নিজস্ব প্রতিনিধি :
রাজনীতির মাঠে দাপিয়ে বেড়ান একসঙ্গে। জনপ্রতিনিধি হয়ে শহর-গ্রামে ভূমিকা রাখেন তারা। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর বিশ্বস্ত ‘দুই সেনাপতি’ হিসেবে পরিচিতি পেয়ে আওয়ামী রাজনীতির নিয়ন্ত্রনও তাদের ঘিরে। অথচ তারা দুইজন কাছে থেকেও নানা বিষয়ে দ্বন্ধ অনেকটা প্রকাশ্য। এর প্রভাব দলের সহযোগী সংগঠন ছাপিয়ে পড়ছে সরকারি-বেসরকারি নানা অনুষ্ঠানেও। এনিয়ে দলের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরাই নন, সিনিয়র নেতারাও বিব্রত হন মাঝেমাঝে। দীর্ঘদিন পর দুইজনের শীতল সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গতকাল মঙ্গলবার তিনটি ছবি নজরে আসলে রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতুহল ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের অনেকে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। একটি ছবিতে দেখা যায়, সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষে পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী ও কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান। আরেকটি ছবিতে পৌরসভার মেয়রের কার্যালয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল সহ দলীয় নেতারা। নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপির বাগানবাড়িতেও দুইজনের ঘনিষ্ঠ ছবি নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গতকাল দুপুরে পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীলের কার্যালয়ে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন। এরপর বিকালে পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর কার্যালয়ে আসেন উপজেলা চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল। এসব বৈঠকে সমসাময়িক রাজনীতি ও দলের নানা কর্মসূচী প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। এছাড়া চলতি মাসের শেষদিকে অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ফেনী সদর আসনের এলাকার আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী এবং জনপ্রতিনিধিদের যৌথ সভার আয়োজন নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।
ওই সূত্র আরো জানায়, আজ গণভবনে আয়োজিত এক সভায় ফেনীর বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা যোগদান করবেন। এর আগে তারা জেলার প্রভাবশালী এ দুই নেতার মান-অভিমান ভাঙ্গানোর উদ্যোগ নেন। এক্ষেত্রে জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপির নির্দেশনায় দুই উপজেলার দুই ইউপি চেয়ারম্যান নেপথ্যে ভূমিকা রাখেন। এদের একজন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন নিজাম উদ্দিন হাজারীকে সম্প্রতি দেখতে যান। এসময় শুসেন-স্বপন সম্পর্কের টানাপোড়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে ফিরেই সোমবার রাতে মাষ্টারপাড়ার বাগানবাড়িতে বসেন। সেখানে আরো দুই উপজেলা চেয়ারম্যান সহ কয়েকজনের রুদ্ধধার বৈঠক হয়।