দৈনিক ফেনীর সময়

আঁধার ভেদ করে আলো আসবেই

আঁধার ভেদ করে আলো আসবেই

পরাধীনতা অভিশপ্ত জীবনের এক প্রতিচ্ছবি। পরাধীন মানুষের আকাঙ্খা, আত্মবিশ্বাস, সৃজনশীলতা, জাতীয় চেতনা প্রভৃতি অবহেলিত, বিড়ম্বিত হয় প্রতিনিয়ত। যেখানে জীবনের বিকাশ হয় বাধাগ্রস্ত, বিবেক হয় লাঞ্ছিত, সেখানে জীবন হয় অর্থহীন। শৃঙ্খলিত, বন্দীত্ব ও ব্যর্থ জীবন স্বভাবত কারো কাম্য নয়। কারণ, মানুষ স্বাধীন হয়ে জন্মায় বলেই স্বাধীনতা হচ্ছে মানুষের জন্মগত অধিকার। তাইতো, কবি কন্ঠে ধ্বনিত হয় ‘স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে কে বাঁচিতে চায়?/দাসত্ব শৃঙ্খল বলো কে পরিবে পায় হে কে পরিবে পায়?’ মানুষ মাত্রই স্বাধীনতাপ্রিয় হওয়ায় জীবনের বিনিময়ে হলেও এটি অর্জনে সে উজ্জীবিত হয়, শপথ নেয়, সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ব্যক্তি জীবনের অনাবিল স্বাধীনতার প্রত্যাশা সামষ্টিক জীবনকে স্পন্দিত করলে তা জনতারও কাঙ্খিত, আরাধ্য বিষয় হিসেবে রূপ নেয়। তবে এমন বিষয়ের প্রাপ্তি সচরাচর সহজলভ্য হয় না। মানুষই মানুষের অধিকার তথা স্বাধীনতা হরণ করে বিধায় মানুষ তা রক্ষা কিংবা অর্জনে শুরু করে নানারূপ প্রচেষ্টা, প্রক্রিয়া, অভিযান।

প্রসঙ্গত, বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় অর্জনের ইতিহাস শুধু ১৯৭১ সালে সীমাবদ্ধ নয়। ১৭৫৭ খৃস্টাব্দে পলাশীতে প্রধান সেনাপতি ও আমাদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে ইংরেজ বাহিনীর কাছে নবাব সিরাজের পতনের মধ্য দিয়ে উপ-মহাদেশে প্রথমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন এবং পরে ইংল্যান্ডের রাণীর শাসনে চলে। অবশ্য ১৮৫৭ খৃস্টাব্দে এদেশের মুক্তিপাগল মানুষ সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ অপশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। সে যুদ্ধ সিপাহী যুদ্ধ বা প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধ। এ যুদ্ধ কিন্তু সফল হয়নি। স্বাধীনতাকামী অনেক মানুষ সে যুদ্ধে শহীদ হন। অগণিত মানুষ ইংরেজ বাহিনীর হাতে সীমাহীন অত্যাচার-নিপীড়ন ভোগ করেন। এরপর প্রায় একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এদেশের স্বাধীনতাকামী বীর জনতা নানা আন্দোলন, সংগ্রাম ও সশস্ত্র বিপ্লবে যোগ দিয়েছেন। স্বাধীনতাকামী বীর জনগণের অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। সিপাহী যুদ্ধ বা প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের (১৮৫৭) পূর্বে এদেশে ফকির ও সন্ন্যাস বিদ্রোহ (১৭৬০-১৮০০), কৃষক বিদ্রোহ (১৭৯৩-১৮৩৩), ওহাবী ও ফরায়েজী বিদ্রোহ (১৮৩১-১৮৫৭) এবং সিপাহী বিদ্রোহের পরে নীল ও কৃষক বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল ১৮৫৯ থেকে ১৮৬০ সালের মধ্যে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য কোনো বিদ্রোহ বা যুদ্ধে এদেশ দখলদার মুক্ত হয়নি। এদেশে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণআন্দোলন, গণসংগ্রাম ও সশস্ত্র গণবিপ্লবে স্বাধীনতাকামী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত নদীর জোয়ারের ফলে ১৯৪৬ সালের বৃটেনের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী লেবার পার্টি ভারতবর্ষকে স্বাধীনতা দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এভাবে ১৯৪৭ সালের ১৪ ও ১৫ই আগস্ট বৃটিশ ভারত দ্#ু৩৯;টি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র পকিস্তান ও হিন্দুস্থান রাষ্ট্রে পরিণত হয়। আমাদের এই পূর্ব বঙ্গ বা বাংলা পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত হয় এবং নামকরণ করা হয় পূর্ব পাকিস্তান।

দেশ বিভাগের এক বছরের মধ্যেই রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে পাঞ্জাবি শাসকগোষ্ঠী আঘাত করে আমাদের মাতৃভাষা বাংলার ওপর। শুরু হয় শোষণ-বঞ্চনা আর বৈষম্যের করুণ ইতিহাস। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সে শোষণ থেকে মুক্তি পেতে বিক্ষুব্ধ বাঙালির জাতীয় চেতনার প্রথম স্ফুরণ ছিল ‘উর্দুই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’ ১৯৪৮ সালে ঢাকায় জিন্নাহর এমন ঘোষণার প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে, যা ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত পরিণতি পায়। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে বাঙালির বিজয় এবং তা কেড়ে নেয়ার বিরুদ্ধে সংগ্রাম। এসব সংগ্রামের অংশ হিসেবে ১৯৬৬ সালে ৬ দফা তথা স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন, ১৯৬৯-এ গণতন্ত্র ও জাতীয় অধিকারের জন্য গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭০-এ নির্বাচনে বিজয় বাঙালির আত্মনিয়ন্ত্রণের আকাঙ্খার বিস্ফোরণ। জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ৬ দফা থেকে একের পর এক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সত্তরের নির্বাচনে বাঙালির বিজয়। সে বিজয় পাকিস্তানি শাসকচক্র প্রত্যাখ্যান করলে ১৯৭১-এর ১ মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধুর ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ঘনিয়ে আসে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত হয় স্বাধীনতার অমোঘ বাণী “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মূলত সেদিন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। স্বাধীনতার স্পৃহায় জেগে উঠেছিল গোটা জাতি। কিন্তু বাঙালিকে স্তব্ধ করতে ২৫ মার্চ কালরাতে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যায় মেতে উঠেছিল পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। সেই গণহত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের ভাগ্যাকাশে নেমে এসেছিল ঘোর অমানিশা। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হলো বঙ্গবন্ধুকে। তার আগেই গণহত্যা শুরুর পর মধ্যরাতে অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ধানমণ্ডির বাসভবন থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের আগ মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।তাঁর এ ঘোষণাটি ওয়ারলেসযোগে চট্টগ্রামের ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের কাছে তা পৌঁছে দিতে ও প্রচারের জন্য তিনি নির্দেশ দেন। ইপিআর’র ওয়ারলেস থেকে তাঁর ঘোষণাটি প্রচারিত হয়েছিল। চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ মাইকে তা প্রচার করেন। পরে চট্টগ্রামস্থ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২৭ মার্চ, অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক ও মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি তাঁর পক্ষে বেতারে পাঠ করেন। এর সাথে সাথেই শুরু হয় হানাদারদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার চূড়ান্ত প্রতিরোধ লড়াই মুক্তিযুদ্ধ।

৯ মাস ধরে চলা সে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ আর লুটপাটের কলঙ্কিত অধ্যায়ের বিপরীতে রচিত হয়েছিল ইতিহাসের আরেকটি মহান অধ্যায়। সে অধ্যায়ে ছিল মুক্তিকামী বাঙালির অসম সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের বীরত্বগাথা। ১৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে গঠিত হয় স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী সরকার। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অবশেষে ঘনিয়ে আসে বিজয়ের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজির নেতৃত্বে বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে আত্মসমর্পণ করে ৯১ হাজার ৫৪৯ জন হানাদার সেনা। পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নেয় বাংলাদেশ নামে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাঙালি জাতি পায় লাল-সবুজের একটি জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত এবং মানচিত্র। বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের । জাতীয় জীবনে সূচিত হয় নতুন অধ্যায়। এই যুদ্ধ ও বিজয় জাতীয় অগ্রগতির অভিযাত্রায় অন্তহীন প্রেরণার উৎস। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাস জাতীয় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় অনাগতকাল যাবৎ অনুপ্রেরণা যুগিয়ে যাবে। ইতিহাসের নানাপর্যায়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করে, মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা স্বাধীনতা ও জাতীয় প্রতিষ্ঠা অর্জন করেছি। এই স্বাধীনতা ও জাতীয় প্রতিষ্ঠা যাদের রক্ত ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, আজকের স্বাধীনতার এই মাসে , স্বাধীনতার রজত জয়ন্তীর এই সময়ে সেই মুক্তি সংগ্রামী, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। তাদের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

দুই.
বিজয়ের পর ৫৩ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে। দেশ-জাতিকে আর নব্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বলা যাবে না। সঙ্গত কারণেই এই দীর্ঘ সময়ে স্বাধীনতার লক্ষ্যসমূহ আমরা কতটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি সে প্রসঙ্গ ওঠা খুবই স্বাভাবিক। মোটা দাগে স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল : পরাধীনতা থেকে মুক্তি এবং রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক স্বাধীনতা অর্জন। স্বশাসন, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তি ইত্যাদিও ছিল স্বাধীনতার লক্ষ্য বা আকাঙক্ষার অন্তর্গত। এটা সত্য, পরাধীনতা ও পরশাসন থেকে আমরা মুক্তি লাভ করেছি। রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বশাসনের অধিকার অর্জন করেছি। গত ঊনপঞ্চাশ বছরে সামাজিক অগ্রগতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি, খাদ্য উৎপাদন, বিদ্যুৎ খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতিও সন্তোষজনক।এসব ক্ষেত্রে আমরা হয়তো আরো এগিয়ে যেতে পারতাম, যদি দুর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ঝাপটে না ধরতো। কিন্তু আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র এখনো সুপ্রতিষ্ঠিত হয়নি।পাকিস্তানি শাসকরা আমাদেরকে কথা বলতে দিত না। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার তারা হরণ করে নিয়েছিল বলেই আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম, বিদ্রোহ করেছিলাম। সর্বশেষ অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে ওদের পরাজিত করে গণতন্ত্রের সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত করেছিলাম। কিন্তু গণতন্ত্রের সে দুয়ার আমাদের সামনে অবারিত হয়নি। মানুষের মৌলিক ও মানবিক অধিকার, বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা- এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গেলেই মনটা বিষন্ন হয়ে পড়ে। আর তখনই স্বাধীনতার প্রত্যাশা প্রাপ্তির মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। কেননা, গণতন্ত্র এখনো আমাদের কাছে অধরাই রয়ে গেছে। যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা চব্বিশ বছর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, সে গণতন্ত্রের ছবি-ছুরত কী খুব একটা তরতাজা বর্তমান বাংলাদেশে? এ প্রশ্ন থেকেই যায়। গণতন্ত্রের নামে এখন যে শাসন চলছে তাকে কোনো বিবেচনাতেই গণতান্ত্রিক বলা যায় না। সব দলের অংশগ্রহণভিত্তিক একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার বা ক্ষমতার পরিবর্তনের যে ব্যবস্থা গণতন্ত্রে রয়েছে, আমরা তা প্রতিষ্ঠা ও নিশ্চিত করতে পারিনি। বাংলাদেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়ে বসেছিলো । অবশেষে গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পদ ত্যাগ করে। দ্বিতীয়বার স্বৈরাচার পতনের এই সময়কে ২য় স্বাধীনতা বলা হচ্ছে।

আমাদের এই দেশটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার বিপুল সম্ভাবনা বিদ্যমান। মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়া তো সময়ের ব্যাপারমাত্র। কিন্তু গণতন্ত্র, সুশাসন আর মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আমাদের যে অপূর্ণতা তা আমাদের স্বপ্নকে অনেকাংশেই ফিকে করে দিয়েছে। তাই সকল বিভাজন ভুলে দেশ গড়ার কাজে সবাই এক কাতারে এসে দাঁড়াবেন ২য় স্বাধীনতার এই সময়ে এই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, আঁধার ভেদ করে আলো আসবেই।

লেখক : কবি, প্রাবন্ধিক ও সমাজকর্মী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!