মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী মোর্শেদ
বিএনপি বিগত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে সফল সমাবেশ হিসাবে চট্টগ্রামের প্যারেড গ্রাউন্ডের সমাবেশকে বিবেচনা করছে। সচেতন মহল ও সুশিল সমাজ ইতিমধ্যে বিএনপির সমাবেশ নিয়ে ব্যাপক আলাপ আলোচনা করছে উক্ত সমাবেশে ব্যাপক লোক সমাগমের কারণ অনুসন্ধান নিয়ে। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সরকার সমর্থিত কতিপয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের লাগামহীন ও বিরামহীন সমাবেশ বিরোধী প্রচারণার কারণ। সরকার বিএনপি কে তাদের সাংবিধানীক অধিকার হিসাবে চট্টগ্রামের সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করে। বিএনপি সমাবেশ করার অনুমতি পেয়ে নিজেদের মতো করে তাদের দাবী দাওয়া নিয়ে বক্তৃতা করবে এটাই স্বাভাবিক। সরকার একদিকে বিএনপিকে সমাবেশ করার স্পেস দিয়ে নিজেদের কে গনতান্ত্রিক সরকার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। আবার বিএনপির সমাবেশে যেন লোক সমাগম ব্যাপক না হয় তার জন্য বিভিন্ন কৌশলী বাধা সৃষ্টি করেছে।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিরোধী দলের সভা সমাবেশে বাধা প্রদান করার একটা রীতি গড়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিরোধী দলের সভা সমাবেশে এই সরকারই প্রথম বাধা দেয়নি। বিগত দিনে বিএনপি সরকার ও জাতীয় পার্টির সরকার একইভাবে বাধা দিয়েছে। সভা-সমাবেশের আগে ব্যাপক হারে গণ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু গণগ্রেফতার বাধা কোনোটি সরকার বিরোধী সমাবেশগুলোকে দমিয়ে রাখতে পারে নি। একইভাবে আজকের আওয়ামীলীগ সরকার দীর্ঘদিন সফলতার সাথে সরকার বিরোধী আন্দোলন সভা সমাবেশ দমিয়ে রাখতে পারলেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপে এবং আসছে ২০২৪ সালে সংসদীয় নির্বাচনকে অংশগ্রহন মূলক করার তাগিদে সরকার রাজপথে বিএনপিকে সভা সমাবেশের অনুমতি প্রদান করেছেন। সরকারের এই স্পেস কে বিএনপি কাজে লাগিয়ে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের বর্ধিত গ্যাস, বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের বিরোধীতা করে লাগাতর কর্মসূচি পালন করছে। সারাদেশব্যাপি তারা মিছিল সমাবেশ করেছে। একপর্যায়ে ভোলা ও নারায়নগঞ্জ তিনজন বিএনপি নেতা কর্মী নিহত হলে তারা এর প্রতিবাদে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সভা সমাবেশের ডাক দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় তারা প্রথমে চট্টগ্রামে সমাবেশ ঘোষনা দেয়। সরকারী দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্নভাবে সরকার দলীয় লোকজন চট্টগ্রামের সমাবেশে যেন লোক সমাগম কম হয় তার জন্য বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করে, বারৈয়ারহাট, সীতাকুন্ড, রাঙ্গুনিয়া, খাগড়াছড়ি বিভিন্ন স্থানে সমাবেশে আগত লোকজন কে শুধু বাধাই নয় তাদের উপর হামলাও করা হয়। দীর্ঘদিন পরে বিএনপির সভা সমাবেশ, বিএনপির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ এই সমাবেশকে সফল করার জন্য রাতদিন পরিশ্রম করে। সরকার দলীয় লোকজনের বাধা বিপত্তি ডিঙ্গিয়ে সমাবেশে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশী লোক সমাগম হয় যাতে বিএনপি নেতা কর্মীরা খুবই চাঙ্গা মনোভাব পোষন করে। অতপর ময়মনসিংহ বিভাগে বিএনপির সমাবেশে লোক সমাগম বাড়ানার জন্য বিএনপি যখন ময়মনসিংহে ছোট ছোট সভা-সমাবেশ করছিল তাতে সরকার সমর্থক নেতাকর্মীরা হামলা করে, যেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশে লোকজন কম হয় তার জন্য। সমাবেশে গণ জমায়েত কম হওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগের সকল জেলা থেকে ময়মনসিংহকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। মংমনসিংহ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের সাথে, বিভিন্ন স্থানে সরকার সমর্থক কর্মীদের সাথে ও পুলিশের সাথে সমাবেশে আগত নেতা কর্মীদের সাথে দাওয়া পাল্টা দাওয়া হয় তদপুরিও ময়মনসিংহ সমাবেশে ও ব্যাপক লোক সমাবেশ হয়।
২৯ অক্টোবর রংপুরে সরকার দলীয় পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সংগঠন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সমাবেশের দুই দিন আগে পরিবহন ধর্মঘট ডেকে বিএনপির সমাবেশকে বানচাল করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা যে ত্যাগ স্বীকার করে সমাবেশে এসেছে তা দেখে সমগ্র রংপুরবাসী বিএনপির রাজনীতিতে বিএনপির নেতা কর্মীদের ত্যাগ দেখে অভিভূত হয়েছে এবং মানুষ বিএনপির প্রতি আস্থাশীল হয়েছে। বিএনপি চট্টগ্রাাম, ময়মনসিংহ ও রংপুরে এই তিনটি সমাবেশ সফল হওয়ায় তাদের সর্বস্তরের নেতা সমর্থক উজ্জিবিত হয়। সরকার দেখতে পেলো বিএনপির এই সমাবেশে লোক উপ¯ি’তি বিএনপির জনপ্রিয়তার বার্তা জনগণকে দেওয়া হচ্ছে। এটি বুঝতে পেরে সরকার সমর্থক খুলনার পরিবহন মালিক শ্রমিক সর্বস্তরের ব্যবসায়ী বাস, ট্রাক, মিনি বাস, নৌযান ২২ই অক্টোবর এর বিএনপির খুলনা সমাবেশের দুইদিন আগে ধর্মঘট ডেকে বসে। যা পুরো দেশ ব্যাপি আলোচনার ঝড় তুলে। পাল্টা কাউন্টার হিসাবে আওয়ামীলীগ ঢাকায় আন্তজার্তিক বাণিজ্য মেলার মাঠে বিশাল শোডাউন করেছে। যা মানুষ ইতিবাচক হিসাবে নিয়েছে। কেননা মানুষ বিশ^াস করে রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে। বিভিন্ন টেলিভিশনে টকশোতে মূখ্য আলোচনাই ছিলো বিএনপির সমাবেশের দুদিন আগে কাহারা, কেন এ ধর্মঘট আহবান করেছে? এই ধর্মঘটে সরকারের কি কোন সমর্থন ছিল? সরকার ধর্মঘটের এই দায় সরাসরি অস্বীকার করে। মহাসড়কে ভটভটি ও নছিমন বন্ধের দাবীতে মালিক শ্রমিক এই ধর্মঘট ডেকেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ ২১/২২ তারিখ এই দুদিন খুবই কষ্ট করেছে খুলনায়।
বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় যুগ্ম-সম্পাদক তার উপ-সম্পাদকীয়তে লিখেছেন বিএনপির সমাবেশকে ঠেকাবার জন্য সাধারণ মানুষকে কেন এত কষ্ট দেওয়া। জনাব সোহরাব হোসেন আরো বলেন খুলনা মহানগরী সোনালী ব্যাংক চত্তরে বিভাগীয় গণসমাবেশ ডাক দেয় বিএনপি। সরকার অনুমতি দেয়। স্বাভাবিকভাবে মানুষ আসা করেছিল শান্তিপূর্নভাবে সমাবেশটি হয়ে যাবে। কিন্তু তা না হয়ে পরিবহন মালিক শ্রমিক সমিতি দুইদিনের ধর্মঘট ডেকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে বাস, মিনি বাস, ট্রাক, নৌযান বন্ধ করে এবং দরপাকড় ও বিএনপির সমাবেশের আগের দিন আওয়ামীলীগ শোডাউন করে বিএনপির সমাবেশের ব্যানার পোষ্টার ছিড়ে পেলে যা সুশাসনের অন্তরায়। তবে বিএনপির সমাবেশে আসার চেয়ে মাত্রাতিরিক্ত লোক সমাগম হয়েছে। এমনকি খুলনার বিভিন্ন জেলা ও থানার নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে সমাবেশের আগের দিন সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়ে বহু দলে বিভক্ত খুলনা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। সদ্য কমিটি থেকে বাধ পরা মঞ্জুও মিছিল সহকারে সমাবেশে এসেছে। যা বিএনপির মনোবল এবং আস্থায় দুটোয় বাড়িয়ে দিয়েছে।
দীর্ঘ ১৪ বছর বিএনপি বহু আন্দোলন সংগ্রাম করেছে যেখানে একটিভ নেতা কর্মী ছাড়া সাধারণ জনগণ তেমন সম্পৃক্ত ছিল না। রংপুর বিভাগীয় সম্মেলন প্রিন্ট মিডিয়াতে যেভাবে নিউজ হয়েছে তাতে দেখা যায় বিগত ১৫ বছরেও রংপুরে এত বিশাল সমাবেশ আর হয় নাই। সমাবেশে আগতদের অনেকেই দূর দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে, নদী পথে সাঁতার কেটে এবং অনেকেউ নসিমন করে এসেছে। বিএনপির নেতা কর্মীদের এই আত্মত্যাগ বিএনপির নেতাকর্মীদের কে অনেক বেশী দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তুলছে। অথচ তারা বাধা না দিলে হয়তো এমনটি নাও হতে পারতো। বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ গুলোতে ক্ষমতাসীনদের বাধা, হরতাল, অবরোধ ইত্যাদির কারণে এবং সরকারের মুখপাত্রের লাগাতর বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্রীক বক্তব্য সারাদে বাসীর মনোযোগ যেন বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্রীক এ ছিল। বিএনপির এই সফলতায় সরকার কিছুটা হলেও চাপে পরেছে। এখন সরকারকে কাউন্টার সমাবেশ ডাকতেই হবে। ব্যাপক শোডাউন না দিলে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যাবে। ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ ঢাকায় সমাবেশ করেছে এবং চট্টগ্রাম ফলোগ্রাউন্ডে সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এটি সরকারের সঠিক পলিসি। বিএনপির সামনে যে কয়টা সমাবেশ আছে সরকারী দল বাধা না দিলেও বিএনপি এখন দুটি কৌশল প্রয়োগ করবে। তাদের রংপুর সমাবেশে যদি লোক সমাগম কম হতো তাহলে বলবে সরকারী বাধার কারণেই তাদের কর্মসূচিতে লোক জমায়েত কম হয়েছে। আর ব্যাপক লোক সমাগম হওয়ায় বলছে সরকারের সকল বাধা উপেক্ষা করে জনতা তাদের দাবী প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
সরকারের উচিত হবে বরিশাল, কুমিল্লা ও ঢাকার সমাবেশে দৃশ্যত গাড়িঘোড়া বন্ধ করে দিয়ে সারাদেশ অচল না করে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেওয়া এবং সরকারের উচিত হবে বিএনপির প্রতি জনগনের সমর্থন কিরূপ আছে তা চূড়ান্ত ভাবে পরখ করা। পাশাপাশি ১০ই ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপি সমাবেশের পর ১৮-২০ই ডিসেম্বর আওয়ামীলীগের একই ¯’ানে সমাবেশ ডাকা এবং ঐ সমাবেশে সরকারের দৃশ্যমান যে ডেভলপমেন্ট যেমন পদ্মা ব্রিজ, কর্ণফুলী ট্যানেল, মেট্রোরেল, এলিভেটিড এক্সপ্রেস সহ ও উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো তুলে ধরা। সাধারণ মানুষ বিচার বিবেচনা করার সুযোগ পাবে যে গেল ১৫ বছর আওয়ামীলীগ নিরুপদ্রপ ভাবে যে কাজ করেছে তাতে মানুষের আ¯’া রয়েছে কিনা। ব্যাপক গণবসতী পূর্ন এই দেশে বিএনপির ডাকা সমাবেশে ব্যাপক লোক হতেই পারে। তাই বলে কি আওয়ামীলীগের সমাবেশে লোক হবে না। আমি একটি জিনিস বুঝতে পারি না, আওয়ামীলীগ কেন বিএনপির সমাবেশের আগে বাস ধর্মঘটকে সমর্থন করবে। মানুষের আস্থা অর্জনে সরকারের ১৫ বছরের শাসন ব্যভস্থা কি যথাযথ ছিল না।
আমি এমন অনেকের সাথে কথা বলেছি যারা সরকারী দল করে না কিন্তু অকপটে স্বীকার করেছেন কোভিড মহামারীতে বাংলাদেশ ভালো ছিল, সার্বজনীন কোভিড টিকার ৩ ডোজ পেয়েছে জনগণ। দেশের রিজার্ভের অবস্থা খুবই আশাব্যঞ্জক। দেশ ব্যাপি অনেক গুলো অর্থনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টি করে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে, তাহলে আওয়ামীলীগের ভয় কিসের? কেন তারা নিজের খেয়ে বিএনপির সমাবেশ গুলোকে আলোচনা সমালোচনার মাধ্যমে টক অব দি কান্ট্রি করবে? এই যে খুলনা সমাবেশের দুদিন পূর্বে ধর্মঘট ডাকলো ¯’ানীয় পরিবহন মালিক শ্রমিক সমিতি, অথচ স্বযতেœ বিএনপি ও সুশিল সমাজের দায় তুলে দিল আওয়ামীলীগের কাঁদে। এই বিষয়ে মানবাধীকার কর্মী সাবেক তত্তাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন ‘যে কোন সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশে নানামত থাকবে, বিভিন্ন দ্বার খোলা থাকবে, সবাই সব মতের পক্ষে থাকবে না, এটাই গনতন্ত্রের সুন্দর্য, বিরোধী মত বা পথের গণতান্ত্রিক কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করা স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার দুঃসহ স্মৃতি পিরিয়ে আনে’।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন- ‘বিভাগীয় শহরে বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের বিপুল সমাবেশ যাতে না ঘটে সেই চেষ্টাই করছে ক্ষমতাসীন সরকার। ২২ তারিখ শনিবার খুলনার সমাবেশকে কেন্দ্র করে সেখানে বাস, মিনি বাস, মাক্রোবাস ও যে নৌ ধর্মঘট পালন হয়েছে তাতে সরকারের ইন্দন ছিল’। সমাবেশ কেন্দ্রীক বিএনপির কৌশলী রাজনীতির পাদে সরকার বেকায়দায় পড়েছে অন্য দিকে বিএনপি তার সাথে মতের দুরত্বে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে একটা সেতু বন্ধন তৈরি করছে। প্রিয় পাঠক, সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে যারা পরামর্শ দেন অসাংবিধানীক ভাবে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার জন্য, তারা কেন আওয়ামীলীগের মতো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে প্রশ্নের সম্মুখিন করছে?
তারা কি রাজনৈতিক ভাবে বিএনপি কে খন্ডিত করতে পেরেছে? সরকার শক্ত হাতে ঐ সকল পরামর্শ দাতার পরামর্শ অগ্রাহ্য করে গণতান্ত্রিক দ্বারায় সরকার ও দেশকে পরিচালিত করা। আওয়ামীলীগ আর সরকার এক দলীয় হলেও সরকার কিন্তু দেশের সর্বস্তরের নাগরিকের। আমাদের ৭২ এর সংবিধানে যে রাজনৈতিক দলের মত প্রকাশ ও সভা সমাবেশ করার নিশ্চিত করা হয়েছে, সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে সংবিধান সম্মত সভা সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করা। তাই সরকারের উচিত হবে বিএনপির সমাবেশের লোক সমাগমের দিকে না তাকিয়ে বাধা না দিয়ে, সমাবেশের নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে রাজনৈতিক সভা সমাবেশের অধিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিএনপির সমাবেশকে টক অব দি কান্ট্রি না করে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে জনগণের দ্বারগোড়ায় বড় সমাবেশের আয়োজনের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মসূচিকে জনতার সামনে এনে তাকে টক অব দি কান্ট্রি করা। রাজনিতিতে প্রতিযোগীতা মানুষ পছন্দ করে। প্রতিহিংসা মানুষ পছন্দ করে না। তাই মানুষ প্রত্যাশা করে ভবিষ্যত রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো বাংলাদেশের সকল দল সরকারী সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারে। বহু দলিয় গণতন্ত্র অর্জনকারী বাংলাদেশের মানুষ সরকারের কাছে এইটুকু প্রত্যাশা করতেই পারে।
লেখক : সভাপতি, গভর্ণেন্স এসোসিয়েশন ও সাধারণ সম্পাদক, ভাসানী স্মৃতি সংসদ, ফেনী।