নিজস্ব প্রতিনিধি :
দাগনভূঞা পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের বহুতল ভবন ভূঞা ম্যানশন দখলের চেষ্টাকালে নির্যাতনের শিকার গৃহকর্তা আবদুল গফুর ভূঞার মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা গ্রহনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ওই মামলায় উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবদীন মামুন সহ ৭ জনকে আসামী করা হয়েছে। রবিবার দাগনভূঞা আমলী আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফারহানা লোকমান এ আদেশ দেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রয়াত গফুর ভূঞার ছেলে রিয়াদ হোসেন রাজু বাদি হয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে মামুন ছাড়াও আমান উল্যাহপুর এলাকার নির্মল সাহার ছেলে দহন সাহা, রুহিনী সাহার ছেলে নির্মল সাহা ও চয়ন সাহা, জগতপুর এলাকার আবদুল ওহাবের ছেলে আইয়ুব আলী, কালা মিয়ার ছেলে ছেরাজুল হক প্রকাশ হক সাব ও ইকবাল সহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামী করা হয়। মামলায় রাজু তার বাবা আবদুল গফুর ভূঞাকে নির্মম নির্যাতন ও ভূঞা ম্যানশনে হামলা-ভাংচুরের ভয়াবহ চিত্র উল্লেখ করেন।
বাদিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আলম জানান, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে দাগনভূঞা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত; গত বুধবার হাসপাতাল রোডের ৫ তলা ভবন দখল করতে নারকীয় তান্ডব চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় ক্যান্সার আক্রান্ত আবদুল গফুর ভূঞা হামলার শিকার হন। এরপর থেকে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শনিবার ভোরে ঢাকায় নেয়ার সময় পথিমধ্যে তিনি মারা যান।