নিজস্ব প্রতিনিধি :
পরশুরাম উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার এবং সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেলের অভ্যন্তরীন দ্বন্ধভূলে কোলাকুলি করেছেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা কার্যনির্বাহী কমিটির দলীয় কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে জেলা আওয়ামীলীগ।
দলীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাষ্টার আলী হায়দারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পরশুরামে বর্ধিত সভায় অংশ নেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দপ্তর সম্পাদক এ,কে শহীদ উল্যাহ খোন্দকার, সদস্য দিদারুল কবির রতন, ফেনী সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, ফেনী পৌর সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী৷ সভায় অন্য নেতাদের মধ্যে জেলা সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার মজুমদার তপন, এনামুল করিম মজুমদার বাদল, উপজেলা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন মহিম, প্রচার সম্পাদক এনামুল হক, পৌর সাধারন সম্পাদক রাসুল আহমেদ মজুমদার স্বপন, বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন সভাপতি আবদুল গফুর ভূঞা, চিথলিয়া ইউনিয়ন সভাপতি জসিম উদ্দিন, মির্জানগর ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান ভুট্টু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় আওয়ামী লীগের উপজেলা কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারন সম্পাদকগন অংশ নেন।
সভার একপর্যায়ে কামাল-সাজেল কোলাকুলি করে আগামীতে দলের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন বলে জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দকে প্রতিশ্রুতি দেন।
এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি এক জরুর সভায় জেলা নেতৃবৃন্দ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরি কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। এরপর কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত; কামাল মজুমদার ও সাজেল চৌধুরী দ্বন্ধের জেরে পাল্টাপাল্টি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। এর জেরে কামাল মজুমদারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি অনাদিরঞ্জন সাহার উপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় সাজেল চৌধুরী সহ তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দেন অনাদিরঞ্জন সাহা। হামলা-মারধরের অভিযোগ এনে কামাল মজুমদারের জামাতা ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ইয়াছিন শরীফ মজুমদার সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দেন সাজেল চৌধুরী।