নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী শহরের মহিপালে গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ইসতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ ও সাইদুল ইসলামের মরদেহ দাফনের পর আদালতদের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য তোলা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আনন্দপুর এলাকার কবরস্থান থেকে শ্রাবণ ও সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের ফাজিলপুর এলাকার কবরস্থান থেকে সাইদুলের মরদেহ তোলা হয়।
মরদেহ উত্তোলনের সময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রহমান, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন, তদন্ত কর্মকর্তা আল-আমিন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নিহত শ্রাবণ ও সাইদুলের পরিবারের লোকজন সেখানে ছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আল-আমিন জানান, আদালতের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাইদুল ইসলামের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত গতকাল পুনরায় লাশ দাফন করা হয়েছে।
অপর তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, শ্রাবণের লাশ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় দাফন করা হবে।
নিহত শ্রাবণ দক্ষিণ আনন্দপুর এলাকার নেছার আহমদের ছেলে ও ফেনী সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং সাইদুল ফাজিলপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে ও বারইয়ারহাট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ৪ জুলাই ফেনী শহরের মহিপালে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচীতে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গুলিতে মারা যান শ্রাবণ-সাইদুল।
শ্রাবণ হত্যার ঘটনায় ১৬ আগস্ট তার মা ফাতেমা আক্তার শিউলী আর সাইদুল হতার ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উভয় মামলায় সদ্য পতন হওয়া সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী সহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের সাড়ে ৫শ নেতাকর্মী আসামী রয়েছে।