নিজস্ব প্রতিনিধি :
“মীর হোসেন ভূঁইয়া আমৃত্যু দেশপ্রেমিক সমাজ সংস্কারক ছিলেন। তিনি তরুণ বয়সে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশগড়ায় অংশ নিয়েছেন। স্বাধীনতার পর শিক্ষকতা পেশা বেছে নিয়েছেন। নিজ এলাকায় গড়ে তুলেছেন একটি হাই স্কুল। শিক্ষকতার পাশাপাশি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকলেও তিনি কখনো নীতিচ্যুত হননি। পেশাজীবী সংগঠন হিসেবে জেলা শিক্ষক সমিতিকে সুউচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করতে ভূমিকা রেখেছেন। ফেনী ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সভাপতি, জেলা স্কাউটস কমিশনার সহ বিভিন্ন সংগঠনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সমাজের জন্য তিনি অনস্বীকার্য অবদান রেখে গেছেন।”
সদ্য প্রয়াত ফেনীর বরেণ্য শিক্ষাবিদ মীর হোসেন ভূঁইয়ার স্মরণে মঙ্গলবার বিকালে নাগরিক স্মরণসভা “স্মৃতির আয়নায় মীর হোসেন ভূঁইয়া” অনুষ্ঠানে বক্তাগণ এসব কথা বলেন।
তারা আরো বলেন, “সর্বজন গ্রহণযোগ্য মীর হোসেন ভূঁইয়া ছাত্রজীবনে ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের জিএস ছিলেন। ব্যক্তি মরে যাবে। তার কর্ম থেকে যাবে। সমাজের জন্য তার আত্মত্যাগ অনুকরনীয়। নতুন প্রজন্মের তাকে তুলে ধরতে হবে।” এজন্য মীর হোসেন ভূঁইয়ার স্মৃতি ধরে রাখতে বৃত্তি সহ নানা পরিচালনার অনুরোধ জানান তারা।
শহরের ট্রাংক রোডের ডা: সাজ্জাদ হোসেন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক ও সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক ফেনী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। অতিথি ছিলেন ফেনী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আইয়ুব, প্রাক্তণ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোক্তার হোসেইন, প্রথম আলো প্রতিনিধি আবু তাহের, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল মোতালেব, সংগ্রাম প্রতিনিধি একেএম আবদুর রহীম, জয়নাল হাজারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো: আবদুল হালিম, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুকদেব নাথ তপন।
সাংবাদিক জসিম মাহমুদের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মীর হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে এডভোকেট রাজীব আহসান, শহর ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইকবাল আলম, দৈনিক স্টার লাইন নির্বাহী সম্পাদক মাঈন উদ্দিন, এডভোকেট সাইফুদ্দীন মজুমদার শাহীন, কাজীরবাগ দোস্ত মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার দত্ত, রুহিতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাখাল চন্দ্র দাস, প্রাথমিক শিক্ষক নেতা মহিউদ্দিন খন্দকার প্রমুখ।