নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী শহরের সুলতানপুর এলাকায় পৌরসভার মালিকানাধীন বিটুপিকার ৫টি গাছ কেটে নিয়েছে রফিকুল ইসলাম রুবেল নামে এক যুবলীগ নেতা। সে স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ব্যাপারে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে পৌর কর্তৃপক্ষ পাহারাদারকে বরখাস্ত করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৫ আগস্ট রাতের আঁধারে বিটুপিকায় থাকা আকাশি, বেলজিয়াম সহ বেশ কয়েকটি জাতের ৫টি বড়-ছোট আকারের গাছ কেটে নেয় রুবেল। গাছগুলো রাতেই স্থানীয় একটি স’মিলে বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলেও কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস করেনি। দু’একজন প্রতিবাদ করলেও আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতারা বিষয়টি নিয়ে দেখার কথা বলে ধামাচাপা দেয়।
পৌরসভা সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে তৎকালীন মেয়র নুরুল আবছার সুলতানপুর এলাকায় বিটুপিকা নামে বৃক্ষরোপন প্রকল্প তৈরি করে বনায়ন করেন। এজন্য প্রকল্পটি ২০০৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার লাভ করে।
বিটুপিকা পাহারার দায়িত্বে নিয়োজিত মোহাম্মদ আলী জানান, “রবিবার সকালে গিয়ে গাছ কাটার দৃশ্য দেখতে পাই। চোর সনাক্ত করতে না পারায় ভয়ে মেয়র মহোদয়কে বিষয়টি জানাইনি। এজন্য বুধবার পৌরসভায় ডেকে নিয়ে আমাকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়।”
৬নং ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন বাহার জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন।
পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী জানান, কে বা কারা গাছ কেটেছে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রাথমিক পর্যায়ে পাহারাদারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গাছের ক্রেতা পলিটেকনিক সম্মুখস্ত আবদুর রহিম স’মিলের মালিক শহীদুল ইসলাম জানান, আমাকে জানানোর আগেই রুবেল গাছের টুকরা স’মিলে ফেলে রাখে। এর বিনিময়ে তাকে টাকা দিয়েছি। গাছের মূল অংশ কোথায় নিয়েছে সেটা জানিনা। রুবেল যে চুরি করছে, সেটা জানতাম না।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রুবেল এ প্রসঙ্গে জানান, বিটুপিকায় শতাধিক মরা গাছ রয়েছে। সেসব গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পড়ায় স্থানীয় নারীরা কুঁড়িয়ে নিচ্ছে। গাছ চুরির কোন ঘটনা ঘটেনি।