নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী-৩ আসনে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন জাতীয়পার্টির প্রার্থী লে: জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি। গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬০ ভোটে বিশাল ব্যবধানে জয় পান। অবশ্য ভোট চলাকালে শেষমুহুর্তে নির্বাচন প্রত্যাখান করে সরে দাঁড়ান স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যাহ। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৬২৬ ভোট। ভোটের দিক থেকে তৃতীয় হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেম আজাদ ৪ হাজার ৯২০ ভোট। অপর প্রার্থীদের মধ্যে তৃণমূল বিএনপির আজিম উদ্দিন আহমেদ সোনালী আঁশ প্রতীকে ১ হাজার ৯৫৯ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির তবারক হোসেন একতারা প্রতীকে ৭৮৯, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবু নাসির চেয়ার প্রতীকে ৯৬৩, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিজাম উদ্দিন মোমবাতি প্রতীকে ৫০৫, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের এবিএম জোবায়ের ইবনে সুফিয়ান ছড়ি প্রতীকে ১৬০, আনোয়ারুল কবির ওরফে রিন্টু আনোয়র বাঁশি প্রতীকে ১৭৩ ও ইশতিয়াক আহমেদ কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৭১০ ভোট পান।
দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলা নিয়ে গঠিত ফেনী-৩ আসনে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৬ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৬ জন পুরুষ ও ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৮৯ জন নারী রয়েছেন। এখানে ১৪৪টি ভোট কেন্দ্রের ৯৮৮ কক্ষে ভোটগ্রহণে প্রিজাইডিং, সহকারি প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা সহ ৩ হাজার ১০৮ জন দায়িত্ব পালন করেন।
এ আসনে জাতীয়পার্টির মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ, তৃণমুল বিএনপির আজিম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের এবিএম জোবায়ের ইবনে সুফিয়ান, ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো: আবু নাছির, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিজাম উদ্দিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির তবারক হোসেন, স্বতন্ত্র আবুল কাশেম আজাদ ও ইশতিয়াক আহমেদ সৈকত প্রতিদ্বন্ধীতা করেন।
সোনাগাজী উপজেলার ৭২ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ২৫৭ জন। এখানে ৩১.০৮শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে লাঙ্গলের মাসুদ চৌধুরী ৬৩ হাজার ৬০৩ ভোট ছাড়াও রহিম উল্যাহ ঈগলে ৮ হাজার ১শ ৭২ ভোট, আবুল কাশেম আজাদ ট্রাকে ৫৪৮ ভোট, আজিম উদ্দিন আহমেদ সোনালী আঁশে ২৬৮ ভোট, তবারক হোসেন একতারায় ১৬৭ ভোট, ইশতিয়াক আহমেদ সৈকত কাঁচি প্রতীকে ১৫৫ ভোট, নিজাম উদ্দিন মোমবাতি প্রতীকে ৮৬ ভোট, আবু নাছির চেয়ার প্রতীকে ৮৮ ভোট, আনোয়ারুল কবির (রিন্টু আনোয়ার) বাঁশি প্রতীকে ৩৭ ভোট, জোবায়ের ইবনে সুফিয়ান ছড়ি প্রতীকে ২১ ভোট পান।
দাগনভূঞা উপজেলার ৭২ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯ জন। এখানে ৪০.৯৬শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে লাঙ্গলের মাসুদ চৌধুরী ৮৪ হাজার ১৫৭ ভোট ছাড়াও রহিম উল্যাহ ঈগলে ১ হাজার ৪৫৪ ভোট, আবুল কাশেম আজাদ ট্রাকে ৪ হাজার ৩৭২ ভোট, আজিম উদ্দিন আহমেদ সোনালী আঁশে ১ হাজার ৬৯১ ভোট, তবারক হোসেন একতারায় ৬২২ ভোট, ইশতিয়াক আহমেদ সৈকত কাঁচি প্রতীকে ৫৫৫ ভোট, আবু নাছির চেয়ার প্রতীকে ৮শ ৭৫ ভোট, নিজাম উদ্দিন মোমবাতি প্রতীকে ৪১৯ ভোট, আনোয়ারুল কবির (রিন্টু আনোয়ার) বাঁশি প্রতীকে ১৩৬ ভোট, জোবায়ের ইবনে সুফিয়ান ছড়ি প্রতীকে ১৩৯ ভোট পান।