দৈনিক ফেনীর সময়

সংস্কার-নির্বাচন নিয়ে অবান্তর ধোঁয়াশা

সংস্কার-নির্বাচন নিয়ে অবান্তর ধোঁয়াশা

আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন- এমন সিদ্ধান্ত ছিল পাকাপোক্ত। এ নিয়ে যদি-তবে-কিন্তুর কোনো অবকাশ ছিল না। কোনো কোনো দল অন্তর্র্বতী সরকারকে সংস্কারের জন্য যতো ইচ্ছা ততোদিন সময় দেয়ার ব্ল্যাঙ্কচ্যাকও দিয়ে ফেলে। তাও দিন নয়, মাস নয় প্রয়োজনে বছরের পর বছর লাগলেও রাজি। আওয়ামী লীগ নামের বালামছিবতটি বিদায় নিয়েছে, এটিই ছিল তাদের মনের কথা। হতবাক করে দিন কয়েকের মাঝেই এতে ছেদ পড়ে। যোগ হয় নতুন কথাবার্তা। যতো শীঘ্র, দ্রুত, অবিলম্বে, অনতিবিলম্বে ইত্যাদি শব্দ যোগ করে নির্বাচনের তাগিদ বাড়াতে থাকে। তাদের কেউ চান নির্বাচনী রোডম্যাপ সাজাতে, কেউ চান টাইমফ্রেম। আবার কেউ কেউ বলতে শুরু করেন, সংস্কার এ সরকারের কাজ নয়। সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে সংসদের মাধ্যমে। সামান্য কয়েকদিনের মধ্যে এ ধরনের কথা শুনতে হবে, তা অনেকের কাছে ধারনার বাইরে।

প্রধান উপদেষ্টা ঢের আগেই বলে রেখেছেন প্রয়োজনের একদিনের বেশিও তার ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা নেই। এর সঙ্গে আরো যোগ করে বলেছেন, আপনারা ( রাজনৈতিক দলগুলো) যত দ্রুত তাকে বিদায় দেবে, ততই স্বস্তি পাবেন তিনি। এরপর আর প্রশ্ন থাকার অবকাশ ছিল না। কিন্তু, কথা আর প্রশ্ন ছোঁড়ার তীব্রতা যেন আরো বাড়তেই থাকে। সংস্কার করতে কতোদিন লাগবে, নির্বাচন কবে হবে, নতুন সংসদ এসে সংস্কার করবে-ধরনের কথার খই ফুটতে থাকে। এসব উদ্বেগ ও কথার জবাব আসে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এর কাছ থেকে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সে সাক্ষাতের মাধ্যমে তিনি জানিয়ে দেন আগামী ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্র্বতী সরকারকে সবধরনের সমর্থন দেবেন। সম্প্রতি ঢাকায় রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান ওয়াকার জানান, রাষ্ট্র পরিচালনা ও নির্বাচন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের জন্য অন্তর্র্বতী সরকার যেসব কাজ করছে তাতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে সেনাবাহিনীর। পরিস্থিতি যা-ই হোক, প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ হওয়া উচিত। তবে ধৈর্য ধরার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তিনি। সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করার একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সেনাপ্রধান যখন এই বার্তা দেন প্রধান উপদেষ্টা তখন জাতিসংঘ অধিবেশনের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে। এ সময় আলোচিত কোনো উপদেষ্টার বদলে স্বয়ং সেনাপ্রধানের মাধ্যমে বার্তাটি দেয়ার একটি গভীর উদ্দেশ্য অবশ্যই আছে। তা যার যার উপলব্ধির বিষয়। এরপরও অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য এসেছে। বলেছেন, যে ছয়টি বিষয়ে সংস্কার কমিশন করা হয়েছে তাদের সুপারিশের পরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নিউইয়র্ক টাইমসের সাথে এক সাক্ষাৎকারের তিনি এ তথ্য জানান। সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে তার বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও জানান। এ কথাও জানান, যে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার পুর্ণ সদ্ব্যবহার করতে চান তারা। আবার সংস্কারের পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নূন্যতম সময় প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। অপরাধ করে থাকলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানান ড. ইউনূস। বলতে বলতে এক পর্যায়ে জানিয়েও দেন বর্তমানে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলেও ভবিষ্যতে কোন নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন না তিনি।

ঘটনাপ্রবাহ এখানেই শেষ নয়। নির্বাচন-গণতন্ত্রসহ সব ধরনের কাজে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে দুই নেতার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নতুন রূপে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়া এদেশের পুর্নগঠনে পাশে থাকার আশ্বাসও দেয়া হয়। কথা হয়েছে রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে, এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

এর মাঝে, সংস্কার কাজের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সাড়ে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠকের সময় এ ঘোষণা দেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা। বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকারের নেওয়া সংস্কারের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন। ড. ইউনূসের সঙ্গে সংস্থাটির প্রধান ফলকার টুর্কের আলোচনায় ন্যায়বিচার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। এ সময় অন্তর্র্বতী সরকারের নেওয়ার সংস্কার উদ্যোগের প্রশংসা করেন টুর্ক। এ ছাড়া মানবাধিকার কমিশনের প্রধান নির্বাহীদের সমন্বয়ক ক্যারী কেনেডীর সাথেও বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। বিগত সরকারের গুম, খুনের অধিকতর তদন্ত চায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে অপর এক সাইডলাইন বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে মিলিত হন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌরবিদ্যুৎসহ নবায়ন যোগ্য জ্বালানী খাতে আরো বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানান। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইং বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্খা পূরণে এই সরকারের সফলতার বিষয়ে চীন আত্মবিশ্বাসী। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি সর্মা ওলির সাথেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টও প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করেন। নিউইয়র্ক টাইমর্সের প্রধান কার্যালয়ে বিখ্যাত ভূ-তাত্বিক, নৃ-তাত্বিক জানি গুড অলের হাতে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতির এ্যালবাম তুলে দেন।

কূটনীতির এমন যজ্ঞ,সংস্কার আয়োজনসহ পয়পরিস্কার কথার পর সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে? বা থাকা উচিত? যৌক্তিক এ প্রশ্নের মাঝেও সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে অবারিত কথামালা। প্রশ্ন ছোঁড়া হয়েছে, ১৮ মাসের মধ্যে সংস্কার শেষ করে নির্বাচন, নাকি সংস্কার শেষ করে ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন? ডিম আগে না মুরগি আগের মতো অবস্থা। জেনারেল ওয়াকারের আরো কিছু কথাও ছিল সাক্ষাতকারটিতে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য থাকা উচিত বলে মন্তব্যই নয়, সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না-তাও বলেছেন তিনি।

রয়টার্সের ‘বাংলাদেশ আর্মি চিফ প্লেজেস সাপোর্ট ফর ইউনূস ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট কাম হোয়াট মে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও তার সেনাবাহিনী আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ দমাতে ব্যবস্থা নেয়নি। এটিই শেখ হাসিনার পরবর্তী ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। ১৫ বছরের ক্ষমতা থেকে তিনি পদত্যাগ করে প্রতিবেশী দেশ ভারত চলে যেতে বাধ্য হন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে, বিশ্বে ক্ষুদ্রঋণ আন্দোলনের অগ্রদূত ড. ইউনূস বিচার বিভাগ, পুলিশ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সবাইকে ধৈর্য ধরার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

বলার আর তেমন কিছু বাকি রাখেননি সেনা প্রধান। কারো কারো মতে, যার কিছু কিছু না বললেও পারতেন। এরপরও বলেছেন। নিশ্চয়ই বলার দরকার আছে বলেই বলেছেন। এখানে জেনারেল ওয়াকারের সঙ্গে তার আগের সেনাপ্রধানদের মোটা দাগের তফাৎ। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী নামে উচ্চারিত ‘দেশপ্রেমিক’ শব্দটির মর্যাদা ফিরিয়ে এনেছেন তিনি। পতিত প্রধানমন্ত্রীকে পালানোর ব্যবস্থা, আওয়ামী লীগ দলীয় মন্ত্রী-এমপি নেতাদের ক্যান্টনমেন্টে প্রাণরক্ষায় আশ্রয়, আন্দোলনকারীদের নিবৃত করে আরো রক্তারক্তি থেকে দেশকে উদ্ধার করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সাথে কমিউনিকেশন রাখেন নিয়মিত। সাক্ষাতও করেন। সেনাবাহিনী অশান্ত পরিস্থিতির পর দেশকে স্থিতিশীল করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছেন। ‘আমি এমন কিছু করব না, যা আমার বাহিনীর জন্য ক্ষতিকর হবে। আমি আমার সেনাবাহিনীকে পেশাদার রাখতে চাই’- এ কথাও বলেছেন। বাংলাদেশের পুলিশের এক লাখ ৯০ হাজার সদস্যের একটি অংশ এখনো বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। তাই সেনাবাহিনী দেশের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

সরকারের পতনের পর সংস্কারের অংশ হিসাবে সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগও আমলে নিয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকা সংস্থাগুলোতে দায়িত্ব পালনকারী কিছু সামরিক কর্মকর্তা আইনের বাইরে গিয়ে কাজ করে থাকতে পারেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে ‘গুম’ হয়ে থাকতে পারে এমন প্রায় ৬০০ জনের বিষয়ে তদন্তের জন্য অন্তর্র্বতী সরকার হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করেছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে যা-ই ঘটুক, সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে চান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি সৈন্য রয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সেনা পাঠিয়ে অবদান রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে, যা সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রিত হয়। অন্তর্র্বতী সরকারের অধীনে একটি সাংবিধানিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় বিষয়টি সংশোধনের দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন সেনাপ্রধান। তা’হলে আর বাকি থাকলো কি?

আমাদের জাতীয় ইতিহাসের ৫৩ বছরে রাজনীতির সাপ-লুডুর খেলা চলে আসছে, যার বিষাক্ত পরিণতি আমরা বারবার দেখেছি। স্বাধীনতার চ্যাম্পিয়ন একনায়ক হয়েছে, বহুদলীয় গণতন্ত্রের সংসদীয় পদ্ধতির সংবিধান বারবার বলাৎকারের শিকার হয়েছে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের স্বেচ্ছাচারিতা ও পরিবারতন্ত্র রাজনৈতিক দল ও সরকারব্যবস্থাকে এবং সর্বোপরি সমগ্র জাতিকে জিম্মি করে রেখেছে। দ্বিতীয় স্বাধীনতার বৈষম্যবিরোধী স্লোগান এসব অনিয়ম ও কলুষতাপূর্ণ সরকার ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিদ্রোহ।

আমাদের দেশে স্বাধীনতার পর থেকে যে দলগুলো শাসনক্ষমতায় এসেছে, সে দলগুলো দলের অভ্যন্তরে কখনও গণতন্ত্র মেনে চলেনি। ক্ষমতায় এসেও তারা দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটায়নি। বরং সরকারি ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করার চেষ্টা করেছে। ঠিকভাবে সংস্কারকার্য চালিয়ে গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি না করলে এবং ব্যক্তির নিজের ভেতরে সংস্কার না করলে সত্যিকারের গণতন্ত্র দৃশ্যমান হবে না। জো বাইডেন কিংবা আন্তর্জাতিক বিশ্ব দেশ পুনর্গঠনে সমর্থন দিতে পারেন বটে, কিন্তু মূল কাজটা হতে হবে এই দেশে এবং সেটা হতে হবে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েই। অনেক রকম সংস্কারের মধ্যে এখানে প্রস্তাবিত সংবিধান, বিচার, নির্বাহী, আইন প্রণয়ন, নির্বাচনব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক দল সম্পর্কিত সংস্কারগুলো মাধ্যমে ভবিষ্যতে একটা সুন্দরতম ব্যবস্থা গড়ে উঠতে পারে। সামনের দেড় বছর জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। দেশ পুনর্গঠনে সময়টি হয়ে উঠুক তাৎপর্যপূর্ণ—আমাদের সেটাই চাওয়া। সেইসঙ্গে, সংস্কারে কতো সময় লাগবে, এরপর নির্বাচন কবে হবে- তা সরকার ও রাজনৈতিক দলের আলোচনায় নির্ধারণ হোক, এর মাঝে অন্য কিছু যোগ না হোক-সেই প্রত্যাশাও থাকলো।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!