নিজস্ব প্রতিনিধি :
সোনাগাজীতে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়–য়া নিজের কন্যা সন্তানকে (১১) যৌন নিপিড়নের অভিযোগে মাদকাসক্ত পিতা সোয়েব আহম্মদ খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার মোবারক ঘোনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক। গত শুক্রবার দুপুরে নিজ বাড়িতে ওই ছাত্রী যৌন নিপিড়নের শিকার হয়। রবিবার দুপুরে ওই শিশু পিতার বিরুদ্ধে যৌন নিপিড়নের ঘটনায় আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
অভিযুক্ত পাষন্ড সোয়েব আহম্মদ খান নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার গোবিন্দ শ্রী এলাকার আবু সাঈদ খানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মোবারক ঘোনা এলাকার বসবাস করে আসছেন।
এ ঘটনায় গত শনিবার সন্ধ্যায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সুয়েব আহম্মদ খানকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমণ আইনে মামলা করেছেন। মামলা দায়েরের পর স্থানীয়দের সহায়তায় রাতেই মোবারক ঘোনা এলাকা থেকে পুলিশ সুয়েবকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সোয়েব আহম্মদ খান দীর্ঘদির ধরে মাদকাসক্ত। প্রায়সময় মাদকসেবন করে বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী-সন্তানদেরকে মারধর করত। সোয়েবের বড় মেয়ে স্থানীয় একটি মাদরাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। প্রায়সময় সোয়েব মাদকাসক্ত হয়ে বাড়িতে এসে মেয়েকে যৌন নিপিড়ন করতেন। শুক্রবার দুপুরে সোয়েবের স্ত্রী বাড়িতে ব্যক্তিগত কাজে পাশের ঘরে গেলে সোয়েব তার বড় মেয়েকে ডেকে তার কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক যৌন নিপিড়ন করেন। এসময় তার চিৎকারে মেয়েটির মাসহ বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে সোয়েব ঘর থেকে বের হয়ে অন্যত্র চলে যায়। পরে মেয়েটি তার মাকে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলে। ছাত্রীর মা সোয়েবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার এসআই নাছির উদ্দিন বলেন, গতকাল রবিবার দুপুরে ফেনীর অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল ফেরদৌসের আদালতে যৌন নিপিড়নের শিকার ওই শিশুকে হাজির করা হয়। পরে শিশুটি আদালতে ২২ ধারায় তার বাবার বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে শিশুটিকে তার মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো: খালেদ হোসেন বলেন, ঘটনায় জড়িত সোয়েবকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে নিজের দোষ স্বীকার করেছে। রবিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।