নিজস্ব প্রতিনিধি :
আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না রেখে উম্মুক্ত ঘোষণা করলেও দাগনভূঞা উপজেলায় নির্ভার রয়েছেন দিদারুল কবির রতন। তিনি টানা তিনবারের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি। বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ না নিলে তাকে চ্যালেঞ্জ করার মত দৃশ্যমান প্রার্থী থাকবেনা বলে মনে করছেন দলের নেতারা। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থী মাঠে সরব থাকায় তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় উপজেলা চেয়ারম্যান হন দিদার। এরপর তিনি জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সভাপতির দায়িত্ব পান। জেলার রাজনীতিতে তার বিচরণ থাকলেও নিজ উপজেলা দাগনভূঞায় তার একক আধিপত্য রয়েছে। তার কথায় উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতি পরিচালিত হয়। ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন দিদার। আগামী উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ও মনোনয়ন না থাকলেও জেলা আওয়ামীলীগের গঠিত টিমের কাছে রেজিষ্ট্রারে দিদারুর কবির রতন ছাড়াও নাম লিখিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু নাছের।
তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহীন ছাড়াও মাতুভূঞা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এছহাক জগলু, রাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাশেদুল হক বাবর ও আনোয়ার হোসেন ভূঞা, জায়লস্কর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন হায়দার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরের ছাপা পলাশ, আবুল কায়েস রিপন, নুর মোহাম্মদ মাওলা, নিজাম উদ্দিন, নারীদের মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার, রাবেয়া আক্তার রাবু, তাছকিরা তাননিম, শিরিন আক্তার, রোকেয়া আক্তার প্রার্থী হয়েছেন।
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা জানান, উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে দিদার একচ্ছত্র অধিপতি। যার ফলে অন্য কেউ প্রার্থীতার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করলেও দিদারের কাছে পাত্তা পাবেনা। ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলের জেলা নেতাদের গ্রীন সিগন্যাল পেতেও দিদারের সমর্থনের উপর ভরসা করছেন সম্ভাব্য পদপ্রত্যাশীরা।