শহর প্রতিনিধি :
চলছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। ফেনী শহরের পাড়া-মহল্লার রাস্তায় ডাবের বেচাকেনা বেড়েছে। বাড়তি তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে চাহিদা বেড়েছে পানীয় ফলে। তীব্র গরমে কিছু স্বস্তি পেতে ডাবের পানির ওপর ভরসা করেন অনেকে। তীব্র গরমে চাহিদা বেশি থাকায় বেড়েছে ডাবের দাম।
শহরের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বড় আকারের ডাবের দাম ১৪০-১৫০ টাকা পর্যন্ত হাঁকছেন দোকানিরা। ছোট আকারের কচি ডাব কিনতে গেলেও গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার রেলগেট, মিজান রোডের মোডে, পাঠানবাড়ী মোডে, মহিপাল, একাডেমি, সদর হাসপাতালের মোড, ডায়াবেটিক হাসপাতালের সামনে, আদালত পাড়াসহ বিভিন্ন মোড়ে সর্বনিম্ন ১শ টাকায় প্রতি পিস ডাব বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। ছোট আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকায়। দরদাম করলে কোথাও কোথাও একটু কম রাখছেন কোনো বিক্রেতা। ডাবের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ গেলেও গরমে পানির চাহিদা মেটাতে ডাব কিনছেন অনেকে।
মিজানুর রহমান নামে এক ক্রেতা জানান, আমি প্রতিদিন একটি করে ডাব খাই। তবে গরমে আসায় আগের থেকে ডাবের নাম বেড়ে গেছে। আগে যেই ডাব ছিল ৮০-৯০ টাকা এখন তা বেড়ে ১১০-১২০ টাকা।
শাকিল আহমেদ নামে একজ ক্রেতা জানান, আমার আব্বু অসুস্থ ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভর্তি। ডাব কিনতে এসেছি, ১০০ টাকার নিচে কোনও ডাব নেই, মাঝারি একটি ডাব নিয়েছি ১২০ টাকা।
নজরুল ইসলাম নামে আরেক ক্রেতা জানান, গরমে প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে দুই-তিনটি ডাব খাই। বর্তমানে ১০০ টাকার নিচে ডাব কেনা যায় না। অসহ্য গরমে ১৩০ টাকা টাকায় ডাব খাচ্ছি।
মিজান রোডের মাথায় ডাব বিক্রি করেন মো: মিলন। তিনি জানান, পাইকারিতে ডাবের দাম বেড়েছে। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আগে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টি ডাব বিক্রি করতাম। আর এখন বিক্রি করছি ১৮০ থেকে ২০০টি ডাব।
শহীদ হোসেন উদ্দিন বিপনী বিতান সংলগ্ন স্থানের বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, গরম এলে ডাবের দাম ও চাহিদা দুটোই বাড়ে। আমি ১০০ ডাব কিনেছি ১০ হাজার টাকায়। সঙ্গে রয়েছে পরিবহন খরচ। এর মধ্যে কিছু ডাব ছোট; সেগুলো প্রতিটি ১০০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে।