Untitled-1

ফেনীতে গরমে ডাবের কদর

নিজস্ব প্রতিনিধি :

আষাঢ়ের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। তাই অনেকের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে কচি নারকেল ডাবের পানি। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এ মৌসুমে ডাবের উৎপাদন বেশি হয়। ফেনীর সোনাগাজী সহ বিভিন্ন এলাকার থেকে ছোট-বড় বিভিন্ন আকারে ডাব আসে। ফলে ক্রেতাদের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেশি। ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়কের জহিরিয়া মসজিদের সামনে কথা হয় এক বিক্রেতার সাথে। তিনি জানান, তীব্র গরমে ডাবের চাহিদা বেশি। প্রয়োজন অনুপাতে না পাওয়ায় প্রতিপিস ডাব ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে কিনতে হয়।

পিরোজপুর জেলার সেলিম হাওলাদার জানান, গত দুই বছর তিনি জহিরিয়া মসজিদের সামনে ডাব বিক্রি করেন। একসময় ৩০ থেকে ৫০ টাকা দামে ডাব বিক্রি করেছেন। এখন সেটি দ্বিগুন দামে বিক্রি করতে হয়। রোজায় ডাবের দাম বাড়ার পর আর কমেনি। প্রতিপিস ডাব সর্বনিম্ন ৬০ থেকে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা। তবে বেশিরভাগ ডাব ১শ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে।

সেলিম হাওলাদার আরো জানান, গরমে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩শ পিস ডাব বিক্রি হয়। বৃষ্টি ও আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে গড়ে দেড়শ নারকেল ডাব বিক্রি হয়। তবে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর স্বজন ও বিভিন্ন বাসা-বাড়ী থেকে ডাব কিনতে জহিরিয়া মসজিদের সামনে আসে।

রাজিব চৌধুরী নামে এক ক্রেতা জানান, একসময় ৫০ থেকে ৬০ টাকায় নারকেল ডাব পাওয়া গেলেও এখন কিনতে হয় ৮০ থেকে ১শ টাকায়। তীব্র গরমে একদিকে রোগ-জীবাণু যেমন বাড়ে তেমনি প্রচুর ঘামও ঝরে। ফলে অনেকে পানিশূণ্যতা দূর করতে ডাবের পানি পান করেন।

একাধিক খুচরা বিক্রেতা জানান, গরমে ডাবের চাহিদা বেশি। আগে একটি ডাব ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি করা হতো। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় পাইকাররাও দাম বাড়িয়েছে। এজন্য বিক্রেতাদের কিছু করার থাকে না। বেশি টাকা দিয়ে কিনে ক্রেতাদের কাছেও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!