আলী হায়দার মানিক :
পরশুরাম উপজেলার বিলোনীয়া এলাকায় বাউরখুমায় নদী থেকে উত্তোলনকৃত বালু লুটের মহোৎসব চলছে। একইভাবে পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়নের কাউতলী নদীর বেড়ীবাধে উত্তোলনকৃত বালু প্রভাবশালীরা লুট করা হচ্ছে। বাউরখুমায় ইজারা নেওয়া হলেও কাউতলীতে ইজারা ছাড়াই কোটি কোটি টাকা বালু উত্তোলন করা হয়েছে। উভয় এলাকায় বালু উত্তোলনের করণে এলাকার ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। আশপাশের বাড়ি-ঘরও হুমকির মুখে রয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ইজারাদার পালিয়ে যাওয়ায় যে যার মতো করে বালু নিয়ে যাচ্ছে। এলাকার বিভিন্ন রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে বলে দিনমজুররাও জানান। তবে ভয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছেন না। বাউরখুমা ও কাউতলীতে যে বালু সংরক্ষিত ছিল সেগুলো প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় যে যার মত করে নিয়ে যায়। বালুমহাল এখন বিশাল মাঠে পরিণত হয়েছে।
জানতে চাইলে উত্তোলনকৃত বালু নিতে আসা শ্রমিকরা জানান, কাউতলীতে জেলা জিয়া মঞ্চ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন নামের এক ব্যক্তি বালুমহাল দখলে নেন। তবে এখানে কোন ইজারা ছাড়াই আগে বালু উত্তোলন করা হয়েছে।
নুর হোসেন জানান, নতুন করে বালু উত্তোলন হচ্ছে না। উত্তোলনকৃত বালু বন্যার সময় বেশিরভাগ পানির সাথে চলে গেছে। যেগুলো রয়েছে সেগুলো যারা আগে জড়িত ছিল তারাই স্থাানীয় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন নিয়ে বিক্রি করছেন। সবার যোগসাজশে বালু বিক্রি হচ্ছে। তবে তিনি বালু বিক্রির সাথে জড়িত নন।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হাকিম জানান, নদীর বালু কারা ইজারা নিয়েছে সেটি তার জানা নেই। বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও উত্তোলনকৃত বালু ইজারাদারের দায়িত্বে রয়েছে। তারা বিক্রি করছে কিনা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ফেনীর সময় কে জানান, বালু উত্তোলন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে সংরক্ষিত বালু কেবা কারা নিয়ে যাচ্ছে সেটি জানা নেই। খবর নিয়ে পরশুরাম থানার ওসিকে বিষয়টি ক্ষতি দেখার নির্দেশ দেয়া হবে। ইজারার মেয়াদও ২০২৫ সালের ৪ এপ্রিল শেষ হবে।