দৈনিক ফেনীর সময়

জুমা’র খুতবায় হজের বয়ান এবং হজ্ব যাত্রায় একাল সেকাল

জুমা’র খুতবায় হজের বয়ান  এবং হজ্ব যাত্রায় একাল সেকাল

পবিত্র মাহে রমজান তথা ঈদুল ফিতরের পর দ্বীনি মজলিস গুলোতে হজ বিষয়ে আলোচনা কমবেশি হয়েই থাকে। তবে মুসলিম ভাই-বোনদের হৃদয়ে হজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বলিষ্ঠ ভাবে উঠে আসে জুমা মসজিদ গুলোতে জুমার খুতবায়। অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে অনেক সময় ধারাবাহিকভাবে এই বিষয়ে ইমাম সাহেবেরা আলোচনা করে থাকেন। মূল বিষয় এক হলেও আলোচনার গভীরতা, তাৎপর্য, তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন ও শ্রুতি মধুর ধ্যান বিশিষ্ট আলোচনা সব জায়গায় সমান হয়না। মোটকথা মুসল্লীদের পূর্ণ মনোযোগ নির্ভর করে বয়ানের উপযুক্ত উপস্থাপনার উপর। সব সময় সবার সমান মনোযোগ নাও থাকতে পারে। আবার এমনও হয়ে থাকে খতিব সাহেব বয়ান করছেন সবাই নিরবে শুনছে কিন্তু নিরব শোনার মাঝে নিজের অজান্তেই কখনো কখনো তন্দ্রা চলে আসে। ওলামায় কেরাম বলেন এই তন্দ্রার মধ্যেও আল্লাহর রহমত নিহিত। মসজিদে তাসবিহ, তাহলিল, জিকির-আসগার, নামাজ তথা ইবাদতের নিয়তে বান্দা যতক্ষণ অবস্থান করে, নিরবে দ্বীনি আলোচনা শুনে, নিরবে শুয়ে বসে থাকে ততক্ষণ ইতিকাফের সাওয়াব পেয়ে থাকে।

গত শুক্রবার জুম্মর নামাজ আদায় করেছি কুমিল্লা শহরতলীর রাণী বাজারস্থ রশীদিয়া মাদরাসা মসজিদে। চারতলা বিশিষ্ট এবং বেশ সুপ্রশস্ত বড়সড় মসজিদ। সাড়ে বারোটায় খতিব সাহেব বয়ান শুরু করেন এবং শেষ করেন একটা বিশ’এ। অনেক সময় জুমার খুতবা পূর্ব বয়ান শুনতে শুনতে মাঝেমধ্যে অমনোযোগীতা বা ঝিমুনি এলেও মহান স্রষ্টার রহমতে ঐ দিন একটু সময়ের জন্যও বলাচলে অমনোযোগীতা আসেনি। খতিব সাহবের বয়ান থেকে কিছু ভ্রান্ত ধারনা ও গোমরাহ চিন্তা দূর হয়েছে। তিনি বলেন, এখন মানুষের মধ্যে ওমরাহ হজ করার আগ্রহ বেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আশপাশের এমন অনেক লোককে ইমাম সাহেব চিনেন জানেন তাদের কেউ কেউ বছরে একাধিকবারও ওমরাহ করতে মক্কা মদিনা সফর করছেন। অনেকে তিন-চারবার ওমরা করতে মক্কা মদিনায় গিয়েছেন কিন্তু ফরজ হজ্ব এখনো করেননি। তিনি বলেন, হায় আপসোস- এরকম হাজার কিংবা লক্ষ কোটি ওমরাহ করলেও একটা হজে আকবরের আমলের সমান হবেনা। শারীরিক মানসিক শক্তি ও সামথ্য থাকলে একজন ব্যাক্তি দৈনিক পাঁচ-সাতটা ওমরাহ হজ করতে পারেন। কিন্তু ফরজ হজ্ব নির্দিষ্ট সময়, নির্দিষ্ট দিনে বছরে একবার এবং সারা জীবনে মাত্র একবারই করা যাবে। এরপর হজ্বে আকবরে একাদিকবার অংশ গ্রহন করলেও সেটি ফরজ হজের আমল হিসেবে গণ্য হবেনা, সেটি নফল আমল হিসেবে গণ্য হবে। কাজেই হজ্ব ফরজ হলে যথা শীঘ্র ফরজ হজ্ব আদায় করার বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে। কেননা আপনি আমি পারিবারিক পারিপার্শ্বিক কাজ কারবার সব কিছু গুছিয়ে নেয়ার অপেক্ষা করবো কিন্তু জেনে রাখা দরকার মৃত্যু কাহারো অপেক্ষা বুঝেনা। কার কখন কোথায় মৃত্যু নির্ধারিত তা একমাত্র আলেমুল গায়েব আল্লাহ ছাড়া কেহই জানেন না।

বয়সের অজুহাত, সংসারটাকে গুছিয়ে নিই নাই, মেয়ের বিয়ের বাকী, ছেলে উপযুক্ত হয়নি, উপযুক্ত হয়ে ছেলে সংসারের হাল ধরবে বিয়ে করাবো তারপর আল্লাবিল্লা, দাঁড়ি, পাঞ্জাবি, তসবিহ ধরবো। হজ করে পাকা পোক্ত দীনদার হাজী সেজে যাবো। ঘর আর মসজিদ ছাড়া কিছুই করবোনা। এসব ইমান নষ্ট হবার চিন্তা পরিহার করতে হবে। মুসলমানদের অভিভাবক একমাত্র আল্লাহ। কত পিতামাতা অবুঝ সন্তান রেখে দুনিয়া থেকে চলে গেছে, তারাকি মানুষ হয়নি? কাজেই জাগতিক লোভ লালসা, মায়া মোহ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

এখন হজের খরচ বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। হজের এই অস্বাভাবিক খরচ বৃদ্ধির ফলে অনেকের মাঝে এমন প্রবণতাও তৈরি হচ্ছে, হজে আকবরে যেহেতু খরচ বেশি তাই আপাতত ওমরা-ই করি বা ওমরা করে হজের সাধ পূর্ণ করতে চায়। এ বছর সময় বাড়িয়েও বাংলাদেশ সরকার হজের কোটা পূর্ণ করতে পারেনি। হুজুরের বয়ানের সাথে আমার কিছু অলীক চিন্তা মিলে যায়। আমি নিজেও হজ্ব করার চিন্তা ফিকিরের মধ্যে ছিলাম। সরকার অস্বাভাবিক খরচ বৃদ্ধি করায় ক্ষোভ তৈরি হয় মনে। খরচ বৃদ্ধি করে হজ্বের মত এমন একটি দ্বীনি কাজকে যারা কষ্টকর বোঝা বানিয়েছে আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুণ, নয়তো এ দায় তাদের উপর আজাব হয়ে চেপে বসুক। এমন অভিশাপ বাক্য মনে মনে আউড়িয়ে হজ্ব থেকে বিরত থেকে আপাতত ওমরা হজ্ব করবো বলে মনস্থির করি। কিন্তু মাওলানা সাহেবের আরেকটি কথায় খরচের দু:শ্চিন্তার যায়গায় প্রশান্তি জেগে উঠে। তিনি বললেন, হজ্বের খরচ যাহাই হোকনা কেন মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের তার বহুগুণ ফিরিয়ে দিবেন। হজ্ব করে কোন হাজী দেউলিয়া হয়নি। ঋণগ্রস্ত হয়নি। করণ প্রত্যেক হাজী মহান আল্লাহর খাঁস মেহমান। যারা আরশ কুরসি তথা সমগ্র জগৎ সমূহের মালিকের মেহমান তাদেরতো কোনো কিছুতে চিন্তিত হবার কারণ থাকতে পারেনা। আল্লাহই সর্বোত্তম প্রতিদান দানকারী। কারণ খরচ বৃদ্ধির অজুহাতে হজ্বে আকবর থেকে সরে ওমরা করার মাধ্যমে হজ্বের তৃপ্তি লাভের চিন্তা শয়তানের ধোঁকা ছাড়া কিছু নয়। কারণ শয়তান নেক সুরতে ধোকা দিয়ে থাকে। যাদের উপর হজ্ব ফরজ হয়েছে, আর্থিক সামর্থ্য অর্জন করেছে এবং যারা নিয়ত করেছেন তারা কোনো অজুহাত তালাশ না করে হজ্ব সম্পন্ন করুন। আমাদের মাঝে অধিকাংশের চিন্তা মনের প্রবণতা এমন হজ্ব ফরজ হয়েছে কিন্তু অজুহাত মেয়ের বিয়ে দিবে, ছেলে বিয়ে করাবে, চাকুরী, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে অবসর নিবে, বয়স বার্ধক্যে পৌঁছাবে তারপর হজ্ব করবে। ঐ বয়স পর্যন্ত নেহায়েত অনন্যোপায় অন্যায়, অপকর্ম, লোভ-লালসা, ঘুষ, দুর্নীতি ইত্যাদি করে বৃদ্ধ বয়সে হজ্বে গিয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে সাফ হয়ে নিবো। এতই সহজ, আল্লাহ বলেন- সে দিন (শেষ বিচারের দিন) কারো উপর নূন্যতম পক্ষপাতিত্ব করা হবেনা। জররা পরিমাণ নেক কাজেরও যেমন প্রতিদান দেয়া হবে, তেমনি জররা পরিমাণ গুণাহের কাজেরও শাস্তি দেয়া হবে। তিনি পরম দয়ালু করুণাময়। তিনি যা ইচ্ছা ক্ষমা করতে পারেন আবার যাকে ইচ্ছা আজাবে গ্রেফতার করতে পারেন। তবে এক বান্দা অপর বান্দার হক নষ্ট করেছে এমন পাপের ক্ষমা করবেননা। যতক্ষণনা ঐ বান্দা ক্ষমা না করে। কাজেই বয়স কিংবা দিনক্ষণ কোনো অজুহাতই ক্ষমা চিন্তার জন্য যথেষ্ট নয়। বয়স কিংবা দিনক্ষণ কোনো অজুহাতই নেক কাজে বিলম্ব করা মানে বুঝতে হবে আপনি শয়তানের ধোকার চক্করে আটকা পড়ে গেছেন।

হজ করার শক্তি-সামর্থ্য ও অর্থ-বিত্ত থাকার পরও যে ব্যক্তি হজ করেনা তার সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কঠোর সতর্কবাণী ব্যাক্ত করেছেন। যে ব্যক্তি হজ করার সামর্থ্য রাখে, তবুও হজ করে না সে ইহুদী হয়ে মৃত্যুবরণ করল কী খিস্টান হয়ে তার কোনো পরোয়া আল্লাহর নেই’ (তিরমিযী, হাদিস ৮১২, তাফসীরে ইবনে কাসীর ১/৫৭৮)।

আল্লাহর রাসূল সাঃ হজ ফরজ হলে শীর্ঘ্র হজ করার তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইতি পূর্বে দুইবার আল্লাহতালা কাবা ঘর’কে উঠিয়ে নিয়ে ছিলেন, তৃতীয় বার উঠিয়ে নেয়ার আগে আগেই তোমরা হজ কর। কেননা তৃতীয় বার উঠিয়ে নেয়ার পর কেয়ামত সংগঠিত হবে। কাজেই আর্থিক সামর্থ হলেই বুঝতে হবে হজ্ব ফরজ হয়েছে। তাই কোনো ধরনের অজুহাত তালাশ না করে যথাশীঘ্র ফরজ হজ্ব সম্পন্ন করা উচিত।

হজ্ব যাত্রার একাল সেকাল : অতীত কালে আমাদের এসব অঞ্চল থেকে মানুষ পানির জাহাজে চড়ে হজে যেতেন। তখন হজের সফর ছিলো দীর্ঘ মাসের। ছোট বেলায় দেখেছি এলাকা থেকে কেউ হজে যাবেন এমন খবর প্রচার হলে হাজীকে দেখার জন্য তার সাথে মোলাকাত করার জন্য আশপাশের মানুষ তথা দুর দুরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসতো। প্রত্যেকের মনে নম্র ও পবিত্র অনুভুতি বিরাজ করতো। অনেকে ক্বাবা শরীফে দোয়া করার জন্য অনুরোধ করতো, কেউ দোয়া চাইতো, কেউ কেউ গভীর আবেগ থেকে টাকা পয়সা হাদিয়া দিয়ে বলতো- ঐখানে (মক্কায়) গিয়ে আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিয়েন। আমি জানিনা মক্কায় এইভাবে দান খয়রাত করার সুযোগ আছে কিনা। নিকট জনেরা জমজমের পানি চাইতো। পানির জাহাজে চড়ে হজ্ব যাতায়াতে প্রায চার পাঁচ মাস সময় লেগে যেত। এই দীর্ঘ সফরে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবের সাথে যোগাযোগের বিশেষ কোন সুযোগ ছিলোনা বলে ঐ সময়ে সফরে থাকা হাজীরা পরিপূর্ণ ভাবে জিকির-আসগার, তাসবিহ-তাহলিলসহ পূর্ণ ইবাদত বন্দেগীতে নিমগ্ন থাকতেন। জাগতিক কোন চিন্তা ফিকির তাদের মধ্যে থাকতোনা। তারা হজ থেকে ফিরে এলে জাগতিক কোন কাজকারবারে না জড়িয়ে দ্বীনি কাজ, ধ্যান ও দ্বীনের প্রচারে লেগে থাকতেন। শৈশবে কাছে দুরের এমন অনেক আল্লাহ প্রেমী বুজুর্গকে দেখেছি এক দুই বছর আগ থেকে তারা হজ্বে যাবার প্রস্তুতি নিতেন। হজের খরচের জন্য আর্থিক ভাবে স্বচ্চল গেরস্থ বাড়ী গিয়ে ধান, চাল, টাকা পয়সা সাহায্য উঠাতেন। তাদের হাঁকডাকে মহিলারা আবেগতাড়িত হয়ে সাহায্য করতেন। অতীতকালে বিশেষ করে কৃষি নির্ভর জীবন যাত্রায় মানুষের মধ্যে পূর্ণ স্বচ্ছলতা কমই ছিলো। তবে খাঁটি আল্লাহ প্রেমী মানুষেরা ছিলেন নিখাদ। ব্রিটিশরাজের রাজ্যপাঠের অধীন জমিদার, মিয়া, ভুঁইয়া, চৌধুরী, কাজী ইত্যাদি বংশ গোত্রের যে পরিচয় সমাজে বিরাজমান ছিলো আছে। শুধু হজ্ব কারার সুবাধে এমন অনেক বাড়ীর নাম হাজী বাড়ি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সেখানে কোনো অর্থভিত্ত, ভয়, চাপ বা ক্ষমতার ব্যবহার কাজ করেনি। মানুষের ভক্তি ভালোভাসায় হাজীবাড়ি নাম প্রকাশ পায়। ঐসব হাজী সাহেবেরা দুনিয়াবি লোভ লালসার উর্ধ্বে থেকে জীবনকাল অতিবাহিত করে গেছেন। তখনকার দিনে একজন লোক হজে যাবার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হতেগেলে আত্মীয় স্বজন এলাকার লোকজন হজ্ব গমনেচ্ছু ব্যক্তিকে সামনে দিয়ে পেছনে শতশত লোক নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর ধ্বণিতে আওয়াজ তুলতে তুলতে তাঁকে পাকা রাস্তা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসতো। কেউ একজন মাথায় কাঠের লম্বা শলা বিশিষ্ট কালো কাপড়ের ছাতা হাজীর মাথায় মেলে ধরতো। পেছনে বাড়ীতে আত্মীয় স্বজনের কান্নাকাটির আওয়াজ শোনা যেত। শ্বেত শুভ্র কপিনে মোড়ানো লাশবাহী খাটিয়া নিয়ে মানুষের যেমন শেষ বিদায়ের যাত্রা আমরা দেখে থাকি, অর্ধ বছরের সেই হজ যাত্রাও যেন আখেরি বিদায়ের এক আবেগগণ পরিবেশের কথা মনে করিয়ে দিতো। এখন বিমানে ছড়ে হাজীরা তিন চার ঘন্টায় মক্কা মদিনা পৌঁছে যেতে পারেন। হজ্ব যাত্রায় হাজীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। গতি বেড়েছে। আধুনিকতার নানান সুযোগ সুবিধা যুক্ত হয়েছে। হজ্ব এজেন্সির সংখ্যা বেড়েছে। ফড়িয়া দালাল শ্রেণী তৈরি হয়েছে এবং দালাল দ্বৈরাত্যে হজ্ব কার্যক্রম সাম্প্রতিক কালে নানান ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ যেনবা এক জৌলুশী ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। অনেক লেবাসধারী আলেম টাকার লোভে গ্রামগঞ্জে নয়ছয় কথা বলে হজ্ব যাত্রী সংগ্রহে কাজ করছে। এখন হজ্ব যাত্রায় অতীতের আবেগ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। গতি বেড়েছে কিন্তু আবেগ যেন দুর্বল মেকি। এখন কে কখন হজে যাচ্ছে, কখন ফিরছে বুঝাই যায়না। মসজিদে দোয়া মুনাজাত হলে কিছুটা যানাযায ওমুক হজে যাচ্ছে। অনেকে আবার ব্যস্ততার জন্য দেখা সাক্ষাতের সুযোগ পায়না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দোয়া চায়। অতীত কালে নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর ধ্বণিতে মানুষের মিলিত কলরবে আবেগ উচ্চকিত হজ্ব যাত্রার এই প্রচলনটি মুসলিম সামাজিক ভ্রাতৃত্ব বোধের নির্মল উদাহরণও বটে।

লেখক : চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!