লাখ লাখ কর্মীকে নির্বিচারে সন্ত্রাস, লুণ্ঠন হেলমেট বাহিনী, দলীয় বিবেচনায় সহজে চাকুরী এসবের সুযোগ দিয়ে দেশকে লুণ্ঠনের সাম্রাজ্য করে ফেলা হয়েছে।
কনফুসিয়াস বলেছিলেন, কোনো রাজা ‘যদি তার নাগরিকদের ভালোবাসে’, তবে তিনি তাঁর নাগরিকদের সঙ্গে যে আচরণ করবেন, তা-ই হলো রাজোচিত আচরণ। সরকারের সেই রাজোচিত আচরণ কোথায়? চীন ফেরত সাংবাদিকদের সামনে শেখ হাছিনা কোটা নিয়ে রাজাকারের নাতি বলে এমন কটূক্তি করেন, এতে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা অনুভব করে প্রধান মন্ত্রী আন্দোলনকারীদের কে অসম্মান’ করেছেন। কটুক্তির প্রতিবাদে রাত ১১.০০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা রাজপথে বেরিয়ে আসেন। সেই সঙ্গে ছাত্ররা। চলতে থাকে বুয়েট, জবি এবং ঢাবি ছাত্রছাত্রীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদী মিছিল শোভাযাত্রা, ওরা শ্লোগান তোলে তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার, চেয়েছিলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার, মেধা না কোটা মেধা মেধা, রাজাকার কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার ইত্যাদি। তারপর সশস্ত্র ছাত্রলীগের বিপুলসংখ্যক কর্মী, পুলিশ, বিজিবি, সামরিক বাহিনীকে দিয়ে নিরস্ত্র ছাত্র ও সাধারণ মানুষের ওপর যে হেলমেট বাহিনীর হত্যাকান্ড চালানো হলো, প্রায় ২১৫ জন মেধবিী ছাত্র নিহত হলো। কোটার বৈষম্যবিরোধিতা নিয়ে এ আন্দোলন শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে এ আন্দোলন আজ সরে এসেছে সমাজ ও রাষ্ট্রের বৈষম্য ও মানবিক অসাম্যের বিরুদ্ধে।
চরিত্রহনন ও বিভাজন : জাতির পিতা স্বাধীনতার মহাননেতা বংগবন্ধু এবং স্বাধীনতার ঘোষক জেনারেল জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর অবদান অস্বীকার করার কারণে বিগত ৫০ বছর সংসদে জাতীয় লিডারদের দু:ঘজনক চরিত্রহনন এবং বিভাজন সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। বংগবন্ধু বাকশাল কায়েম করে সেনাবাহিনীর গুলিতে ১৫ আগষ্ট নিহত হয়েছেন। শেখ হাসিনা এবং মীর জাফর বিচারপতি খাইরুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে একনায়কতন্ত্র এবং পরিবারতন্ত্র কায়েম করে হাজার হাজার রাজনৈতিক দলের কমীকে হত্যা করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনী দিয়ে জুলাই মাসে নিরস্ত্র প্রতিবাদী সাঈদ মুগ্ধসহ ১০০০ এর অধিক দেশপ্রেমিক ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে গণহত্যা করে ৫ আগষ্ট শত্রু রাস্ট্র ভারতে পালিয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাস্ট্র প্রদত্ত ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বল প্রযোগ করে উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং গণভবন হাসিনা রেহেনার নামে লিখে নিয়েছে, আজীবন এসএসএফ নিরাপত্তা ভোগের আইন পাশ করে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার অপচয় করে শেখ মুজিবের ম্যুরাল তৈরি করেছে। বিজয়ী জনতার ভয়ে ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনা ওবায়দুল কাদের জাতিকে অরক্ষিত রেখে পালিয়েছে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়ার অবদান স্বৈরচার অস্বীকার করেছে এবং তাঁর স্মৃতি চিহ্ন মুছে ফেলতে জিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের নাম মুছে ফেলা হয়েছে। আজ বিজয়ী বীর ছাত্রজনতা সুধাসদন পুড়িয়ে দিয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবন পুড়িয়ে, গনভবন থেকে মালামাল লুট করে স্বৈরাচারের শেষ চিহ্ন মুছে ফেলেছে। বংগবন্ধুর সারাদেশের ম্যুরাল ভেংগে ইরাকের আজীবন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন এবং লিবিয়ার ৪১ বছরের প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফির ম্যুরাল ভাংগার মতো নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। দেশপ্রেমিকরা বলেন, যার বিদেশে প্রভু আছে তিনি প্রভুর দেশে আশ্রয় নিয়ে থাকেন, শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। আপোষহীন দেশপ্রেমিক নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ২য় বার স্বাধীন বীর বাংগালীর চাপে প্রেসিডেন্ট মুক্তি দিয়েছে।
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও এদেশ দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি করতে পারে নাই। যার ফলে দালাল শিক্ষক আইনজীবী বুদ্ধিজীবী সাংবাদিকরা নিরস্র ও নিরপরাদ মেধাবী সাঈদ এবং মুগ্ধদের হত্যাকান্ডের জন্য শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগ হেলমেট বাহিনী কে দ্বায়ী করে নাই। বাংগালী জাতির মাঝে রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা বিভাজন সৃষ্টি করে রেখেছে। বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে রাজাকার বা রাজাকারের নাতি গালি দিয়ে দুনীতি লুটপাট দমন নিপিড়ন চালিয়েছে। ওরা বেসিক ব্যাংক লুট, ইসলামী ব্যাংক লুট, চোরা কারবারি মাদক ব্যবসায়ী দ্রব্যের লাগামহীন মুল্য বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলেনা। ডিজিএফআইয়ের আয়নাঘর, র্যাব পুলিশ বাহিনীর গুপ্তহত্যা, সীমান্তে ফেলানীর মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখলে কিছু বলে না। ওরা দুনীতি লুটপাট লালন করে এবং জোর করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শেখায়। আমি এখনো বুঝি নাই চেতনা মানে কি? চেতনা মানেই লুটপাট, দুনীতি, খাদ্যের লাগামহীন মুল্য বৃদ্ধি,হেলমেট বাহিনী, ভোটের অধিকার হরণ, বিনাভোটে সংসদ সদস্য, মেয়র, চেয়ারম্যান ইত্যাদি। ভারত স্থল জল আকাশ রেলপথ ব্যবহার করবে কিন্তু টাকা দিবেনা ইহাই কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? লক্ষ লক্ষ ভারতীয় বাংলাদেশে চাকুরী করে কিন্তু সরকার টেক্স আদায় করেনা। বীর ছাত্রজনতা ১৯৯০ সালে ১ম স্বৈরাচার জেনারেল এরশাদকে তাড়িয়েছে, ২০২৪ সালে ফ্যাসিবাদী ২য় স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে তাড়িয়েছে। অপেক্ষায় আছি নতুন শাসক শ্রেণি আবার ৩য় স্বৈরাচার তৈরি করে কিনা।
লেখক : গবেষক ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ।