নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী শহরের মহিপালে গতকাল রাতে মহাসড়ক ব্লকেড কর্মসূচীতে সংহতি জানান জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মুফতি আবদুল হান্নান। এসময় শহর আমির ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম ও সেক্রেটারী সামাউন হাসান সহ নেতাকর্মীরা সঙ্গে ছিলেন। জিরোপয়েন্টে কর্মসূচীতে অংশ নিয়েই ছাত্র-জনতার সাথে সড়কে বসে পড়েন মুফতি আবদুল হান্নান। একপর্যায়ে মাইক হাতে নিয়ে শ্লোগান শুরু করেন। ‘নিষিদ্ধ চাই নিষিদ্ধ চাই, আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ চাই’, ‘বিচার চাই বিচার চাই, আওয়ামীলীগের বিচার চাই’, ‘উই ওয়ান জাস্ট্রিস, উই ওয়ান জাস্ট্রিস’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘অ্যাকশান অ্যাকশান’, ‘জুলাইয়ের খুনিরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ওয়াসিক জামান-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘নিজাম-শুসেন ভাই ভাই, এক রশিতে ফাঁসি চাই’, ‘খুনি লীগের আস্তানা, জ¦ালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ প্রভৃতি শ্লোগান দেন। এসময় উপস্থিতিরাও উজ্জিবিত হয়ে তার সঙ্গে শ্লোগান দিয়ে প্রকম্পিত করে তুলেন।
শেষে আবদুল হান্নান তার বক্তব্যে বলেন, ‘শেখ হাসিনা সহ তার দোসরদের বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামীলীগ এদেশের ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালিয়ে, ছাত্র-জনতার লাশে আগুন দিয়ে যুদ্ধাপরাধ অপরাধ করেছে। যুদ্ধাপরাধী, গণহত্যাকারীদের সংগঠন আওয়ামীলীগ। বাংলাদেশের জঙ্গী নেত্রী হচ্ছে শেখ হাসিনা। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন হচ্ছে ছাত্রলীগ। ফেনীর মাটিতে কীভাবে আওয়ামীলীগ মিছিল করার সুযোগ পায় প্রশাসনকে জবাব দিতে হবে। কীভাবে এই ফেনীতে ঘুরে বেড়ায়। মহিপালের খুনি নিজাম-শুসেন সহ সকল খুনীদের গ্রেফতার করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আওয়ামীলীগ দেশ থেকে পলায়ন করেছে। দেশে আর ফিরে আসতে দেয়া হবেনা। বাংলাদেশে খুনি শেখ হাসিনা রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। স্বৈরাচারকে নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনে ছাত্র-জনতা রাজপথে আবার জীবন দিবে, রক্ত দিবে। তারপরও বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করবে ইনশাআল্লাহ।’