নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেছেন, “ধর্মীয় শিক্ষা আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ হিসেবে সবাইকে মরতেই হবে। মৃত্যু পরবর্তী জীবনের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অনেক। অথচ সারা বিশ্বে মুসলমানদের নামের সাথে ‘জঙ্গি’ শব্দ জড়িয়ে গেছে। উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে কিছু মুসলমান জড়িত। এটি আগে মাদরাসা শিক্ষাকে দোষারোপ করা হতো। ২০১৬ সালে ঢাকার একটি ঘটনায় উন্নত ও আধুনিক শিক্ষিতরা জড়িয়ে পড়ছে। তাদেরকে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জিহাদে জড়ানো হয়েছে। হলি আর্টিজানের ওই ঘটনার পর আলেম-ওলামারা ওয়াজ-মাহফিল, মসজিদে স্বোচ্চার হওয়ায় দেশ আজ জঙ্গিমুক্ত। আলেম-ওলামাদের কথা সবাই শুনে। সামাজিক অন্যায় সহ নানা সমস্যা তুলে ধরায় মানুষ সচেষ্ট হচ্ছে।”
মঙ্গলবার দৈনিক ফেনীর সময় এর আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে ক্বেরাত, আজান ও হামদ-নাত প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, “বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ। শুধু প্রাপ্ত বয়স্করা নয়, ছোটরাও রোজা রাখে। অথচ একশ্রেণির মুসলমান অতি মুনাফার লোভে সকল জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। একদিকে রোজা রেখে ও নামাজ পড়ছেন অন্যদিকে পণ্য মজুত করে দাম বাড়ানো সাংঘর্ষিক। এটি ধর্মীয় মূল্যবোধের বিষয়। প্রত্যেক নাগরিকই রাষ্ট্রের সুবিধাভোগী। বাংলাদেশ উন্নত হওয়ায় সবার জীবনধারায় পরিবর্তন এসেছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আধুনিকতা মানে ইসলাম কিংবা ধর্মের বিরোধীতা নয়।”