Untitled-1

ফেনীতে মশলার বাজারে স্বস্তি দাম বেড়েছে এলাচির

ফেনীতে মশলার বাজারে স্বস্তি দাম বেড়েছে এলাচির

নিজস্ব প্রতিনিধি :
ঈদুল আজহার আর মাত্র ৩দিন বাকি। এ সময়ে মসলাপণ্যের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। ২০২৪ সালের শেষার্ধে ভোজ্যতেল, চাল, গমসহ একাধিক পণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখিতা খাদ্যশস্যের বাজারকে অস্থিতিশীল করেছিল। তবে ২০২৫ সালের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন বেশকিছু পণ্যের বাজারদর ক্রেতাদের হাতের নাগালে, বিশেষ করে মসলাপণ্যের।

ফেনীর বড় বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদ আয়োজনকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলাপণ্যের দাম আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কম থাকায় স্বস্তি পাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। ঈদের আগে চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও সরবরাহ থাকায় বাড়ছে না মশলার দাম।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আমদানীকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। যা গত বছর ছিলো কেজি প্রতি ৭০-৭৫ টাকা ও আমদানীকৃত পেঁয়াজের দাম ৭৫-৮০ টাকা।

প্রতি কেজি দেশী আদা আকার অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে ১১০-২৫০ টাকা এবং আমদানীকৃত আদা ১১০-২২০ টাকায়। ২০২৪ সালে দেশী আদার দাম ছিল কেজিপ্রতি ৪০০-৪৫০ টাকা।

দেশী রসুনের দাম ১১০-১৬০ টাকা ও এলসি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮৫-২৪০ টাকায়। যা গত বছর একই সময়ে দেশী রসুনের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১৯০-২২০ টাকা ও এলসি রসুন ২১০-২৪০ টাকা।

মশলার বাজারে চাহিদা ব্যাপক হলেও জনমনে নেই বাড়তি দামের চিন্তা। মরিচ গুড়া বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়। হলুদ গুড়া বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা কেজি দরে। মিক্সড মাংসের মশলা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। নাটোরের গোটা হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায় চিকনটা ২২০ টাকায় । ইন্ডিয়ান জিরা বিক্রি হচ্ছে ৬৩০-৬৫০ টাকায় ইরানি ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়। গোল মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৪০০ টাকায়। ধনিয়া বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায়।

দারুচিনি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায় এবং তেজপাতা ১৪০ টাকায়। লবঙ্গ ১২৬০ টাকায়, কালজিরা ৩৬০-৩৬৫ টাকায়, জায়ফল ৫৭০ ও জয়ত্রি ২৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে এলাচিতে। এলাচি বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৪৫০০ থেকে ৫২০০ টাকায় যা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।
ভোজ্য তেলে নেই সংকট, পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে সরবরাহ। লিটার প্রতি প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকায়।

ফেনীর বড় বাজারের মা গ্রোসারির স্বত্বাধিকারী রাজিব বলেন ৫ই আগষ্টের পর বাজারে দৃশ্যমান স্বস্তি এসেছে। দাম বাড়ার সুযোগ নেই। ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করছে। সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে।

একই ধরনের কথা বলেন বারাহীপুর স্টোরের স্বত্বাধিকারী আলী হোসেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!