নিজস্ব প্রতিনিধি :
শতভাগ বিদ্যুতায়িত ফেনী জেলায় বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ৪ লক্ষাধিক পরিবার। প্রচন্ড তাপদাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গত একমাস ধরে লোডশেডিংও বেড়েছে। গ্রামাঞ্চলে দিনে অন্তত ২০ ঘন্টার মত লোডশেডিং থাকে। এখন প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১৫ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ জনগণ, হাসপাতালের রোগী, আসন্ন এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা। তবে বিদ্যুৎ অফিসসহ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে পুলিশি পাহারা বসানো হয়েছে।
ফেনী পল্লী বিদ্যুত অফিস সূত্র জানায়, জেলার ৬ উপজেলায় ৪ লাখ ২৪ হাজার গ্রাহক রয়েছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রতিদিন দিনে ৮০ মেগাওয়াট ও রাতে ১১০ থেকে ১২০ মেগাওয়াট চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে দিনে শুধুমাত্র ৪০ থেকে ৪২ এবং রাতে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়। কখনো কখনো গ্রীড থেকে সরবরাহ বন্ধ করে দিলে শিডিউল বিপর্যয় হয়। এ কারণে লোডশেডিংও বেশি হচ্ছে।
একাধিক গ্রাহকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যুতের সমস্যায় নিয়মিত কাজের ব্যাঘাতের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। এ সমস্যায় সমস্যায় ঈদের সময়ও বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে ঈদের ক’দিন পরই শুরু হচ্ছে চলতি বছরের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা। বিদ্যুত না থাকায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছে শিক্ষার্থীরা। কখনো কখনো পূর্বঘোষণা ছাড়া সংস্কারের অজুহাতে টানা ৮-১০ ঘণ্টা বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।
কামাল উদ্দিন নামে একাধিক এসএসসি পরীক্ষার্থী জানায়, প্রচন্ড গরম আর অসহনীয় লোডশেডিংয়ে পড়ার টেবিলে বসতে পারছি না। লোডশেডিংয়ের কারনে বাজারে চার্জার ফ্যানেরও দাম বেড়ে গেছে।।
ব্যবসায়ী মো: নাছির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় তার দোকানের ফ্রিজে থাকা অনেক মিষ্টি ও কোমলপানীয়, খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হয়ে যায়। ক্রেতাদের কাছে কফি ও বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস বানিয়ে বিক্রি করতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (অপারেশন) আকাস কুসুম বড়ুয়া ফেনীর সময় কে জানান, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। যার ফলে মানুষ দিনদিন ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন জানানো হয়েছে। টহল পুলিশ নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রেখেছেন।