জাহাঙ্গীর আলম :
সেদিন কয়েকজন যুবকের সাথে কথা হচ্ছিল। তারা সবাই ত্রিশের ধাপ অতিক্রম করেছে। সুঠাম দেহে বেশ বলবান মনে হবে তাদের দেখে। বাহ্যিক অবয়ব দেখে কেউ তাদের ভেতরের আসলরূপ ও মনের চেহারা নির্নয় করতে পারবে না। আমিও প্রথমে তা করতে পারিনি। তারা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বারকাউন্সিল লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি। এরা সবাই এমসিকিউতে উর্ত্তীর্ণ হয়েছে। তাদের সামনে এখন স্বপ্নেরা কিলবিল করছে। কালোগাউন পরে তারা আদালতের সিঁড়িতে দাবড়িয়ে বেড়াবে।
শত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে নিজেকে বিজয়ী করবে। কখনো পরাজিত হবে না। যে কোন যুক্তিতর্কে আসামী বা মক্কেলকে নির্দোষ প্রমাণ করবে। সেদিন সেখানে কয়েকজন সাংবাদিক বন্ধু এসে উপস্থিত হলো সন্ধ্যাকালীন আড্ডার আয়োজনে। শুরু হলো বহুমাত্রিক আলোচনা। দেশ,সমাজ,রাজনীতি, অপরাধ, দুর্নীতি, জবাবদিহিতা, স্বেচ্ছাচারিতা, আইন-আদালত, সাজা-শাস্তি নানাবিধ আলোচনা জমে উঠলো।
তাদের মাঝে একজন পেশায় তরুণ প্রভাষক। সে শখের বশে আইন পড়ছে। আলোচনার একপর্যায়ে সে তার স্বপ্নময় ইচ্ছে ব্যক্ত করলো, “আমি নৈতিকতার মানদণ্ডে পেশাগত দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করবো। কখনো লোভ বা প্রলোভনে প্রশ্রয় দেবো না। আমি যখন বুঝতে পারবো, আমার মক্কেল প্রকৃত অপরাধী এবং সে এমন অপরাধ করেছে, যে অপরাধ ঘৃণ্য ও ক্ষমার অযোগ্য। তখন তার মামলা আমি পরিচালনা করবোনা। বরং সুযোগ পেলে প্রকৃত সত্য উৎঘাটনে আদালতকে সহযোগিতা করবো। আর এটা এজন্যই করবো যেন কোন অপরাধী বিচারের চোখ ফাঁকি দিয়ে পার পেয়ে যেতে না পারে। সমাজ থেকে অন্যায়ের বিষবৃক্ষ উপড়াতে হলে প্রকৃত অপরাধীকে সাজা পেতেই হবে।” তার সাথে থাকা অপরাপরদের সাথে মুহূর্তে শুরু হলো যুক্তির তর্ক ও তর্কের যুক্তি। তর্ক ও যুক্তির পাল্টাপাল্টিতে তার মতের পাল্লা ভারি হলো না। তবুও সে হাল ছেড়ে না দিয়ে নানা যুক্তি উপস্থাপন করে যেতে থাকলো। আলোচনা বেশ জমে উঠলো। উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা তার সাথে ভিন্নমত পোষণ করে বলে, মক্কেলকে নির্দোষ প্রমাণ করা তার আইনজীবীর মৌলিক কর্তব্য। তিনি এমনটি করবেন এটাই স্বাভাবিক।যেকোন উপায় অবলম্ব করে আইনজীবী হিসেবে আমরাও তা করবো। আর এটা আমাদের পেশা। জীবন -জীবীকার প্রয়োজনেইতো এই পেশায় আসা। আইনজীবীর ব্যর্থতায় যদি কোন মক্কেল ফেঁসে যায় তাহলে ঐ আইনজীবীর দ্বারে কোন মামলা আসবে না। তিনি মাছিমারা কেরানী হয়ে মাছি মারবেন বসেবসে। বিপরীতে যুক্তি নিয়ে আসেন শিক্ষক ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী। তিনি বলেন,যদি আসামী প্রকৃত অপরাধী হয়ে থাকে? যে অপরাধ ওপেন-সিক্রেট। যার সত্যতা জনমনে প্রতিস্থাপিত। যে অপরাধ এতোটা ঘৃণ্য- জঘন্য, রোমহর্ষক, নিষ্ঠুর পৈশাচিক যে, এই জন্য গোটাদেশ জাতির হৃদয়ের নীরবে বহমান রক্তক্ষরণ। যেমন কয়েক বছর আগে কক্সবাজারে ঘটে যাওয়া সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত মেজর সিনহা এম রাশেদ হত্যা, ফেনীর মেয়ে নুসরাত হত্যার মতো হাজারো ঘৃণ্য অপরাধ এসমাজে স্বীকৃত অপরাধীরা ঘটিয়ে যাচ্ছে আর বিভিন্নস্তরে বিচারিক ও রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে ওরা। ফিরে এসে আরো ভয়াবহ অপরাধ করছে এমন আসামীর পক্ষেও মামলা পরিচালনা করতে আপনাদের নিশ্চয় বাঁধবেনা। তাতে অবশ্যই আইনের দৃষ্টিতে বাঁধা নেই। তবে জাগ্রত বিবেকের দৃষ্টিতে প্রবল বাঁধা থাকার দাবী রাখে। কথা গুলো শুনে ওরা অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। আর বলে, ভাই গোটাদেশ যেখানে অনিয়ম ও দুর্নীতির শক্তির উপর ভর করে চলছে, সেখানে আপনার এই নীতি কথার ভাত নাই। আপনি একা চাইলেও কিছু করতে পারবেননা। তাছাড়া আপনি ফেঁসে যাবেন। গুলির আধার হয়ে যাবেন। আর আপনি না করলেও কেউ না কেউ নিশ্চয় কাজটি করবে। শুধুশুধু আপনি কেন নিজেকে বঞ্চিত করবেন? জেনে শুনে নিজের ক্ষতি কে করতে চায় বলেন? গোটাদেশে যা ঘটছে এর প্রতিকার করার জন্য কি কোন মানুষ এগিয়ে আসছে? আসছেনা, কেননা কেউ নিজেকে বিপদে ফেলতে চায় না। প্রত্যেকের কাছে নিজের জীবনটা অনেক মূল্যবান।কারণ, একটি জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে তার পরিবারের স্বপ্নিল প্রত্যাশা। তাই বলছিলাম, ভাই জীবন অনেক মূল্যবান, সময় অনেক অল্প। আশা করি বুঝতে পেরেছেন? সাংবাদিক বন্ধুরাও এবার তর্কে অংশগ্রহণ করলো।অনেকটা তির্যক ভাষায় কেউকেউ বলেতে শুরু করলেন, আপনি এখন সত্য কথা বলতে পারবেন? সব ঘটনার সত্য সংবাদ লিখতে পারবেন? লিখেন দেখি আপনার ঘাড়ে কয়টা মাথা? আপনার বুকে কত সাহস? আপনি কি দেখেন নি, কিছুকিছু কলামিস্ট ও সাংবাদিকের ভাগ্যে কি ঘটেছিলো? দেশের প্রধান বিচারপতিকে কীভাবে দেশ ছাড়তে হলো? একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কীভাবে সংঘটিত হলো? মিডিয়া,গণমাধ্যম, সংবাদকর্মী, প্রশাসনিক উইংস সব কেমন নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে তা দেখেও কিছু বুঝেনা না আপনি? শাস্ত্রে একটা কথা আছে নিশ্চয় জানেন, নিজে বাঁচলে বাপের নাম। পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি। কথা গুলো শুনে ভালো লাগলো না মোটেও। কেমন যেন ভোগবাদী মনোভাব আমাদের যুব সমাজকে আকণ্ঠ গিলে ফেলেছে। আত্মশক্তি সমূলে নিবিষ্ট হয়ে গেছে। এদের মনের যৌবন হারিয়ে গেছে। ভোগবিলাস আর জীবনের প্রচ্ছন্ন মরীচিকাময় কুহকী মায়া এদের পিছু টেনে ধরেছে। ভোগবিলাসে উন্মত্ত হয়ে বেঁচে থাকাকে তারা চরম ও পরম সার্থকতা মনে করে। যুবসমাজ হচ্ছে জাতির সঞ্জিবনী শক্তি। তারা জাতিকে মুক্তি দেবে। মুক্ত করবে জুলুম ও শোষণের যাঁতাকল থেকে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে।গণমানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে। সামাজিক অন্যায় অবিচারেরর বিরুদ্ধে কথা বলবে, সোচ্চার হবে। জাতীয় রাজনৈতিক ইস্যু নিতে কথা বলবে, অংশগ্রহণ করবে। নেতৃত্বদানের যোগ্যতা ও নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করবে। ভোগে সুখ নেই ত্যাগের মাঝে প্রকৃত সুখ নিহিত এই সত্য উপলব্ধি নিয়ে জীবনকে বিকশিত কবরে। মনের মাঝে প্রবল সাহস ও শক্তিধারণ করবে। অন্যায়কে অন্যায় বলার সাহস থাকবে। সাদাকালোর পার্থক্য নির্ণয় করার বাধশক্তি হারিয়ে গেলে জাতির তারুণ্য বিপথে পরিচালিত হয়। আর তখন জাতি কাঙ্ক্ষিত সুফল লাভে ব্যর্থ হয়। পৃথিবীতে যতো দুঃসাহসী অভিযান পরিচালিত হয়েছে তা কেবল তারুণ্যের শক্তিতেই হয়েছে। যতো নিত্য নতুন উদ্ভাবন হয়েছে, হচ্ছে তাও তারুণ্যের যৌবনময় উদ্যমতা থেকে হয়েছে এবং হচ্ছে। সেই ইতিহাস খুঁজতে আমাদের বেশি দূর যেতে হবে না। আমাদের অতীত জাতীয় জীবনের পরতে পরতে যুবসমাজের তারুণ্যদীপ্ত যৌবনের অক্ষয় ইতিহাস লেখা আছে। বাংলাভাষা রক্ষার দাবী থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে যুবসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছে তারা কেউ বয়সে বৃদ্ধ ছিলোনা। যারা মহান মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তারা বয়সে টগবগিয়ে তরুণ ও যুবক ছিলেন। যে সকল মুক্তিযোদ্ধা এখনো বেঁচে আছেন তাদের জীবন থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পঞ্চাশ বছর বিয়োগ করলে আমার বুঝতে পারবো যে, মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের বয়স কত বছর ছিল। এদের অধিকাংশই ছিলেন বয়সে তরুণ। এবংকি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শহীদ হওয়া নুর হোসেনও একজন তরুণ ছিলেন। তাহলে বুঝতে আর বাকি থাকে না যে, জাতির ভাগ্য বাদলে দিতে তারুণ্যের ভুমিকা কি ছিল, কেমন ছিল বা কেমন হওয়া উচিৎ?
কোন একটা সংগ্রামে কোন দেশের সব মানুষ সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করে না, অতীতকালে কখনো করেনি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও এদেশের সব মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ নেয় নি। সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালির মাঝে কেউ স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। কেউ আাবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। কেউ ভয়ে দেশের অভ্যন্তরে গাঢাকা দিয়েছে। কিছু ত্যাগী ও মুক্তিকামী জনতা স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে জীবন বাজি রেখেছেন বলেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি।
এখানে উল্লেখ করতে চাই কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেলকোস্টোর কথা। যিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হিমালয়ের সাথে তুলনা করেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, “আমি বিরাশি জন কে নিয়ে বিপ্লব শুরু করেছিলাম। যদি আমর বিপ্লব করতে হয়, পরিপূর্ণ বিশ্বাসী দশ/ পনেরো জনকে নিয়ে করতে পারবো।” সে সময় যারা বঙ্গবন্ধু’র ডাকে সাড়া দিয়েছেন, যুদ্ধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা সবাই একথা জানতেন যে, যুদ্ধে গেলে বিপদ আছে। যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিককে রক্ত ঝরাতে হয়, জীবন দিতে হয়। আহত হতে হয় পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়। শত্রুপক্ষ যুদ্ধের ময়দানে তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করবেনা, বরং বুলেটে বুলেটে ঝাঁঝরা করে দেবে তাদের বুক। এই নির্মম সত্যকে মেনে নিয়ে এদেশের লাখোলাখো যুবক মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাদেরও পরিবার ছিল, মা-বাবার সাথে মমতার বন্ধন ছিল। ছোটছোট ভাইবোনের সাথে স্নেহের বন্ধন ছিল। কারো পরিবারে নবপরিণীতা স্ত্রী ছিল, ছিল হৃদয়ের নির্যাস আদরের ফুটফুটে সন্তান। আবার কারোকারো ভালোবাসা প্রতিশ্রুতি ছিল, ছিল প্রিয়তমার প্রণয়ের পবিত্র বন্ধন। এসব মায়া মমতার বন্ধনকে উপেক্ষা করে সেদিন যারা যুদ্ধে গিয়েছিল, মরণপণ লড়াই করে শহীদ হয়েছিল, তাদের রক্তের অক্ষরে লেখা হয়েছে এদেশের সার্বভৌমত্বের মানচিত্র। সেসব অমর শহীদের রক্তের বিনিময়ে আজ বাংলার আকাশে পতপত করে উড়ছে লালসবুজের পতাকা। ভোগবিলাসে অন্ধ হয়ে অথবা জীবনের মায়ায় বিভোর হয়ে তারা যদি কাপুরুষত্ব ধারণ করতো তাহলে আমরা কি স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতাম? আমরা কি পেতাম মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার?
না, পেতাম না। হীনম্মন্য যুবক যারা তাদের উদ্দেশেই কথাই বলছিলাম। কথা বলছিলাম, যারা দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন,দেশের জাতীয় রাজনীতিতে যাদের ভূমিকা রয়েছে তাদের উদ্দেশে। একবার ভেবে দেখুন, সময়ের ব্যবধানে আমরা কেমন করে আমাদের যুবসমাজকে অন্তঃপুরের অন্তঃকোণে পুতে দিয়েছি। আজ তারা বীরোচিত বাঙ্গালিত্ব ধারণ করতে ভুলে যাচ্ছে। কীভাবে মনের মাঝে কাপুরুষতাকে লালন করা যায় তার অনুশীলন করছে। কীভাবে ভোগবিলাসে জীবন কাটানো যায় রাজনৈতিক অগ্রজদের কাছে সেই ছবক নিচ্ছে। দুর্নীতি করে কত বড় সম্পদশালী হওয়া যায় ধীরেধীরে সে পথে হাঁটছে। দেশের অর্থসম্পদ কি করে পাচার করা যায় সেই প্রতিযোগিতায় মেতে আছে উল্লেখ যোগ্য একটা অংশ। মাদক, নারী, মদে আসক্ত হয়ে জীবন থেকে ছিটকে পড়ছে অনেক যুবক। আমরা আমাদের যুবসমাজকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারছিনা। তরুণদের মনে দেশপ্রেম জাগাতে পারছিনা বলেই দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। যে ভাবে ভোগবাদী মনোভাব নিয়ে দেশের তরুণ-যুবসমাজ এগিয়ে যাচ্ছে, এদের হাতে এদেশের একটি চেয়ারও নিরাপদ নয়। তারা দেশের জন্য প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করার চেতনা বহন করছেনা। দেশের প্রতি মায়ামমতা ভালোবাসা না থাকলে এদেশে ভুরিভরি মীরজাফর সৃষ্টি হবে। যাদের হাতে আমরা আমাদের মহান অর্জন স্বাধীনতাকেও হারাতে পারি। এ আশংকা উড়িয়ে দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। জাতীয়স্বার্থে আমাদের উচিৎ তরুণদের তারুণ্যকে আঁকড়ে ধরা। তাদের মনের যৌবনকে স্বদেশ প্রেমে উজ্জীবিত করা। স্বদেশের চেয়ে বড় কিছু নয় এশিক্ষায় তরুণদের গড়ে তোলা। আমাদের তরুণ- যুবকদের এইসত্য অনুধাবন করতে হবে, এই শিক্ষা গ্রহণ করতে হবেই, ‘প্রয়োজনে যে মরতে জানে বাঁচার অধিকার কেবল তার।’
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, কবি ও প্রাবন্ধিক।