নিজস্ব প্রতিনিধি :
সোনাগাজীতে নিষেধাজ্ঞার ১১দিন পর দুটি ইউনিয়নে ২৫০ জেলে পরিবারের মধে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে চর চান্দিয়া ইউপিতে ১০০ এবং সদর ইউপিতে ১৫০ পরিবার রয়েছে। প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ২২দিন নদীতে ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। এজন্য মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার চর চান্দিয়া ও সদর ইউপিতে জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
জেলেরা বলছেন, নদীতে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের সংসার চলছে ধার-দেনায়। তাদের একেক পরিবারে ৫-৬জন করে সদস্য রয়েছে। ২২ দিনের জন্য ২৫ কেজি চাল দিয়ে তাদের পরিবারে কোনভাবে চলে না। তাদের অনেকে বিভিন্ন মহাজন ও এনজিওর কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার জন্য মৎস্য বিভাগ মাছ ধরার ওপর গত ৭ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় এসময়ে নদীতে মাছ ধরা, বেচাকেনা, পরিবহন, মজুদ ও বিনিময় করা যাবে না। এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থেকে কাজ করছেন। প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ ২২দিন নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য জেলেদের প্রতি আহবান জানানো হয়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা, উপজেলার চর চান্দিয়া ও সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের নিবন্ধিত জেলেদের মধ্য থেকে ইলিশমাছ শিকারী ২৫০ জেলে পরিবারের মধ্যে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ পরিষদ কার্যালয়ে চালগুলো বিতরণ করেছেন।
তিনি বলেন, সোনাগাজী উপজেলায় ১হাজার ৯৯৭জন নিবন্ধিত জেলে পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে ২৫০পরিবারকে সরকারীভাবে পাওয়া চাল দেওয়া হয়েছে। বাকী জেলেদের জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। সহায়তা পেলে তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মোশররফ হোসেন মিলন বলেন, তার ইউনিয়নের একশ জেলে পরিবারের মধ্যে ইউপি কার্যালয়ে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করেছেন।
অপরদিকে সদর ইউপি চেয়ারম্যান উম্মে রুমা বলেন, তার ইউনিয়নেরও ১৫০জন জেলে পরিবারের মধ্যে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।