হোসাইন সুজন :
প্রচন্ড গরমে রসাল লিচুর প্রতি আকর্ষণ যেন একটু বেশি। ফেনীর বাজারে উঠতে শুরু করেছে মৌসুমের রসালো ফল লিচুর জমজমাট কেনাবেচা। গতকাল শনিবার ফেনী শহরের প্রাণকেন্দ্র ট্রাংক রোডের দোকান গুলোতে দেশি লিচু বিক্রি ও দিনাজপুরের চায়না-৩ লিচু বিক্রি করতে দেখা যায়।
ক্রেতারাও পছন্দের লিচু কিনতে ভীড় জমাচ্ছেন। ফেনী শহরের দোকানসহ বিভিন্ন এলাকায় লিচুর পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। দামে বেশি হলেও ক্রেতারা তাদের পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে ক্রয় করছেন। কেউ কেউ আবার প্রিয়জনের জন্য লিচু কিনে বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তবে সুমিষ্ট স্বাদের বোম্বাই, চায়না-৩, কাঁঠালি ও বেদনা জাতের লিচু কিছু কিছু আসতে শুরু করায় পুরোদমে চলছে কেনাবেচা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠেছে বাজারের ফলপট্রি ও বিভিন্ন অলি-গলি।
ট্রাংক রোডের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, বাজারে বর্তমানে চায়না-৩, বোম্বাই, কাঁঠালি, আঁটি ও বেদনা জাতের লিচু বেচাকেনা চলছে। লিচুর জাতভেদে ১০০টি করে লিচু বিক্রি হচ্ছে কাঠালি ৩৮০-৪০০ টাকা, বোম্বাই ৪০০-৪৫০ টাকা, আঁটি আকারবেদে ২৫০-৩৮০ টাকা, বেদনা ৫০০ টাকা, দিনাজপুরের চায়না-৩ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা।
তিনি আরো জানান, দৈনিক ৪০০০ থেকে ৫০০০ হাজার লিচু বিক্রি হয়। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ৭ হাজার থেকে ৮হাজার লিচু বিক্রি হয়। গতবারের তুলনায় এবার ভালো বিক্রি হচ্ছে।
ট্রাংক রোডের আরেক ব্যবসায়ী মো: ছোটন জানান, সকাল থেকেই ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকে। লিচুর মান ভালো হওয়ায় বিক্রিও ভালো হচ্ছে। তিনি কাঠালি ও বোম্বাই লিচু বিক্রি করছেন প্রতি ১০০টি, লিচু ৪০০- ৪৫০ টাকা।
এক ক্রেতা জাহেদা আক্তার জানান, লিচু কিনতে এসেছি মেয়ের শশুর বাড়িতে দেয়ার জন্য। দাম এখনও কমে নাই। দেখতেছি এখনও কেনা হয় নাই।
মো: জাহিদ নামে আরেক ক্রেতা জানান, মাঝারি আঁটি লিচু নিয়েছি ১০০টি, ৩০০ টাকা দিয়ে।
ক্রেতা বেলাল হোসেন জানান, ছেলেদের জন্য লিচু কিনতে এসেছেন তিনি। দাম বেশি মনে হচ্ছে। মৌসুমি ফল খেতেই হবে তাই দাম যাই হোকনা লিচু কিনতেই হবে। ১০০টি কিনলাম ৪০০ টাকায়।