সদর প্রতিনিধি :
ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার না করেই অর্থ আত্মসাত করেছেন প্রধান শিক্ষক হোসনেআরা। তিনি ইতিমধ্যে ওই স্কুল থেকে বদলী হয়ে পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের কাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিটি বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল থেকে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বালিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামমাত্র রং ও কিছু চিত্র অংকন করেই উল্লেখিত টাকার মধ্যে ১ লাখ আত্মসাত করেন প্রধান শিক্ষক হোসনেআরা। এ কাজের জন্য তৈরি করা ভূয়া বিল-ভাউচারে ম্যানেজিং কমিটি কিংবা উপজেলা শিক্ষা কমিটির অনুমোদন নেয়ার আগেই তিনি পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের কাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী হন। বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নজরে আসলে এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।
সূত্র আরো জানায়, সরকারি বরাদ্দ থেকে প্রাপ্ত একটি কম্পিউটার ও সাবেক সভাপতি শুসেন চন্দ্র শীলের অনুদানের একটি কম্পিউটার হোসনেআরা বাসায় নিয়ে যান। ম্যানেজিং কমিটির চাপের মুখে গত ক’দিন আগে তিনি লোকমারফতে ওই দুটি কম্পিউটার স্কুলে পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে সোমবার বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন, স্কুলের বর্তমান সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফাতেমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে স্কুলের নৈশপ্রহরী আবু বকর ছিদ্দিক রুবেলের মাধ্যমে খরচ দেখিয়ে বিল-ভাউচারের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক হোসনেআরা টাকা উত্তোলনের বিষয়টি উত্থাপন হয়। একপর্যায়ে রুবেল এ বিষয়ে কিছুই জানে না বলে ম্যানেজিং কমিটিকে সাফ জানিয়ে দেয়।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমা বেগম জানান, উন্নয়ন বরাদ্দ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া তদারকীর দায়িত্ব ম্যানেজিং কমিটির। যেহেতু কাজ না করে টাকা আত্মসাতের বিষয় এসেছে, সেক্ষেত্রে বিল-ভাউচারগুলো যাচাই করে খতিয়ে দেখা হবে।