Untitled-1

ইউনুস-তারেক বৈঠক কি আরেকটি পাতানো নির্বাচন!

খন্দকার নাজমুল হক

খন্দকার নাজমুল হক
জুলাই বিপ্লবের অংশীদারদের দাবী মোতাবেক রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সংবিধান সংস্কার, নির্বাচন কমিশন সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার, এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগের সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো কাউন্সিল করে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে এটাই ছিল জাতির প্রত্যাশা। ড. মোহাম্মদ ইউনুসের সরকার অনেকগুলো ভালো কাজ করেছে কিন্তু সংস্কার দৃশ্যমান না হলে জাতি নিরপেক্ষ নির্বাচনের সুফল ভোগ করতে পারবে না। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ইং তারিখে রাওয়া ক্লাবে বলেছেন, ‘আজকে পুলিশ সদস্য কাজ করছে না, এর একটা বিশাল বড় কারণ হচ্ছে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা, অনেকে জেলে। র‌্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই প্যানিকড (আতঙ্কিত)। বিভিন্ন দোষারোপ, গুম-খুন ইত্যাদির তদন্ত চলছে। অবশ্যই তদন্ত হবে, দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন এই অর্গানাইজেশনগুলো (প্রতিষ্ঠান/সংস্থা) আন্ডারমাইন (হেয়) না হয়। এ অর্গানাইজেশনগুলোকে আন্ডারমাইন করে আপনারা যদি মনে করেন সবাই শান্তিতে থাকবেন, দেশে শান্তি বিরাজ করবে সেটা হবে না। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা প্রাণ হারানোর বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, মনে রাখতে হবে, এই বর্বরতা কোনো সেনাসদস্য করেনি। সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিডিআর সদস্যদ্বারা সংঘটিত। ফুলস্টপ। এখানে কোনো ইফ এবং বাট (যদি ও কিন্তু) নাই। এখানে যদি ইফ এবং বাট আনেন, এই যে বিচারিক কার্যক্রম এতদিন ধরে হয়েছে, ১৬- ১৭ বছর ধরে যারা জেলে আছে, যারা কনভিকটেড, সেই বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। এই জিনিসটা আমাদের খুব পরিষ্কার করে মনে রাখা প্রয়োজন। এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবেন না। যে সমস্ত সদস্য শাস্তি পেয়েছে, তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। এভাবে ৫৭ জন সেনা সদস্য হত্যাকান্ডের জন প্রকৃত অপরাধীরা পর্দার আড়ালে চলে গেল। পিলখানা হত্যাকান্ডের কুশিলভ কারা, ভারতের “র” জড়িত ছিলো কিনা জাতি তা জানতে পারলো না। জুলাই বিপ্লবের প্রধানতম দাবী ছিল নির্বাচন কমিশন সংস্কার এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা। ড. ইউনুসের সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে ১০মাস হয়ে গেল কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাদের দৃশ্যমান সংস্কার জাতির কাছে তুলে ধরে নাই। একটি স্বাধীন দেশে ১৫ বছর তরুনেরা ভোট দিতে পারে নাই। নির্বাচন কমিশনের উচিত নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতা প্রমাণের জন্য দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা।

বিএনপি চলতি বছরের ডিসেম্বের মধ্যে সংসদ নির্বাচন করার দাবি জানিয়ে আসছিল। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সর্বশেষ বৈঠকেও তারা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছিল। সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার এসসিপি নেতা হাসানাত আবদুল্লাহকে ডেকে পলাতক রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী করে আসছিল। কিন্তু হাসানাত জাতির স্বার্থে উক্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্রান করেন। ঈদুল আজহার আগে প্রধান উপদেষ্টা ড.ইউনুস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বললেন, এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন নির্বাচন হবে। এপ্রিলের নির্বাচন নিয়ে বিএনপি আপত্তি করে আসছিল এবং ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের পক্ষে নিয়ে যায়। জুলাই বিপ্লবের চেতনা ভুলে গিয়ে বিএনপি তথা তাদের ভারতীয় লবি ৮ আগষ্ঠ ২০২৪ইং জাতীয় সরকারের বিরোধিতা করেছে, ফ্যাসিস্ট প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিনের অপসারণে বিরোধিতা করেছে। আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের বিরোধিতা করেছে, বংগবন্ধুর মুর্তি ভাঙ্গার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম মায়াকান্না করেছে। শেখ মুজিবের ছবি নামানোর বিরোধিতা করেছে রেজভী আহমেদ। বিএনপি রাস্ট্র সংস্কারের অনেক বিষয়ে বাধা দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য আধাজ্বল খেয়ে নেমেছে। বিএনপি সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন এবং সংসদ নির্বাচনের আগে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছে। বিএনপির ভারতীয় লবি নির্বাচন কমিশন সংস্কার না করেই সংসদ নির্বাচন চায়। বিএনপির রাজনৈতিক ছাপের কারণে ড. ইউনুস পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। এনসিপি এবং ছোট রাজনৈতিক দলগুলো টিকে থাকতে হলে সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন এবং সংসদ নির্বাচনের আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দাবী আগামী মধ্যে আদায় করতে হবে।

ড. মোহাম্মদ ইউনুস দায়িত্ব গ্রহণের ফলে জাতি অনেকগুলো সুফল ভোগ করেছে। কিন্তু মিডিয়া তা প্রচার করছে না যথা: শেখ হাসিনা এবং কাউয়া কাদেরের মিথ্যার বাণী নেই। আয়না ঘরের চিৎকার নেই। ভারতের তাবেদারী নেই। জংগী নাটক নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে হেলমেট বাহিনী নেই। সাধারণ ছাত্রদের জোরকরে মিছিলে নেওয়ার সংস্কৃতি নেই। মুজিববাদের বন্দনা নেই। খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের মামলা নেই। আলেমসমাজ জেলে নেই। সারাদেশে শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্তি নেই। রাস্ট্রীয় মদদে রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা জিকির নেই। এস. আলম এবং সালমান রহমানের ব্যাংক দখল নেই। পরিবারতন্ত্রের শাসন নেই। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দলবাজি নেই। জেলায় জেলায় গডফাদার নেই। প্রতিদিন টিভিতে মিথ্যাচার বন্দনা নেই। ভারতের দালাল গোষ্ঠীর আধিপত্য নেই। ইউরোপের ভিসার জন্য ভারতে যেতে হয়না।ফেলানী হত্যাকাণ্ড নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণ সিন্ডিকেট নেই। রাস্ট্রীয় লুটপাট নেই হজ্বের মাঠে হাজীদের কান্না নেই। ফ্যাসিবাদী শাসন নেই।

বিএনপির দাবী ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন দিতে হবে অন্যথায় বিএনপি ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলনে যাবে এমন অযেীক্তিক দাবী তুলেছে। এ অবস্থায় ড. মোহাম্মদ ইউনুসের সাথে লন্ডনে ইউনুস তারেক বৈঠক হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত কিনা? নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত কিনা? পুলিশ প্রশাসন, ইউএনও এবং ডিসিরা নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য প্রস্তুত কি? বর্তমান নির্বাচন কমিশন এবং ডিসি এসপিরা বিগত ১০ মাসে কোন নির্বাচনের আয়োজন করে নাই। তাদের নিরপেক্ষ নির্বাচন করার কোন অভিজ্ঞতা নেই। তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন যে তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।’নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে মতৈক্যের বিষয়টিই সরকার তথা প্রধান উপদেষ্টার বড় সাফল্য বলে বিশ্লেষকরা মনে করে। চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সম্মতি ও সমর্থন নিয়েই ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছিল। কিন্তু তারা সব সময় নিরপেক্ষ থাকতে পেরেছে বলে মনে হয় না। অনেক ক্ষেত্রে চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাহলে এবারও কি বিএনপির চাপের কাছে ইউনুস সরকার নতিস্বীকার করল কি না সেই প্রশ্নও উঠবে। সরকার প্রধান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যৌথ বিবৃতির পর নির্বাচনের দিনক্ষণসংক্রান্ত সমস্যা হয়তো কেটে যাবে। কিন্তু নির্বাচনের পরিবেশটি তৈরি করা সহজ হবে না। সাম্প্রতিককালে দেখা গেছে, কোথাও সংঘাত সংঘর্ষ হলে সেনা সদস্যদেরই হস্তক্ষেপ করতে হয়। বিএনপির একটি অংশ চাাঁদাবাজিতে লিপ্ত, বিরোধী দলের উপর অসংখ্য জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসমুহ চাঁদাবাজির বাগবাটোয়ারা নিয়ে শতাধিক ব্যক্তিকে খুন করেছে, তাদের খুনিদের পুলিশ গ্রেফতার করে নাই। বিএনপি তিনহাজার চাঁদাবাজকে বহিস্কার করেছে কিন্তু পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনে নাই। এভাবে চলতে থাকলে বিএনপি ফ্যাসিবাদের মতো ভোট কেন্দ্র দখল করবে স্বরাস্ট্র উপদেষ্ঠা কিছুই করবে না। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে দ্রুত সংসদ নির্বাচনের আগে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করে ড.ইউনুস সরকারের নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে।

ড. ইউনুস সরকারের তিনটি অঙ্গীকার ছিল। সংস্কার, জুলাই গণহত্যার বিচার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সরকারের গঠন করা সংস্কার কমিশনগুলো ইতিমধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সংস্কার কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব বা সুপারিশ বাস্তবায়নের সঙ্গে সংবিধান সংসসোধন বা জাতীয় নির্বাচনেরও সম্পর্ক নেই। সরকার নির্বাহী আদেশে অনেক সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারে। কিন্তু দু–একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সরকার কোনোটিতে হাত দেয়নি। বিচারপ্রক্রিয়াও এগিয়ে চলেছে বলে সরকারের উপদেষ্টারা জানিয়েছেন, কিন্তু জাতি দৃশ্যমান বিচার দেখতে পায় নি। জুলাই হত্যাকান্ডের বিচার কবে শেষ হবে, সেটা নির্ভর করে আদালতের ওপর। এখানে সরকার বলে দিতে পারে না, অমুক তারিখে অমুক মামলার কাজ শেষ করতে হবে। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রে উত্তরণের কোনো বিকল্প উপায় আছে বলে আমাদের জানা নেই। নির্বাচননের আগে সব সংস্কার বা বিচারকাজ শেষ হবে, তার নিশ্চয়তা নেই। সরকারপ্রধান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যৌথ বিবৃতির পর নির্বাচনের দিণক্ষণসংক্রান্ত সমস্যা কেটে গেছে। ড. ইউনুস কি বিএনপির দিকে ঝঁকে পড়েছেন? যদি তাই হয় জাতি কি আবারওেএকটি পাতানো নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে? কিন্তু বিএনপি যেভাবে হাটবাজার টেম্পু স্ট্যান্ড দখল করেছে, তাতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশটি তৈরি করা সহজ হবে না। সাম্প্রতিককালে দেখা গেছে, কোথাও সংঘাত বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হলে সেনা সদস্যদেরই হস্তক্ষেপ করতে হয়।

বৃহস্পতিবার যে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় পাতাবুনিয়া বটতলা বাজারে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে অবরুদ্ধ হন, তাঁকে উদ্ধার করতে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনের অনুসারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁর পথ রোধ করেন, দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এ বিষয়ে বিএনপি নেতা হাসান মামুন প্রথম আলোকে বলেন, নুরুল হক নূর এলাকায় উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। কেউ উসকানিমূলক বক্তব্য দিলেই তাঁকে মারধর কিংবা অবরুদ্ধ করতে হবে, এটা কোন আইনে লেখা আছে। গতকাল দেখলাম মামুনকে বহিস্কার করা হয়েছে। বিএনপির স্থানীয় নেতাদের প্রশাসন সেল্টার দিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জুলাই বিপ্লবীদের সোচ্ছার হতে হবে।

বিএনপি সারাদেশে নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে? বিএনপির অনেক নেতা হাঁটবাজার, টেম্পু স্ট্যান্ড, বাস স্ট্যান্ড দখল করে চাঁদাবাজি করছে। ইতিমধ্যে তিন হাজার নেতা কমীকে বহিস্কার করা হয়েছে। ছাত্রদল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিপ্লবের অংশীদারদের সঠিককভাবে রাজণীতি করতে দিচ্ছে না। ছোট ছোট দলের নেতাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর পথে বাধা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। নির্বাচনের দিন তারিখ ঠিক হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বিএনপি পেশি শক্তি ব্যবহার করবে। এতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটবে। তখনো যদি বিএনপি জবরদস্তি পরিহার না করে, ড. মোহাম্মদ ইউনুস যদি নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেন, তাহলে তিনি ইতিহাসের সেরা নির্বাচন তো দূরের কথা, সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচনও করতে পারবেন না। ড. ইউনুস এর সরকার একজন সাবেক ডাকসু ভিপিকে নিরাপত্তা দিতে পারছেনা, এখনো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় নাই, বিএনপি মনে করছে এখনই তারা ক্ষমতায় চলে এসেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা এবং সক্ষমতা প্রমান করতে হলে অবিলম্বে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করতে হবে। যুবকেরা উৎসবমূখর পরিবেশে ভোট দিবে, পুলিশবাহিনী, নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন তাদের নিরপেক্ষতা এবং সক্ষমতা প্রমাণ করার সুযোগ পাবে।
লেখক : গবেষক ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!