নিজস্ব প্রতিনিধি :
‘জুতা চোর ধরে দিন ৫ হাজার টাকা নগদ পুরস্কার নিন’ দুই বছর আগে এ ঘোষণা দেয় ফেনী শহরের শান্তি কোম্পানী জামে মসজিদ কমিটি। এনিয়ে মসজিদের দেয়ালে সাঁটানো হয় বিজ্ঞপ্তি। এতে জুতা চুরি কমেছে, তবে পুরোপুরি রোধ হয়নি।
মসজিদ কমিটি সূত্র জানায়, ১৯৭৮ সালে মরহুম সুলতান আহমদ শান্তি কোম্পানী নিজ বাড়ি প্রাঙ্গণে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। ধীরে ধীরে মসজিদটি চার তলায় সম্প্রসারিত হয়। কমিটির প্রচেষ্টায় মসজিদটির প্রথম ও দ্বিতীয় তলা এখন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
কমিটি আরো জানায়, মসজিদে জুতা চুরি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় শান্তি কোম্পানী জামে মসজিদ কমিটি জুতা চুরি রোধকল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। জুতা চোর ধরে দিতে পারলে নগদ ৫ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদানের বিজ্ঞাপন প্রকাশ ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে। এই পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরও জুতা চুরি অনেক কমেছে, পুরোপুরি রোধ হয়নি। তবে গত দুই বছরে একজন চোরও ধরা পড়েনি, ফলে ৫ হাজার টাকার পুরস্কারও কেউ নিতে পারেনি।
শান্তি কোম্পানি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ইদ্রিস ভূঞা বলেন, প্রতি সপ্তাহের জুমার দিন ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসে সকল ধরনের চুরির বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা ও ইসলামে এর শাস্তির বিধান তুলে ধরা হয়। এতে জুতা চুরি কমেছে, পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
মসজিদের মুসল্লী ও ফেনী সিটি গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম. মামুনুর রশীদ বলেন, মসজিদ ভিত্তিক কুরআন শিক্ষা, নূরানী মক্তব চালু থাকায় এই মসজিদের প্রাণ মুসল্লী শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। ভবিষ্যতে হয়তো মসজিদটি সম্প্রসারণেরও প্রয়োজন হতে পারে। মসজিদের উপস্থিত সমস্যা সহ অন্য যেকোনো বিষয়ে কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে দ্রæত সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়। যেমনটি জুুতা চুরির বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। পুরস্কার ঘোষণার পর থেকে জুতা চুরি অনেকটাই কমে এসেছে।
শান্তি কোম্পানি জামে মসজিদের সভাপতি সমাজসেবক কেবিএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাজারো মুসল্লির প্রিয় এই মসজিদের পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত থেকে মসজিদের উন্নয়নে সর্বদা কাজ করে আসছি। সম্প্রতি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সূউচ্চ মিনার নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণ খরচের সবটুকুই মুসল্লীরা আন্তরিকভাবে বহন করছে।