সদর প্রতিনিধি :
পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ নেই। রয়েছে শিক্ষক সংকটও। শুধু তাই নয়, সুপার ও সহ-সুপার পদও শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে চলছে ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা। ফলে পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবরে পদোন্নতি নিয়ে অন্যত্র চলে যান মাদরাসার সুপার মাওলানা ইয়াহিয়া। অসুস্থতার কারণে অনিয়মিত সহ-সুপার মু. আমীর হোসেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অসুস্থ হয়ে ৪ মাস করে দুই মেয়াদে মেডিকেল ছুটি কাটান। পরবর্তীতে সেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন তিনি। এতে করে সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্র আরো জানায়, ১৯ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও মাত্র ৭ জন রয়েছেন। খন্ডকালীন ৪ জন শিক্ষকের সমন্বয়ে পাঠদান করা হয়। চলতি বছরের মে মাসে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষে হলেও কমিটি গঠন করা হয়নি। যার ফলে সুপার ও সহ-সুপার নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়নি। একটি টিন শেড ও দ্বিতল ভবনে চলছে পাঠাদান। একটি ভবনের কাজ শুরু হলেও অর্থের অভাবে শেষ হয়নি।
ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা আনোয়ার হোসেন জানান, শিক্ষক সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছেন। এনটিআরসি থেকে নিয়মানুযায়ী নিয়োগ দেয়া হলে সংকট কেটে যাবে।
তিনি আরো জানান, সরকারি বরাদ্দ থেকে জরুরী ভিত্তিতে একটি ভবন প্রয়োজন। ভবন সংকটের কারণে শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে হয়। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে এ সংক্রান্ত আবেদন জমা থাকলেও এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শফি উল্যাহ জানান, শীঘ্রই এডহক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়া সুপার ও সহ-সুপার পদে সহসা নিয়োগ হচ্ছে না। নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষক সংকট কাটাতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হবে।