নিজস্ব প্রতিনিধি :
সোনাগাজীতে মারামারির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার মাসের সাজা পেয়েছিলেন আবদুর রহিম (৩২)। সেই সাজা থেকে বাঁচতে সৌদি আরবে সাড়ে পাঁচ বছর পালিয়ে ছিলেন। সাড়ে পাঁচ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে ধরা পড়েছেন। বুধবার ভোরে ফেনী শহরের বোনের বাসা থেকে আবদুর রহিমকে গ্রেফতার করা হয়। একই দিন দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের চর কৃষ্ণজয় এলাকার আবু ছায়েদের ছেলে।
থানা-পুলিশ জানায়, ২০১৬সালে মারামারির অভিযোগে আবদুর রহিমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায় আবদুর রহিম। এরপর তিনি আর আদালতে হাজির না হয়ে গোপনে সৌদি আরব চলে যান। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৭সালে আদালত আবদুর রহিমকে চারমাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। অপর আসামিরা গ্রেফতার হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা খেটে কারাগার থেকে বের হলেও আবদুর রহিম পলাতক ছিলেন।
সোনাগাজী মডেল থানার এসআই মো: মাহবুব আলম সরকার বলেন, আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা পাওয়ার পর থানার অনেক কর্মকর্তা আবদুর রহিমের খোঁজে মাঠে নামেন। কিন্তু প্রবাসে থাকায় কোথাও তার কোন সন্ধান পায়নি। পার্সপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় চলতি মাসে তিনি বিদেশ থেকে দেশে আসেন। এরপরও রহিম গ্রেফতার এড়াতে প্রায়ই স্থান পরিবর্তন করে বোনের বাসা, শ্বশুর বাড়িসহ বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করতেন। গত কয়েকদিন আগে তাকে ধরতে তিনি ছদ্মবেশে গ্রামের বাড়িসহ তিনটি ঠিকানায় এবং সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে গিয়ে খোঁজখবর নেন। পরে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তার মোবাইল নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করেন। সেই নম্বরের সূত্র ধওে গতকাল ভোর রাতে ফেনী শহরের বোনের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো: খালেদ হোসেন বলেন, আবদুল রহিমকে আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।