নিজস্ব প্রতিনিধি :
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ফেনী জেলার সর্বত্র কোরবানির পশু কেনাবেচার ধুম চলছে। অন্য বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় শেষমুহুর্তে এক বাজার থেকে আরেক বাজারে ছুটে যাচ্ছেন ক্রেতারা। অপরদিকে বিক্রেতারাও আশানুরুপ দাম না পেয়ে অনেকে হতাশা প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার বিকালে জেলার সর্ববৃহৎ পাচগাছিয়া বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়- গরুর, ছাগলের সংখ্যাও অনেক। বেচাবিক্রি বেশ ভালো হয়েছে। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন ছিল। বিকালে বাজার পরিদর্শন করেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: মাহফুজুর রহমান। তিনি বাজার পরিস্থিতি ও ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় পুলিশ সুপার জাকির হাসান ও ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী সঙ্গে ছিলেন।
বাজারের ইজারাদার প্রতিষ্ঠান ইনফিনিটি ট্রেডের প্রতিনিধি মাঈন উদ্দিন সুমন জানান, গতকাল বাজারে চার শতাধিক গরু বিক্রি হয়েছে। সর্বোচ্চ সাড়ে তিন লাখ টাকা দামে গরু বিক্রি হয়।
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দাম বেশি হওয়ায় বড় গরুর চেয়ে মাঝারী আকারের গরুর প্রতি আগ্রহ বেশি। গরু পছন্দ হলেও লাখ টাকার নিচে কেনা যায়না। পছন্দের গরু কিনতে চলে দরকষাকষি।
অনেক আশায় ১২টি গরু পাচগাছিয়া বাজারে তুলেছেন দাউদ তালুকদার। দুই ছেলে আবদুল্লাহ আল নোমান আর আবদুল্লাহ আল নাঈমকে নিয়ে মাত্র ৪টি গরু বিক্রি করতে পেরেছেন। দাউদ সহ অনেক বিক্রেতার ভাষ্য, ক্রেতারা দরদাম করছেন। এখন তাদের অপেক্ষা বুধবার জেলার অন্যতম সদর হাসপাতাল মোড় ও মোহাম্মদ আলী বাজারে।
একাধিক বিক্রেতা জানান, ক্রেতারা অর্ধেক দাম বলেন। খাদ্যের দাম বাড়তি হওয়ায় লোকসানের আশংকায় ব্যাপারিরা বিক্রি করে দেন।