দৈনিক ফেনীর সময়

বরেণ্য সাংবাদিক মাহবুব উল হক পেয়ারার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিনিধি :

ফেনীর প্রবীণ সাংবাদিক মাহবুব উল পেয়ারার ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার পালন হয়েছে। দিনটি উপলক্ষ্যে সন্ধ্যায় ফেনী প্রেস ক্লাবে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফেনী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক ফেনীবার্তা সম্পাদক মীর হোসেন মীরুর সভাপতিত্বে এবং সংগ্রাম প্রতিনিধি একেএম আবদুর রহীমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন প্রথম আলো প্রতিনিধি আবু তাহের, দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, চ্যানেল আই প্রতিনিধি রবিউল হক রবি, ডিবিসি প্রতিনিধি আবু তাহের ভূঞা, জামায়াতে ইসলামীর জেলা প্রচার সম্পাদক আ.ন.ম আবদুর রহীম, প্রয়াত পেয়ারা দাদার ছেলে ইমন উল হক, সাপ্তাহিক স্বদেশপত্র সম্পাদক এনএন জীবন, মানবজমিন প্রতিনিধি নাজমুল হক শামীম, এস এ টিভি প্রতিনিধি জহিরুল হক মিলু প্রমুখ।

সভায় বক্তারা ফেনীর উন্নয়ন অগ্রগতিতে মাহবুব উল হক পেয়ারার অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করে বর্নাঢ্য কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। শেষে তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

জীবদ্দশায় তিনি ফেনী পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, ফেনী প্রেস ক্লাব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির ফেনী জেলা শাখার সভাপতি, দি পাকিস্তান অবজারভারের ফেনী প্রতিনিধি, দৈনিক ইত্তেফাকের ফেনী সংবাদদাতা, (১৯৭২-২০০০), ফেনী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক (১৯৫৭-১৯৯২), রোটারী ক্লাব অব ফেনীর চার্টার্ড সভাপতি সহ বিভিন্ন ক্রীড়া ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। পিতৃভূমি ফরহাদনগর ইউনিয়নে কে এম হাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন বিশিষ্ট এ সমাজ হিতৈষি মাহবুব-উল হক। ২০০০ সালের এদিনে ইন্তেকাল করেন ফেনীর প্রথিতযশা এ সাংবাদিক। তাঁর হাতে গড়া সংগঠনগুলোর মধ্যে ফেনী টাউন ক্লাব, এভারগ্রীন ক্লাব, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, প্লেয়ার্স ইউনিয়ন, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, ব্রাদার্স ক্লাব, মৌসুমী কচি কাচাঁর মেলা অগ্রগণ্য। এছাড়া ফেনী কলেজ, ফেনী আলিয়া মাদ্রাসা, ফেনী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ফেনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, শিল্পকলা একাডেমী, শিশু একাডেমী, বি এ ভি এস, ফেনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট, বাস মালিক সমিতি সহ অসংখ্য সামাজিক, শিক্ষা, ক্রীড়া ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদে সম্পৃক্ত ছিলেন। সফল ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে তিনি ১৯৯০ সালে “বাংলাদেশ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ স্বর্ণপদক” পুরষ্কারে ভূষিত হন। সমাজ সেবায় অসাধারন অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি ১৯৭৮ সালে জাতীয় পুরষ্কার “স্বনির্ভর বাংলাদেশ” প্রাপ্ত হন। ১৯৮০ সনে তুরষ্কে অনুষ্ঠিত ইসলামিক গেইমসে বাংলাদেশ জাতীয় দলের এসোসিয়েট ম্যানেজার হিসেবে যোগ দিবার সুযোগ পান। ১৯৮০ সালে ইসলামিক গেমস্ ে২৭৫ সদস্যের বাংলাদেশ দলের এসোসিয়েট ম্যানেজার হিসেবে তুরস্ক সফর করেছেন। তাঁর পিতা বঙ্গীয় আইন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য এডভোকেট খাঁন সাহেব বজলুল হক চৌধুরী অত্র অঞ্চলের খ্যাতিমান সমাজ সেবক ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!