শীর্ষ ব্যবসায়ীদের ধরপাকড়ে আতংকে রেমিটেন্সযোদ্ধারা
সময় রিপোর্ট :
সৌদি আরবে বেকায়দায় পড়েছেন বাংলাদেশী ব্যবসায়ি ও উদ্যোক্তারা।বিভিন্ন অভিযোগে গত দুই সপ্তাহে অন্তত দুই শতাধিক ব্যবসায়ী সেখানকার গোয়েন্দা জালে আটকা পড়েছেন।এদের কেউ কেউ কারাগারে বা অনেককে গোয়েন্দা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অনেকে আবার নজরদারিতেও রয়েছেন। এদের মধ্যে অনেক প্রভাবশালী উদ্যোক্তা যেমন রয়েছেন তেমনি সরকারী বিভিন্ন সংস্থায় কর্মকর্তরাও আছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আইনশৃংখলা বাহিনীর নজর এড়াতে অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন-এমনকি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে অবস্থান করছেন। শীর্ষ ব্যবসায়ীদের অব্যাহত গ্রেফতার হয়রানীতে সৌদি আরবের বিভিন্নস্থানে অবস্থানরত বাংলাদেশী রেমিটেন্স যোদ্ধারা উদ্বেগ আতংকে রয়েছেন।
সেখানে বসবাসরত বেশ কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে কথা হয় ফেনীর সময় এর ।তারা জানান, গ্রেফতার ও আটক অনেকের সঙ্গে স্বজনরা যোগাযোগও করতে পারছেন না।তাছাড়া তারা কে কোথায় রয়েছেন তাদের সঠিক তথ্যও নেই।তবে ইতিমধ্যে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কয়েকজন জামিনে মুক্তিও পেয়েছেন।
সৌদি আরবের একটি সংস্থার বরাত দিয়ে নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়,তদারকি ও দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ – নাজাহা চলতি আরবী সালের রজব মাসে প্রবাসিদের তদারকি পরিদর্শন শুরু করে। প্রায় আড়াইশ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তদন্তের পাশাপাশি দেড় শতাধিক প্রবাসিকে গ্রেপ্তার করেছে।এদর মধ্যে বেশিরভাগ বাংলাদেশের নাগরিক। ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে অনেক ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে, সৌদি মন্ত্রনালয়ে কর্মরত কর্মচারীরা (স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, বিচার, পৌর গ্রামীণ বিষয়ক ও আবাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা) এবং যাকাত, কর ও শুল্ক কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার জন্য (যেমন, ঘুষ, কর্তৃত্বের অপব্যবহার, অর্থ পাচার , এবং জালিয়াতি)। বর্তমানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আদালতে বিচারের জন্য ফৌজদারি কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। জনসাধারণের তহবিল রক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও সৌদি আরবের ওই সংস্থার দাবী।
এদিকে প্রবাসি বাংলাদেশীদের অভিযোগ, সেখানকার আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট অংকের বাইরে স্বর্ন-মুদ্রা রাখার অভিযোগেই তাদের অনেককে গোয়েন্দারা বাসা বা অফিস থেকে তুলে নিয়ে গেছে।সঠিক তথ্য না থাকায় অনেকে আইনগত সহায়তাও নিতে পারছেন না। তাদের পরিবার স্বজন ও কমিউনিটির মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।তারা জানান,প্রবাসিদের এখানে উদ্যোক্তা বা ব্যবসা বানিজ্য থেকে সরিয়ে দিতেই এ ধরপাকড় ।