দৈনিক ফেনীর সময়

সংবিধান সংস্কারের আবশ্যকতার মত-দ্বিমত

সংবিধান সংস্কারের আবশ্যকতার মত-দ্বিমত

সংস্কার আর সংস্কার। চারদিকে এখন আলাপ কেবল সংস্কার নিয়ে। সংস্কারের বাংলা অর্থ মেরামত, শুধরানো । আরেক অর্থ ভালো করা বা ভালো হয়ে যাওয়া। বাংলা প্রবাদে বলা হয়ে থাকে, ভালো হতে পয়সা লাগে না। তা হলে কী লাগে? লাগে ইচ্ছা। ইচ্ছা থাকলেই হয়ে যায়? না, কখনো কখনো ইচ্ছা থাকলেও ভালো হওয়া যায় না। ভালো হওয়ার আর সময় থাকে না। মানে সুযোগ থাকে না। বহু বছর পর সেই সময়-সুযোগটা ধরা দিয়েছে।

গত এক মাসে যা ঘটেছে, তা ধারনা করাও কঠিন কারো কারো জন্য। কী থেকে কী হয়ে গেল! কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনটি শুরুতে ছিল কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ও শান্তিপূর্ণ। তাদের দাবিগুলো ছিল একদিকে যৌক্তিক, আরেকদিকে সুনির্দিষ্ট বিষয়ে। তারা ক্ষমতার প্রার্থী ছিল না। সরকারের বিদায়ও চায়নি। তারা চেয়েছিল শুধু কোটাপদ্ধতির সংস্কার। কোটার বিলুপ্তি নয়। সরকারের পক্ষে ওই দাবি মেটানো সম্ভবও ছিল। কিন্তু, সরকার তা কেবল অগ্রাহ্যই করেনি। মারমুখি হয়ে হত্যা- দমন-পীড়নে ছাত্রদেরকে প্রতিপক্ষ করে দিয়েছে। আর গোটা সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এর পর যা হবার তাই হলো। নতুন করে বলার কিছু নেই।

বাংলাদেশের ইতিহাসে গণ-আন্দোলন ও গণবিক্ষোভ অনেক হয়েছে, কিন্তু এবারের মতো বলপ্রয়োগ ও মৃত্যু আগে কখনো ঘটেনি। এবার কেবল আন্দোলন সফল হয়নি, পুলিশ-সিভিল-আইনসহ প্রশাসনের দলবাজিসহ করুণ দুর্গতিও ধরা পড়েছে। ভয়াবহসব ঘটনা লুকানো বা আড়াল করা বা কোনো দোহাই দেয়ার সুযোগ নেই। বরং সুযোগ আছে শুধরানোর।

ছাত্ররা সেই সুযোগটা এনে দিয়েছে। গত ১৬ বছরে বিএনপিসহ বিরোধীরা বহু আন্দোলন করেও ক্ষমতাসীনদের একচুল টলাতে পারে না পারলেও ছাত্ররা একটা ক্ষুদ্র স্ফুলিঙ্গও দাবানল সৃষ্টির মাধ্যমে তা পেরেছে। ফলে অন্তর্র্বতী সরকার এসেছে ছাত্রদের আন্দোলনকে মূলধন করে। ছাত্ররা নিরপেক্ষ লোক হিসেবে বিশ্ববরেণ্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে এসেছে। তার সামনে এখন অনেক দায়িত্ব। গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্র্বতী সরকার গঠিত হয়েছে, তারা বিদ্যমান সংবিধানের আলোকেই শপথ নিয়েছেন।বর্তমানে বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্র্বতী, মধ্যবর্তী কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিধান না থাকলেও রাষ্ট্রের জরুরি প্রয়োজনে এরকম একটি অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন করা যায় বলে সংবিধান বিশেষজ্ঞ, আইনজ্ঞ এমনকি সর্বোচ্চ আদালতও স্বীকৃতি দিয়েছেন। যদিও ভবিষ্যতে কেউ এই সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা প্রশ্ন তুলবেন কি না, তা এখনই বলা কঠিন। অন্তর্র্বতী সরকারের বিধান সংবিধানে না থাকায় এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টারা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত শপথবাক্য পাঠ করেছেন। যেমন তারা শপথে বলেছেন: ‘আমি সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ (বা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা) করিতেছি যে, আমি আইন অনুযায়ী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বা উপদেষ্টা পদের কর্তব্য বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিব; আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করিব; আমি সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান করিব। (তৃতীয় তফসিল, ১৪৮ অনুচ্ছেদ)।’ তার মানে তারা প্রত্যেকে বিদ্যমান সংবিধান রক্ষারই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সরকারে , শাসনে, ক্ষমতার রন্দ্রে রন্দ্রে স্তূপীকৃত বিশাল জঞ্জাল সাফ করা তার দায়িত্ব। এটি বিশাল সংস্কারযজ্ঞ। সেইসঙ্গে নতুন কিছু গড়ার বিষয়ও আছে। নতুন ব্যবস্থা প্রবর্তনের ম্যান্ডেট এই সরকারের আছে কি না, এ নিয়ে বিতর্ক পাকছে বা পাকানো হচ্ছে। অভ্যুত্থানেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পলায়ন করেছেন এবং জনগণ ছাত্রদের বৈধতা দিয়েছে। এটা নির্বাচনের বিকল্প। এই বিকল্পটা সাময়িক। সময়টা কত দীর্ঘ হবে, তাও জনগণের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। বেশিরভাগ জনগণের ইচ্ছা, আগের সরকার যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে, সেগুলোর ন্যূনতম মেরামত না হওয়া পর্যন্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না। নির্বাচন ব্যবস্থা পরিপক্ব হওয়ার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠান করলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে। আবার ব্যবস্থা ঠিক হওয়ার পরেও অনেকদিন পর্যন্ত নির্বাচন করা না গেলে তার ফলও শুভ হওয়ার লক্ষণ নেই।

নির্বাচনের আগে কতটুকু সংস্কার করা যাবে, তাও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। নির্বাচন ও সংস্কার পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। সংস্কার না করলে নির্বাচন হবে না, আবার নির্বাচন না করলে সংস্কারের কর্তৃত্ব পাওয়া যাবে না। এখন তাহলে শুরুটা হবে কোত্থেকে? সংস্কারের শুরুটা আসলে হয়ে গেছে। আর সেটা হচ্ছে অনেকটা প্রশাসন কেন্দ্রিক। তাও অদলবদল। চিহ্নিত দুষ্টদের বাড়ি পাঠানো, আর নির্যাতিতদের দায়িত্বে বসানো। এটি একেবারেই আংশিক এবং মামুলি সংস্কার। গোটা রাষ্ট্রেই সংস্কার দরকার। রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নটি সব জায়গায় জোরালোভাবে উঠছে। এর মাঝে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে সংবিধান সংস্কারকে। কয়েক দিন ধরেই সংবিধান পুনর্লিখন বা নতুন করে লেখার বিষয়টি নিয়ে অ্যাকাডেমিক পরিসরে আলোচনা হচ্ছে। ফলে মোটা দাগে কয়েকটি প্রশ্ন—সংবিধান কি চাইলেই নতুন করে লেখা যায়? মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পরে গণপরিষদে যে সংবিধান রচনা করা হয়েছিল,সেই সংবিধান এখন পুনর্লিখনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে কেন? দেশের মানুষ কি মনে করে যে সংবিধান নতুন করে লেখা প্রয়োজন? সংবিধানের ঠিক কোথায় কোথায় পরিবর্তন প্রয়োজন এবং সেই পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য কি গণপরিষদ গঠন জরুরি? জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদেই কি সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা সম্ভব নয়? যে সংবিধানের আলোকে অন্তর্র্বতী সরকার শপথ নিয়েছে, সেই সরকার কি সংবিধান পুনর্লিখন করতে পারে?দেশের নাম, নাগরিকত্ব, রাষ্ট্রভাষা, রাজধানী পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন আছে? এরকম হাজারো প্রশ্ন এখন জনমনে।

১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর আন্দোলনকারী ৩ জোট সর্বজনসম্মত সিদ্ধান্ত নেয় ভবিষ্যতে যতদিন প্রয়োজন নির্বাচনসমূহ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যস্থতায় হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যার সূত্রপাত বিএনপি করল ১৯৯৬ সালে। পরে বিএনপি সংবিধান এমনভাবে সংশোধন করল, যাতে অবসরগ্রহীতা বিচারপতিদের বয়স ৬৫ থেকে ৬৭ বছরে পৌঁছল।এতে বিএনপি তার ঐতিহাসিক দায় নিতে বাধ্য।

এদিকে ত্রয়োদশ সংশোধনীর কল্যাণে আওয়ামী লীগ সেই দায়কে বহুগুণ বৃদ্ধি করল। তারা তত্ত্বাধায়ক ব্যবস্থা উঠিয়ে দেয়। আওয়ামী লীগের ওই সাংবিধানিক গর্ভপাতই যতো নষ্টের গোড়া। শেখ হাসিনার সর্বশেষ অপকর্ম ছিল নির্বাহী আদেশবলে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করা। অবশ্য সম্প্রতি অন্তর্র্বতী সরকার সেই প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করেছে। আবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিও তারা আমলে নেয়নি। বাস্তবতা হলো বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের শুধু সংবিধান বা এর সংস্কার নিয়ে বসে থাকার অবস্থা নেই। ভঙ্গুর অর্থনীতি, হাটবাজার, শিক্ষা, সবদিকেই কাজ করতে হচ্ছে। এ কাজগুলোও এক একটি সংস্কার। কিন্তু, সংবিধান সংস্কার অনেকটাই একাডেমিক বিষয়। তারওপর সংবিধান পুনর্লিখনের দাবি জোরালো হচ্ছে কয়েকটি মহল থেকে। সংবিধানের পুনর্লিখন না করলে দূর্ণীতি গ্রস্থ প্রতিষ্ঠানগুলো সাফ করা যাবে না বলে মত তাদের।

রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের কাজ অবশ্যই জরুরি। নইলে রাষ্ট্রের যেসব প্রতিষ্ঠানকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, সেগুলোকে কার্যকর করা যাবে না। শুধু অন্তর্র্বতী সরকার সবকিছু করতে পারবে না। সেখানে আন্দোলনকারী, আন্দোলনের সমর্থকদের ভূমিকা রাখতে হবে। সরকারপ্রধান হিসেবে একজন সর্বোচ্চ কত মেয়াদে থাকতে পারবেন, সেই প্রশ্নও আছে। একই ব্যক্তি ‘দলীয় প্রধান, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়েও কথা আছে। ক্ষমতা যাতে এক হাতে কেন্দ্রীভূত না হয়, সেই তাগিদ অনেক দিনের। ক্ষমতার কেন্দ্রভূত করার এসব পথ সাংবিধানিকভাবে বন্ধ করা না হলে ভবিষ্যতে একজনের পর একজন স্বৈরাচার জন্মাতেই থাকবে। সংবিধান পুনর্লিখন ছাড়া এ পথ বন্ধ করা যাবে না। এর বিপরীত মতে বলা হচ্ছে, সংবিধান পুনর্লিখন নয়, বরং দেশ ও জনগণের স্বার্থে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব অন্তবর্তী সরকারের নয়। এটি করবে নির্বাচিত সরকার। যুক্তি আছে দুদিকেই।

খসড়ায় হোক আর পুনর্লিখনে হোক, সংবিধানের কয়েক জায়গায় পরিবর্তন-পরিমার্জন আনতেই হবে। ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সময় বাহাত্তরের মূল সংবিধানের মূলনীতিসহ আরও অনেক অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনা হলেও নতুন অনেক কিছু যুক্ত করা হয়। যেমন: ৭ (ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে সংবিধানের এক-তৃতীয়াংশ (৫০টির বেশি) অনুচ্ছেদকে সংশোধন অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। সংবিধানের কোনো অনুচ্ছেদকেই সংশোধন অযোগ্য ঘোষণার এখতিয়ার কোনো সংসদের নেই। কেননা পরবর্তী সংসদ যদি দেশ ও মানুষের প্রয়োজনে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংবিধানে কোনো পরিবর্তন করতে চায়, সেই সুযোগ থাকা উচিত। একটি সংসদ আরেকটি সংসদের এখতিয়ার সীমিত বা সীমাবদ্ধ করে দিতে পারে না।

তাছাড়া কোন সংশোধনীটি গৃহীত হবে কিংবা কোন সংশোধনীটি দেশ ও জনগণের জন্য প্রয়োজন—সেটি নিয়ে বিতর্ক করার মতো শক্তিশালী বিরোধী দল সংসদে থাকতে হয়। গত চার মেয়াদে সংসদে সেরকম কোনো বিরোধী দল ছিল না। বরং ছিল অনুগত বা আজ্ঞাবহ বিরোধী দল। আর সবশেষ গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে গঠিত সংসদের বিরোধী দল ছিল আরও বেশি দুর্বল। এরকম দুর্বল বিরোধী দলসম্বলিত সংসদের সরকারি দল যা খুশি করতে পারে। সংবিধানকে নিজেদের ইচ্ছেমতো এবং নিজেদের রাজনৈতিক অভিলাষমতো সংশোধন ও পরিবর্তন করতে পারে। এসব করতে রাজনৈতিক বিরোধীদল জরুরি। এ সময়ে তার চেয়েও জরুরি প্রশাসন-পুলিশসহ বিভিন্ন সেক্টরে সময়োপযোগী মেরামত। সেইসঙ্গে দেশে-দলে-সরকারে-সংসদে স্বেচ্ছাচারী হওয়ার পথ বন্ধ করার একটি বন্দোবস্ত।

নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংবিধানের কোন কোন জায়গায় পরিবর্তন বা সংশোধন করা হবে, সে বিষয়ে একটি লিখিত ঐকমত্য দরকার। সেটা অন্তর্র্বতী সরকারের মধ্যস্থতায় নির্বাচনের আগেও হতে পারে। কারণ সংস্কার বা মেরামত আরোপ করে হয় না। হওয়া উচিৎও নয়। সাধারণ যুক্তি ও সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে সংবিধান পুনর্লিখন তো দূরে থাক, সংবিধানের একটি শব্দ পরিবর্তনের এখতিয়ারও অন্তর্র্বতী সরকারের নেই। সংবিধানের আলোকে শপথ নিয়ে যারা সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধানে প্রতিজ্ঞা করেছেন, তারা কী করে সংবিধান পুনর্লিখন বা নতুন করে লেখার জন্য গণপরিষদ নির্বাচন দেবেন, সেটি অনেক বড় সাংবিধানিক প্রশ্ন।

বিজ্ঞ মহল মনে করেন, সংবিধান পুনর্লিখন নয়, বরং দেশ ও জনগণের স্বার্থে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা এবং একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার দায়িত্ব আসলে নির্বাচিত সরকারের। বিরাজনীতিকরণ নয়, বরং অন্তর্র্বতী সরকারের উচিত হবে একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিশ্চিত করা, যাতে কেউ পরবর্তীতে সরকার গঠন করে স্বৈরাচারী বা স্বেচ্ছাচারী হতে না পারে।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!