শহর প্রতিনিধি :
দীর্ঘ ১৮ বছর পর আতাউর রহমান বুলবুল (৫০) গেলেন জয়পুরহাটের নিজ বাড়িতে। তবে জীবিত নয়, কফিনবন্দী হয়ে। তিনি জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের আবদুস সাত্তার মাস্টারের ছেলে। ২০০৬ সালে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে জয়পুরহাট থেকে ফেনীতে আসার পর বুলবুলের নাম-পরিচয় না মিললেও মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্র ধরেই পরিচয় মিলেছে অভাগার।
বুলবুলের ভাই রেজাউল করিম রিপন জানিয়েছেন, তার ভাই বুলবুল ১৯৮৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করার পর মানসিক সমস্যাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ২০০৬ সালে বাবা মাস্টার আবদুস সাত্তারের মৃত্যুর পর হঠাৎ বুলবুল নিখোঁজ হয়।
রিপন আরো জানায়, প্রায় ১০ বছর পর আমরা বুলবুলের ফেনীতে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে নিয়ে আসতে যাই। কিš‘ তাকে অনেক জোরজবরদস্তি করেও আনতে পারিনি। এরপর থেকে যাতায়াতের দূরত্বের কারণে বছরের পর বছর তার খবরাখবর আমরা আর পাইনি।
দীর্ঘ বছর ফেনী শহরে তার চলাফেরা হলেও কখনও কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত করেননি বুলবুল। নিজের মতো করেই থাকতেন। রাস্তা-ঘাট, রেলপথ, বাসস্ট্যান্ডসহ ফেনী শহরের সব জায়গায় ছিল বুলবুলের পদচারণা খাওয়া-দাওয়ায় অনাগ্রহী এ ব্যক্তির সাথে দেখা হয়নি এমন ব্যক্তি ফেনীর বাসিন্দাদের মাঝে খুঁজে পাওয়া যাবে না। বুলবুল বেশ কিছুদিন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে অজ্ঞাত হিসেবে চিকিৎসাধীন থেকে বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান।
স্বে”ছাসেবী সংগঠন সহায় তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাকালীন মারা যাওয়ার পর বুলবুলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিলে পরিচয় মেলে তার।
শনিবার ফেনী জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় বুলবুলের ছোটভাই বড়াইল ইউপি সদস্য মশিউর রহমান লেবু তার মরদেহ নিয়ে যান। সেখানে মা-বাবার কবরের পাশেই রবিবার সকালে তাকে দাফন করা হয়।