দৈনিক ফেনীর সময়

সোনাগাজীতে আমন মৌসুমে ধান চাষে উদ্বুদ্ধকরণ মাঠ দিবস

সোনাগাজীতে আমন মৌসুমে ধান চাষে উদ্বুদ্ধকরণ মাঠ দিবস

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সোনাগাজীতে আঞ্চলিক ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ব্রি-১০৩ ও ব্রি-৮৭ জাতের ধান চাষাবাদের উদ্বুদ্ধ করণ মাঠ দিবস ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সোনাগাজী আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিশ্বজিৎ কর্মকারের সভাপতিত্বে ও জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাঈম আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক মোফাজ্জল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রি-আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার সিএসও ড. মো. রফিকুল ইসলাম, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আদেল রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফেনীর উপ-পরিচালক মো. একরাম উদ্দিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার।

বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট সোনাগাজী কর্তৃক নতুন উদ্ভাবিত আমন ধান ব্রি-১০৩ এবং ব্রি-৮৭ জাতের ধান ইনস্টিটিউটের সার্বিক তত্বাবধায়নে ২ একর জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করেন স্থানীয় তরুন কৃষি উদ্যোক্তা আবু সাইদ রুবেল। প্রথমবার চাষেই নতুন জাতের এই ধান বাম্পার ফলন হয়েছে।

প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিশ্বজিৎ বলেন, আরও কিছু গবেষনা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বীজ প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদনের পর এই ধানের বীজ কৃষক পর্যায়ে চাষের জন্য উম্মুক্ত করা হবে।

বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক মোফাজ্জল করিম বলেন, টেকসই ধান প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে তথা সোনাগাজীতে উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষে তৃণমূল কৃষকদের আগ্রহ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে আউশ ও আমন মৌসুমে যেসব ধান উদ্ভাবিত হয়েছে সেসব ধান স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন। মাত্র ১১০দিনে এ ধানগুলো কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবে। নতুন উদ্ভাবিত ধানগুলো অধিক পুষ্ঠিগুণ সমৃদ্ধ ও পরিবেশ বান্ধব। বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে এসব জাতের ধান চাষের বিকল্প নেই। নতুন উদ্ভাবিত ধানগুলো চাষাবাদে সারও কম লাগে, পোকা মাকড়ও কমধরে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত মেধাবী। তারা বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে, উন্নত জাতের নতুন নতুন ধান আবিস্কার করছেন। তাই বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে চাষ করতে হবে। এক ফসলি জমিগুলোকে তিন ও চার ফসলি জমিতে রূপান্তর করতে হবে। সরকারও কৃষি খাতে ভুতুর্কি এবং বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা অব্যাহত রেখেছেন। সরকারের এই সহযোগিতাকে কাজে লাগিয়ে ধান উৎপাদনে কৃষকদের মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা থেকে ধান উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করা বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগনসহ স্থানীয় আমন আবাদকারী কৃষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!