মাও: রশিদ আহমদ শাহীন
ভূমিকা : আর কয়েকদিন পর পশ্চিম আকাশে দেখা যাবে যুলহাজ¦ মাসের চাঁদ। আমাদের সামনে হাজির হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। এ বাঁকা চাঁদ মুসলিম সমাজে নিয়ে অনাবিল আনন্দ। ধনী, দরিদ্র ঈদের খুশিতে মেতে উঠবে। তাই ঈদের অনাবিল আনন্দ ভাগ করে নিতে সকলকে জানাই পবিত্র ঈদুল আযহার অগ্রীম শুভেচ্ছা। ঈদের আনন্দে আমরা আত্মহারা হবো তা ঠিক। কিন্তু ঈদ কি ? ঈদের আনন্দ কি ? ঈদে আমাদের করণীয় কি ? বর্জনীয় কি ? তা নিয়ে এ নিবন্ধে আলোচনা করা হলো ইনশাআল্লাহ।
ঈদ কী ? ঈদ আরবি শব্দ । ঈদের অভিধানিক অর্থ হল বারবার প্রত্যাবর্তন করা। ঈদ শব্দের অর্থ পুনরাগমন। যে উৎসব বা পর্ব নির্ধারিত দিনে বা সময়ে প্রতি বছর ঘুরে ঘুরে আসে তাকে ঈদ বলে। ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। ইসলাম সামাজিক আনন্দ ও উৎসবকে ইবাদত ও জনকল্যাণের সাথে সংযুক্ত করেছে। ঈদুল আযহা আমাদের সবচেয়ে বড় দুইটি ধর্মীয় উৎসবের একটি। বাংলাদেশে এ উৎসবটি কুরবানির ঈদ নামে পরিচিত। ঈদুল আযহা মূলত আরবী বাক্য। এর অর্থ ত্যাগের উৎসব মূলত হচ্ছে ত্যাগ করা। এ দিনটিতে মুসলিম উম্মাহ তাদের সাধ্যমত মহান আল্লাহর সন্তোষ্টির জন্য উট, গরু, দুম্বা ও ছাগল কুরবানি করে থাকে। ঈদুল আযহার দিবসে আমরা প্রথমে মহান আল্লাহর সন্তোষ্টির জন্য সালাত আদায় করি। এর পর কুরবানি করি, গোস্ত খাই ও বিতরণ করি এবং এর পর আনন্দ করি। এ আনন্দ অন্য কোন সময়ের সাথে তুলনীয় নয়।
ঈদের প্রবর্তন ও সূচনা:
মহান আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহর প্রতি রহমত হিসাবে ঈদ দান করেছেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) যখন মদিনায় আসেন তখন দেখেন যে সেখানকার লোকেরা বছরে ২ দিন আনন্দ করতো। খেলাধুলা করতো। রাসূলুল্লাহ (সা.) জিজ্ঞেস করলেন এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে ? মদিনাবাসী গণ উত্তর দিলেন আমরা মুর্খতার যুগে এ দুদিনে খেলাধুলা করতাম তখন রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এদুদিনের পরিবর্তে তোমদের কে এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ ২টি দিন দিয়েছেন তা হল ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর।
ঈদের দিনে করণীয় :
ঈদ আমাদের জন্য এক বিরাট নিয়ামত। কিন্তু আমরা এ দিনকে নিয়ামত হিসাবে গ্রহণ করি না। এ দিনে অনেক কাজ আছে যার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তায়ালার নিকটবর্তী হতে পারি এবং ঈদ উদযাপন ও একটি ইবাদতে পরিণত করতে পারি। নিচে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো।
- ফজরে নামায জামায়াতে আদায় করা:
আমাদের দেশের অনেকেই ফজরের নামাজ আদায় করে না। ঈদের জন্য ফজরের নামাজ জামায়াতে পড়ার গুরুত্বও দেয় না। অথচ ফজরের নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যদি তারা ইশা ও ফজর নামাজের মধ্যে কী আছে তা জানতে পারতো তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এ দুটি নামাজের শামিল হত।’
- ঈদের দিন গোসল করা :
ঈদের দিন গোসল করার মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা একান্ত প্রয়োজন। কেননা এ দিনে সকল মানুষ সালাত আদায়ের জন্য মিলিত হয়।
- ঈদের দিন খাবার গ্রহণ :
ঈদুল ফিতরের দিনে ঈদের সালাত আদায়ের পূর্বে খাবার গ্রহণ করা এবং ঈদুল আজহার দিন ঈদের সালাতের পূর্বে কিছু না খেয়ে সালাত আদায়ের পর কুরবানির গোশত খাওয়া সুন্নাত। বুরাইদা রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, ‘নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়াসাল্লাম ঈদুর ফিতরের দিনে না খেয়ে বের হতেন না, আর ঈদুল আজহার দিনে ঈদের সালাতের পূর্বে খেতেন না। - নতুন বা পরিচ্ছন্ন পোষাক পরিধান করা :
ঈদে উত্তম জামা-কাপড় পরিধান করে ঈদ উদযাপন করা। এ দিনে সকল মানুষ একত্রে জমায়েত হয়, তাই প্রত্যেক মুসলিমের উচিত হল তার প্রতি আল্লাহর যে নিয়ামত তা প্রকাশ করণার্থে ও আল্লাহর শুকরিয়া আদায় স্বরূপ নিজেকে সর্বোত্তম সাজে সজ্জিত করা।
- প্রতিবেশীর খোঁজ-খবর নেয়া:
ঈদের সময় প্রতিবেশর হক আদায়ের সুযোগ তৈরি হয়। আল কুরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা ইবাদাত কর আল্লাহর, তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরিক করো না। আর সদ্ব্যবহার কর মাতা-পিতার সাথে, নিকট আত্মীয়ের সাথে, ইয়াতীম, মিসকীন, প্রতিবেশী, অনাত্মীয় প্রতিবেশী, পার্শ্ববর্তী সাথী, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকাভুক্ত দাস-দাসিদের সাথে।
- আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ-খবর নেয়া:
ঈদের সময় বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ-খবর নেয়া ও তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার বিশেষ সুযোগ তৈরি হয়। এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে আখেরাতে বিশ্বাস করে, সে যেন আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখে।
- দোয়া ইস্তেগফার করা :
ঈদের দিন আল্লাহ তায়ালা অনেক বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। ঈদের দিন আল্লাহ তায়ালা এক দল লোককে এমন ভাবে ক্ষমা করেন যেমনি তাদের মা নিষ্পাপ জন্ম দিয়েছিলেন।
- পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া :
আর ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া হল সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত। আলী রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: ‘সুন্নাত হল ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া।’ উভয় পথের লোকদেরকে সালাম দেয়া ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার জন্য যে পথে যাবে সে পথে না ফিরে অন্য পথে ফিরে আসা।
- ঈদের খুতবা শ্রবণ করা:
ঈদের খুতবা বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। এতে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়ে থাকে। সায়েব রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ঈদ উদযাপন করলাম তখন তিনি ঈদের সালাত শেষ করলেন বললেন আমরা এখন খুতবা দিব।
- ঈদের সালাত আদায় করা:
ঈদের দিন সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঈদের সালাত আদায় করা। প্রকৃতপক্ষে একজন ইমানদার বান্দা সালাত আদায়ের মাধ্যমে বেশি আনন্দিত হয়ে থাকে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন বের হয়ে দুই রাকাত ঈদের সালাত আদায় করতেন।
ঈদের সালাত শেষ করে সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা আল্লাহর নামে ও আল্লাহর সন্তোষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে কুরবানী করবেন। সামর্থ্যবানদের কুরবানী বর্জন করা উচিত নয়। সামর্থ অনুযায়ী উট, অথবা গরু অথবা ছাগল, ভেড়া, দুম্বা কুরবানী করবে। একাকী কুরবানীর সামর্থ্য না থাকলে একটি গরুতে সাত শরীকে কুরবানী দিবে।
কুরবানীর পশু দাতাল অথবা উট পাঁচ বছর পূর্ণ হয়ে ছয় বছরে পদার্পন করেছে গরু দুই বছর পূর্ণ হয়ে তৃতীয় বছরে পদার্পন করেছে, ছাগল এক বছর পূর্ণ হয়ে দ্বিতীয় বছরে পদার্পন করেছে, এমন বয়সের হতে হবে।
কুরবানীর পশু যত সুস্থ, সুন্দর ও নিখুত হবে ততো ভালো। তবে কানা, অন্ধ, লেংরা এবং অতি রুগ্ন ও দূর্বল যেন না হয়, কারণ এমন পশু কুরবানীর উপযুক্ত নয়। অনুরূপ কান কাটা ও শিং ভাংগা মুক্ত হওয়া ভালো। মনে রাখতে হবে, এ কুরবানী তাকওয়ার পরিচয়। সুতরাং আপনার তাকওয়া কিভাবে প্রমাণ করবেন তা আপনিই ভাল জানেন।
কুরবানীর পশু যবাহ করার সময়: ঈদের সালাত শেষ করে/অতএব কেউ যদি ঈদের সালাতের আগে কুরবানী করে ফেলে তাহলে তার কুরবানী গ্রহণযোগ্য হবে না। এমতাবস্থায় তাকে আবার কুরবানী করতে হবে। যুলহাজ¦ মাসের ১০ তারিখ হতে ১৩ তারিখ পর্যন্ত কুরবানী করা যায়, তবে সর্ব উত্তম ১০ তারিখে করা।
কুরবানীর পশু যবাহ করার সুন্নাতী নিয়ম হল: পশুকে কিবলামুখী করে বাম কাতে শুয়ায়ে যবাহকারী কিবলামুখী হয়ে ডান হাতে তরবারী নিয়ে বামহাতে পশুর মাথা ধরে “বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার” বলে যবাহ করবে। আমাদের কিবলা যেহেতু পশ্চিম দিকে সেহেতু পশুর মাথা থাকবে দক্ষিণ দিকে এবং পা থাকবে পশ্চিম দিকে, লেজ থাকবে উত্তরদিকে। তাহলে সুন্নাতি পদ্ধতি অনুযায়ী যবাহ করা সম্ভব হবে। ভাল ধারালো ছুড়ি দিয়ে সুন্দর ভাবে যবাহ করবে পশু যেন কষ্ট না পায়।
কুরবানী করার পর নিজ খাবে, প্রতিবেশিদের খাওয়াবে এবং অসহায় দরিদ্রদেরকে দান করবে। সাধারণত এ তিন শ্রেণি হকদার। সুতরাং কাউকে বঞ্চিত করবে না। কুরবানীর চামড়া দরিদ্র ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে দান করে দিবে।
ঈদের দিনে আল্লাহর আনুগত্যের মধ্যে কাটাবে। পরষ্পরে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবে। সহাবায়ে কিরাম পরষ্পরে হাসি মুখে সাক্ষাৎ করতেন এবং تقبل الله مينا ومنكم(তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম) আল্লাহ আপনাদের এবং আমাদের আমল সমূহ কবুল করে নিন। এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন । সুতরাং বিভিন্ন পরিভাষা ব্যবহার না করে সেরূপ পরিভাষায় সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করা উচিত।
- ঈদে যা বর্জনীয় :
ঈদ মুসলমানদের আত্মার পরিশুদ্ধি, মুসলমানদের ঐক্য ও সংহতি, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি আনুগত্য ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি মার্জিত উৎসব। তবে দুঃখের ব্যাপার হল, আমরা নানাবিধ ইসলাম বহির্ভূত কাজে লিপ্ত হয়ে হারিয়ে ফেলি ঈদের মাহাত্ম্য। এ ধরনের আচরণ থেকে বেঁচে থাকা প্রতিটি মুসলমানেরই জরুরি। নিচে ঈদে অবশ্য বর্জনীয় কয়েকটি আচরণ তুলে ধরা হল।
- বিজাতীয় আচরণ প্রদর্শন :
বর্তমান কালে বিজাতীয় আদর্শ অনুসরণে বিজাতীয় আচরণ মুসলিম সমাজে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। নিজস্ব সংস্কৃতি, আদর্শ উপেক্ষা করে পোশাক পরিচ্ছদে, চালচলনে, শুভেচ্ছা বিনিময়ে অমুসলিমদের অন্ধ অনুকরণে লিপ্ত হয়ে পড়েছে মুসলমানদের অনেকেই। মহানবী (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাথে সাদৃশ্য রাখবে সে তাদের দলভুক্ত বলে গণ্য হবে।”
- জুয়া, মদ, জেনা ব্যভিচার ও মাদকদ্রব্য সেবন :
আজকাল ঈদের দিনে আনন্দ ফুর্তির নামে কবিরাহ গুণাহর কাজ হতে দেখা যায়। অশ্লীল গান-বাজনার জমজমাট আসর বসে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে এমন একটি দল পাওয়া যাবে যারা ব্যভিচার, রেশমি পোশাক, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল ( বৈধ) মনে করবে।’
- নারী-পুরুষ একে অপরের বেশ ধারণ :
পোশাক-পরিচ্ছদ, চাল-চলন ও সাজ সজ্জার ক্ষেত্রে পুরুষ নারীর বেশ ধারণ ও নারী পুরুষের বেশ ধারণ হারাম। ঈদের দিনে এ কাজটি অন্যান্য দিনে চেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। রাসূল (সা.) পুরুষের বেশ ধারণকারী নারী ও নারীর বেশ ধারণকারী পুরুষকে অভিশপ্ত করেছেন।
- নারীদের অশালীন পোশাকে রাস্তায় বের হওয়া :
খোলামেলা, অশালীন পোশাকে, নগ্ন ও অর্ধনগ্ন পোশাকে রাস্তা ঘাটে বের হওয়া ইসলামী শরিয়তে নিষিদ্ধ। রাসূল (সা.) বলেছেন, একদল এমন নারী যারা পোশাক পরিধান করেও উলঙ্গ মানুষের মত হবে, অন্যদের আকর্ষণ করবে ও অন্যরা তাদের প্রতি আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথার চুলের অবস্থা উটের হেলে পড়া কুঁজের ন্যায়। ওরা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, এমনকি তার সুগন্ধি ও পাবে না, যদিও তার সুগন্ধি বহুদূর থেকে পাওয়া যায়।
- নারীদের সাথে অবাধে দেখা-সাক্ষাৎ:
প্রয়োজন ও পর্দার আড়ালে নারীদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করা যাবে। কিন্তু গাইর মহররমা তথা শরিয়ত অনুমোদিত নয় এমন নিকট আত্মীয় নারীদের সাথে অবাধে দেখা সাক্ষাৎ করা যাবে না।
শেষ কথা:
পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন শুধু আনন্দ ফুর্তির দিন নয়। বরং এদিন দু’টুকে আনন্দ উৎসব এর সাথে সাথে জগৎ সমূহের প্রতিপালক এর ইবাদত বন্দেগী দ্বারা সুসজ্জিত হবে। মুসলিম উম্মাহদের কামনা-বাসনা ইচ্ছা এবং আকাংক্ষা আল্লাহ তায়ালার উপর নির্ভরশীল। তাই আমাদের প্রত্যাশিত ঈদ হোক পাপ মুক্ত আত্মিক পরিশুদ্ধি। নৈতিক উন্নয়নের প্রচেষ্ঠায় সফলতার আনন্দ ঈদ হোক নেকীর প্রতিযোগিতা আর বিশ্বাসের আলোয় নিজেকে উদ্ভাসিত করা।
লেখক: অধ্যক্ষ, তাযকিয়াতুল উম্মাহ মডেল মাদ্রাসা, ফেনী।