নিজস্ব প্রতিনিধি :
সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের বকুলতলা এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে অপরিকল্পিতভাবে মুরগির খামার করায় দুর্গন্ধে স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধের উপক্রম হয়েছে। দুর্গন্ধের ফলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর পরিমাণ দিনদিন কমে যাওয়ার পাশাপাশি দায়িত্বরতরাও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। শুধু তাই নয়, তৎসলগ্ন বকুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এনিয়ে দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাদুরিয়া গ্রামের বকুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বকুলতলা কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে বাড়ীর ছাঁদে মুরগির খামার গড়ে তোলেন ওই এলাকার জালাল আহম্মদের ছেলে ওমর ফারুক। মুরগির বিষ্ঠার অসহনীয় দুর্গন্ধে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। খামারটির পাশে একটি ভবনের ছাদে মুরগির খামারের বিভিন্ন মালামাল ও পরিত্যক্ত বিষ্ঠা রাখা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে আরেকটি খামার তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।
স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী আবু তৈয়ব জানান, বাড়ীর ছাঁদে গড়ে উঠা খামারের বিষ্ঠার ময়লার দুর্গন্ধে আশপাশের লোকজন বসত করা কষ্ট হয়ে পড়েছে। প্রায় সময় শিশু রোগীর অভিভাবকরা চিকিৎসা নিতে কমিউনিটি ক্লিনিকে আসতে নাকে রুমাল দিতে হয়। তবে আগের তুলনায় রোগীর পরিমান কমে গেছে। অনেকে এলেও নাকে কাপড় চেপে ওষুধ নিয়ে জলদি চলে যায়।
একাধিক অভিভাবক জানান, খামারের পাশ্ববর্তী বকুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুর্গন্ধে শ্রেণিকক্ষে বসতে কষ্ট হয়। স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিষয়টি ফেনী পরিবেশ অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
বগাদানা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বাবুল জানান, কমিউনিটি ক্লিনিক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে মুরগির খামার গড়া উচিত নয়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার আশংকা থাকে।
পরিবেশ অধিদপ্তর ফেনী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ জানান, বসতঘর, কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে মুরগির খামার গড়তে ছাড়পত্র দেয়া হয়না। কোন ব্যক্তি পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া মুরগির খামার তৈরি করলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফেনী জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর নুর করিম জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।