আজকের যুবকরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, এ কথা আমরা হর হামেশাই বলে থাকি। ধ্রুবতারার মতো সত্য এ উক্তি। আসলে অন্যভাবে বললে যেমন বলা যায়, আমরা অভিভাবকরা আমাদের সন্তানদের প্রস্তুত করছি আগামীর জন্য। সন্তানদের শিক্ষার প্রথম সোপান কিন্তু তার পিতা-মাতা। অতঃপর শিক্ষক, সহপাঠী, পরিবেশ, বাস্তবতা সবকিছু মিলিয়ে শিশু তার জীবনের বিকাশ ঘটায়, বেড়ে ওঠে। প্রস্তুতির ক্ষেত্রে শিশু থেকে বিকাশমান হওয়া যেমন নরম কাঁদা-মাটিকে যেভাবে হাতের কারুকার্যে কুমার একটি মাটির শান্কি, পাতিল বা খেলনা তৈরি করে, ঠিক তেমনি। কারণ, নরম কাদাকে আপনি আপনার ইচ্ছানুয়ায়ী যা করতে চান তাই করতে পারবেন। কিন্তু সেই মাটি শুকিয়ে গেলে বা শক্ত রূপ ধারণ করলে তা কিন্তু সহজেই করতে পারবেন না।কথাগুলো এ জন্যেই বলাযে, শিশুরা তাদের পরিবার থেকে যে শিক্ষা গ্রহণ করে, তা তার মননে গ্রথিত হতে থাকে। আমরা পিতা-মাতারা হর হামেশাই শিশুদের সামনে নিজেরা ঝগড়া ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়ি। এমনকি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হাতাহাতির পর্যায়ে পর্যন্ত গড়ায়। আর এসবই ঘটে আমাদের কোমলমতি শিশুদের সামনেই। আর বিপত্তিটা ঘটে ঠিক তখনই। শিশুরা ছোট থেকেই এসব দেখতে দেখতে তার মনোজগতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অপরদিকে যেসব মায়েরা চাকরি করেন, তারা স্বাভাবিক কারণেই তার প্রিয় আদরের সন্তানকে সময় দিতে পারেন না। এমনকি শিশুকালে মাতৃদুগ্ধ থেকেও বঞ্চিত হয় অনেক শিশুরা। ফলে, তাদের
মধ্যে পিতা-মাতার যে বন্ধন তার কিছুটা হলেও বিচ্যুতি ঘটে। কাজেই দেখা যায়, এসব সন্তানদের বিরাট একটা অংশ পরবর্তীতে বখে যায়। তবে এর মাঝে যে ব্যতিক্রম নেই, তা হলফ করে বলা যাবেনা।এই শিশুই যখন কিশোর থেকে যুবকে পরিণত হয়, তখন তার মানসপটে সেই সব বিরক্তিময় স্মৃতি জাগরুক হয়ে প্রস্ফুটিত হয়। তাকে তাড়িত করে। এ থেকেই তার ভেতর অন্য ধরনের এক দুঃখ জাগানিয়া কষ্টের বিষাদময় ঘনঘটা সারাক্ষণ খেলা করে। পারিবারিক স্নেহ-মমতা থেকে বঞ্চিত সেই সব যুবক, হতাশার সাগরে নিমজ্জিত হয়ে লিপ্ত হচ্ছে নানাবিধ অসামাজিক কর্মকান্ডে। হারিয়ে ফেলছে তার অমিত মেধাশক্তি, যা দিয়ে সে দেশ, জাতি ও সমাজের সম্ভাবনাময় কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারতো।আবার আমরা আমাদের সন্তানদের বর্তমানে এতোই বেশি দেখভাল করি যে, তাদের ফার্মের মুরগির মতো করে লালন পালন করি।
স্কুলে নিয়ে যাওয়া, নিয়ে আসা থেকে শুরু করে সার্বক্ষণিক সন্তানদের পিছু লেগে থাকি। এর আবার যৌক্তিক কারণও রয়েছে। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি পরিবার তাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা দু’য়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করে। আগের আমলের মতো ছয়-সাত জন ছেলে-মেয়ে আর কেউ নেয় না। তার আবার অনেক ব্যাখ্যার বিষয়াদি রয়েছে। আমাদের আলালের ঘরের দুলালেরা ঘরের মধ্যেই বেড়ে উঠছে। তাদের শরীরে রোদের দেখা কালে ভদ্রে মেলে। এখন আবার ইন্টারনেট, ল্যাপটপ, সেলফি তাদের কাছে অধিক প্রিয়। আধুনিক সভ্যতা যত বেশি বিকাশ লাভ করছে, হাতের মুঠোয় এসে ধরা দিচ্ছে, মানুষ তত বেশি ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে আটকা পড়ছে। সন্তানদের খেলাধুলার মাঠ হারিয়ে যাচ্ছে।
আমাদের সন্তানরা এখন মহল্লার মধ্যে রাস্তায় ক্রিকেট খেলে। তাদের জন্য যদি আমরা খেলার উপযোগী মাঠ দিতে পারতাম, তাহলে অনেক যুবকরা তাদের খেলা অভ্যাস করেও অনেক সময় নির্বিঘ্নে কাটাতে পারতো, এতে তার শারিরীক গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখতো। পাড়া মহল্লায় এখন আর সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড হয়না বললেই চলে। এমনকি জাতীয় দিবসগুলোতেও আমরা পাড়া মহল্লায় সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড তেমনভাবে পালন করিনা। এ ধরনের কর্মকান্ড করে যুবকদের চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারি। যাও দু’এক যায়গায় হয়, তা বিদেশি ব্যান্ডের ধুম ধাড়াক্কা যন্ত্রের নাচন কুদোন। এ ধরণের বিজাতীয় সাংস্কৃতিক চেতনা আবার হিত বিপরীত হয়ে দাঁড়ায়। অপসংস্কৃতির করালগ্রাস কুঁরে কুঁরে খায় যুব সমাজের অমিত সম্ভাবনাময় মেধাশক্তিকে।
আমরা যদি পেছন ফিরে দেখি, তবে দেখতে পাবো কয়েক বছর আগে ঐশী নামের একটি মেয়ে তার পিতা-মাতাকে নিজ গৃহে নিজ হাতে নির্মমভাবে খুন করেছিল। তার কী ব্যাখ্যা দেবেন! কী ব্যঞ্জনায় বা কোন দ্যোতনায় তার মূল্যায়ন করবেন। এর চেয়ে আর বড় কী নির্মমতা অপেক্ষা করতে পারে! সত্যিই আমাদের বিষয়টি ভাবিত করে। তাড়িত করে ফেরে, যে পিতা-মাতা পরম স্নেহে লালন পালন করেছে, তিল তিল করে বড় করে তুলছে যে সন্তানকে, সেই প্রিয় সন্তানই বখে যেয়ে মাদকাসক্ত হয়ে, নিজ বাসায় জন্মদাতা বাবা-মা কে হত্যা করতে পারে! মাদকাসক্ত হওয়ার ফলে যখন সে বাধাপ্রাপ্ত হয়, তখন সে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ঠিক তখনই সে এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। মেয়েটি হোটেলে ড্যান্স পার্টিতে পর্যন্ত যাতায়াত করতো বলে জানা গেছে। তার বাবা একজন পুলিশ কর্মকর্তা হওয়া সত্বেও মেয়েকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারেনি, যার খেসারত করুণ পরিণতিতে নির্মমভাবে তাদের জীবন হারাতে হয়। এ ধরনের ঘটনা আমাদের কেবলমাত্র হতবিহবলই করে না, অনেক কিছুই ভাবনার খোরাক করে দেয়। আসলে আমরা আমাদের সন্তানদের কতটুকু দেখভাল করতে পারছি? আসলেই কী আমরা তাদের পর্যাপ্ত সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে পারছি? নিশ্চয় না। আমাদের নিজের অজান্তেই প্রিয় সন্তানেরা নানা রকমের অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে, যা আমরা হয়তো জানি বা জানি না। আর জানলেও তাদের ফিরিয়ে আনতে পারছি কতটুকু।
যুব সমাজের একটি অংশ মাদকাসক্ত, ছিনতাই, রাহাজানির সাথে জড়িয়ে পড়ছে। নেশায় কুঁরে কুঁরে খাচ্ছে আমাদের এই যুব সমাজের একটি বড় অংশকে। ধ্বংস করছে তাদের মানবিকতা, হারিয়ে ফেলছে মূল্যবোধ। তবে কি আমরা মানুষ থেকে অমানুষের দিকে ধাবিত হচ্ছি! সত্যি বিচিত্র এই দেশ। এ দেশের সন্তানরাই জীবন বাজি রেখে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য মরণপণ লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে দেশকে মুক্ত করেছিল। সেদিন কিন্তু এই যুবকরাই সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। আর আজ আটচ ল্লিশ বছরে দাঁড়িয়ে কী দেখছি? যুব সমাজের একটি বিরাট অংশ আজ বিপথগামী হয়ে নিজেকে এবং সেই সাথে দেশ ও জাতিকে এক ক্রান্তিলগ্নে নিয়ে যাচ্ছে।
রাজনীতির নামে এক শ্রেণীর যুবকদের ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রকৃত অর্থে এসব যুবক কোন দলের সাথেই সম্পৃক্ত নয়। তারা অর্থের বিনিময়ে নিজেদের ভাড়ায় খাটাচ্ছে। আর তারা যে দেশ জাতির প্রভুত ক্ষতি সাধন করছে, তা তারা ঘূণাক্ষরেও উপলব্ধিতে আনছে না। এর জন্য অবশ্য আমরা বেকারত্বকে কোনক্রমেই খাটো করে দেখতে পারি না। এর সাথে বেকারত্বও অনেকাংশে দায়ী। বেকার যুবসমাজ হতাশাগস্ত হয়েও নানা রকমের অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। জড়িয়ে পড়ছে স্বেচ্ছাচারিতায়, গড়ে তুলছে নানারকমের সিন্ডিকেট। আর তার প্রভাব পড়ছে সমাজের প্রতিটি স্তরে। ফলে, সমাজের প্রতি স্তরে লেপ্টে থাকছে অবক্ষয়ের রেখাপাত। আমরা তা থেকে কোনক্রমেই বেরিয়ে আসতে পারছি না। এ এক সংক্রমনের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেকার শিক্ষিত যুবক এবং অশিক্ষিত যুবক উভয়ের মধ্যেই এক হতাশাজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অশিক্ষিত যুবকরা যে কোন কাজে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারলেও শিক্ষিত যুবকরা সহজেই নিজেদের যে কোন কাজে সম্পৃক্ত করতে পারে না। ফলে, তাদের মধ্যে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে থাকার সংখ্যাটাই বেশি। কাজেই আমরা যদি আমাদের অপার সম্ভাবনাময় এ যুব সমাজকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে পারি, তবে বহুলাংশে সমাজের নানাবিধ অনাচার দূর করা সহজতর হবে। তাই প্রথমেই আমাদের এ অপার সম্ভাবনাময় বেকার যুবসমাজকে সম্পদে পরিণত করা প্রধান জরুরি কাজ বলে মনে করতে হবে।
অপরদিকে যুব সমাজের একটি অংশ ধর্মীয় চরমপন্থায় লিপ্ত হয়ে দেশে এবং বিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি বিনষ্ট
করছে। ধর্মের নামে অধার্মিক সুলভ কাজে জড়িয়ে পড়ছে।আবার কিছু ধর্মীয় চিন্তার লোক বা গোষ্ঠী রয়েছে, যারা এসব বেকার যুবকদের উস্কে দিচ্ছে। তাদের ধর্মীয় ব্যাখ্যা বিকৃত করে বা মনগড়া করে যুবকদের মধ্যে তুলে ধরে, তাদের, উগ্র মৌলবাদী জঙ্গীতে পরিণত করছে। ধর্মের সুরা কালামের ব্যাখ্যা পুরোটা না করে আগের অংশ পিছের অংশ ব্যাখ্যা করে তাদের দিয়ে দেশে জঙ্গীগোষ্ঠী সৃষ্টি করছে। এতে লাভের লাভ হচ্ছে তাদের, যারা এর কলকাঠি নাড়ছে। অপরদিকে ধর্ম ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পড়ে অতি সরলপ্রাণ তরুণ যুবক বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছে। আপনি বুকে হাত দিয়ে বলুনতো, শরীরে বোমা বেধে কোন অনুষ্ঠানে বা কোন জনসভায় নিজের জীবন আত্মাহুতি দিয়ে মানুষ হত্যা করে, বেহেশত যাওয়া যায়? একথা কোরান আর হাদিসের কোথায় আছে? অথচ পরকালের অফুরন্ত প্রাপ্তির প্রলোভন দেখিয়ে আত্মঘাতি স্কোয়াড তৈরি করা হচ্ছে। অপার সুখের হাতছানির মোহে সরলপ্রাণ ধর্মভীরু তরুণ-যুবাদের কী নির্মমতার ভেতরে তাড়িত করছে, তা বিবেকমান মানুষ মাত্রই চিন্তা করলে শিউরে উঠবেন।গত দুই বছর আগে বর্ষবরণ উৎসবে দেখা গেল টিএসসির পাশে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল যুবক কর্তৃক নারীদের উপর যৌন নিপীড়নের ঘটনা।
সেদিনের সে ঘটনাটিও যুব সমাজের এক ধরনের অবক্ষয়। বখে যাওয়া যুব সমাজের নারীর প্রতি এ ধরনের রূঢ় আচরণ কী প্রমাণ করে? আমাদের এ যুব সমাজকে বিপথে কারা তাড়িত করছে? একটি স্বার্থান্বেষী মহল চায়না, জাতি হিসাবে আমারা আমাদের অতীত গৌরবগাথা বিজয়কে সমুন্নত রাখি। বাঙালির হাজার বছরের কৃষ্টি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সামাজিক সভ্যতা তারা ধ্বংস করে দিতে চায়। রমনার বটমূলে ঐতিহ্যবাহী বর্ষাবরণ উৎসবে ইতোপূর্বেও আত্মঘাতী বোমাবাজরা বর্ষবরণে যাতে মানুষ না আসে, মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বাঙালির এ উৎসবকে যেন ধীরে ধীরে বিলীন করে দেয়। কিন্তু তারা কি তা পেরেছে? নিশ্চয় না। কারণ একটাই। বাঙালি জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যুগ যুগ ধরে তার ঐত্যিকে লালন করে আসছে পরম মমতায় হৃদয়ের গহীণ থেকে। এ থেকে তারা পিছপা হয় কীভাবে! এ উৎসব যে তার হৃদয়ের সাথে মিশে থাকা পূর্ব পুরুষের বিজয়গাথা ঐতিহ্য। যুগ যুগান্তরে তা বিলীন হয়ে যাওয়ার নয়। তাই যারা পহেলা বৈশাখে নারীদের যৌন নিপীড়ন করেছে তাদের প্রতি চরম ঘৃণা জানানোরও ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই কেবল হতে পারে এ থেকে পরিত্রাণের উপায়। অন্যথায় এ ধরনের ঘটনা আগামীতে আরো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। দুষ্ট ক্ষত এর এখনই মূলোৎপাটন করা জরুরি এবং প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।
পরিশেষে এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে, আজকের যুব সমাজকে যুব শক্তিতে পরিণত করতে হবে। আমাদের এসব যুবকরাই দেশের ভবিষ্যৎ। ইতোমধ্যে পৃথিবীর নানা দেশে কর্মক্ষম মানুষের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, সেখানে আমরা আমাদের এ যুবকদের প্রশিক্ষিত করে, যদি সত্যিকারে কাজে লাগাতে পারি তবে আমাদের এ দেশটিকে আর পেছন দিকে তাকিয়ে দেখতে হবে না, কেবলই সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এবং উন্নত বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে।
কাজেই আমাদের বিপথগামী তরুণ-যুবকদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার এখনই সময়। যুবকদের দুটি হাতকে সম্পদে পরিণত করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল কিছুর উর্দ্ধে উঠে তাদের সুপথে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের চেতনাকে দেশ গড়ার মানসিকতায় উদ্বুদ্ধ করে তুলতে হবে, তাহলেই আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি প্রকৃত সোনার বাংলায় রূপলাভ করবে। সেই সাথে সমাজ থেকে বিশৃঙ্খলতা অনেকাংশে দূর হবে।
লেখক : ব্যাংকার, কবি ও প্রাবন্ধিক।