অনলাইন ডেস্ক:
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডায়াবেটিস বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সঙ্গে ভিটামিন ডি-এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না থাকলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এর পাশাপাশি কিছু গবেষণায় ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই-এর ঘাটতিও ডায়াবেটিসের সাথে জড়িত থাকতে পারে।
ভিটামিন ডি এবং ডায়াবেটিস
গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কম, তাদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি। ভিটামিন ডি ইনসুলিন প্রতিরোধ (Insulin Resistance)-এর সঙ্গে জড়িত, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মূল কারণগুলোর একটি। এমনকি টাইপ ১ ডায়াবেটিসেও এই ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায়, যা অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষগুলোকে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণে প্রতিদিন ১,০০০ থেকে ২,০০০ আইইউ ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়—তবে এটি শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ভিটামিন সি ও ই-এর ভূমিকা
গবেষণা বলছে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট—বিশেষ করে ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই-এর মাত্রা সাধারণত কম থাকে। এই দুই ভিটামিন কোষের ক্ষয় প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা রোধে ভূমিকা রাখতে পারে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন
ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি (ডায়াবেটিসজনিত স্নায়ুর সমস্যা) রোগীদের মধ্যে অধিক দেখা যায়। এটি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে Endocrine Connections নামক একটি গবেষণাপত্র। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস থাকলে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, আর এই ক্ষতির সঙ্গে ভিটামিন বি১২-এর অভাবের সম্পর্ক থাকতে পারে।
সতর্কবার্তা
ভিটামিন ডি বা অন্যান্য সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। ডায়াবেটিস রোগীদের কিছু নির্দিষ্ট সাপ্লিমেন্ট, যেমন নিওাসিন, এড়িয়ে চলা ভালো। এছাড়া সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের সময় নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করাও গুরুত্বপূর্ণ।