নিজস্ব প্রতিনিধি :
পরশুরাম উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেলের দেহরক্ষীর ভূমিকা পালন করেন মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ। পৌর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক হয়েও তার এ কান্ডে উভয় দলের নেতাকর্মীরা বিব্রতবোধ করেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার এবং সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেলের অভ্যন্তরীন দ্বন্ধ সংঘাতে রূপ নেয়। সাজেল চৌধুরীর অনুসারীদের হামলায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অনাধিরঞ্জন সাহা গুরুতর আহত হন। ক্ষমতাসীন দলের বিবদমান দুটি গ্রæপের অন্ত:দ্বন্ধের শুরু থেকেই সমালোচনায় বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ। পৌর শহরে সাজেল চৌধুরীর অনুসারীদের মহড়া ও কামাল মজুমদারকে বাড়িতে খোঁজ নেয়ার ঘটনায় প্রকাশ্য দেখা যায় একসময়ের উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক এ সাধারণ সম্পাদককে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, পৌর মেয়র হওয়ার পর থেকে সাজেলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মাসুদ। বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে তাকে সাজেলের দেহর²ীর মতো দেখা যায়। অভিযোগ রয়েছে, এ সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারির সুযোগ নেন মাসুদ। ইতিপূর্বে মাসুদ বিজিবির অভিযানে চোরাকারবারির মালামাল সহ গ্রেফতার হয়।
এনিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতারা যেমন বিব্রত তেমনি আওয়ামীলীগেও রয়েছে চাপা ক্ষোভ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থানীয়রা জানান, সব জেনেও রহস্যজনক ভূমিকায় জেলা বিএনপির নেতারা। তাদের মতে, মাসুদ এখন বিএনপির জন্য ক্ষতিকর। আওয়ামীলীগের অন্ত:দ্বন্ধে এক গ্রæপের হয়ে তার প্রকাশ্য ভূমিকা বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। শুধু তাই নয়, সে বিভিন্ন সময় সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতার সাথে সখ্যতা রেখে নিজদলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা, মামলা ও পুলিশি হয়রানী করেন।
এদিকে অনাধিরঞ্জন সাহার উপর হামলার ঘটনার পর আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর সাথে গ্রেফতার হন মাসুদও। আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন দ্বন্ধে মাসুদ গ্রেফতারের পর তার মুক্তি চান জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল। এক বিবৃতিতে তারা দাবী করেন, “আওয়ামী মদদপুষ্ট পুলিশ প্রশাসন মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় গ্রেফতার করে মাসুদকে কারাগারে প্রেরণ করে।”