নিজস্ব প্রতিনিধি :
পরশুরাম উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল হামলা-মারধরের অভিযোগ এনে শনিবার পাল্টা মামলা দিয়েছেন। মামলায় উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ইয়াছিন শরীফ মজুমদার সহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। ইয়াছিন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদারের নিকটাত্মীয়।
মামলায় সাজেল চৌধুরী উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি অনাধিরঞ্জন সাহার উপর হামলার খবর পেয়ে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেইটে যান। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ইয়াছিন শরীফ মজুমদার সহযোগিদের নিয়ে দা, লাঠি-সোটা ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালায়। তার পকেটে থাকা নগদ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন সাজেল চৌধুরী সহ আহতদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি সাইফুল ইসলাম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ মামলায় নুরুল ইসলাম সিজান নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। অপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ইয়াছিন শরীফ মজুমদার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, অনাধিরঞ্জন সাহার উপর হামলার পর থেকে তার চিকিৎসা সহায়তায় পাশে রয়েছি। পুলিশ পাহারায় তাকে পরশুরাম থেকে পাঠানো থেকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে সার্বক্ষনিক সহযোগিতায় রয়েছি।