দৈনিক ফেনীর সময়

‘এবার আঁই কন জাগাত যাই থাকুম, কোনয়ানে হথ নাই’

আজহারুল হক :

মাত্র ৩ শতক জায়গায় কোনমতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকছিলেন মাতুভূঞা ইউনিয়নের আশ্রাফপুর এলাকার বাসিন্দা বিবি জোহরা কান্নাজড়িত কন্ঠে নিজের ঘর হারানোর বর্ণনা দিচ্ছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ভাঙন যখন বেশি হয়ে যায় আমি আমার পুরো ঘর উঠিয়ে অন্য জায়গায় সরিয়ে রাখি। এখন এই বৃষ্টির মধ্যে আমি কোথায় যাবো কোথায় থাকবো? ব্রীজটি নির্মানের সময় যখন লোক এসেছিলো আমি তাদের বলেছিলাম কিন্তু তারা কেউ আমার কথা শুনেনি।

দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের আশরাফপুর ও মমারিজপুর এলাকার সংযোগ এর জন্য দীর্ঘসময় পর ছোট ফেনী নদীর উপর নির্মিত কাঠের ব্রীজ সরিয়ে ব্রীজ করা হচ্ছে। আর এ সময় কাজের জন্য ফাইলিং ও মাটি কাটায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আশ্রাফপুর অংশ মমারিজপুর অংশেও ক্ষতি হয়েছে। সাম্প্রতিক বন্যায় নদী দিয়ে পানি নামায় নদীর পাশের ২টি ঘর ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে আরো প্রায় ১৫টি ঘরের বাসিন্দারা ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ তাদের ক্ষতিপূরণ দিবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

একই গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, ব্রীজ করার পর পূর্ব ও পশ্চিম পাশেই ঘরবাড়ি ভাঙছে। এর আগে আমরা কখনো ভাঙন দেখিনি। এই ব্রীজের কাজের পর থেকেই ভাঙন শুরু হয়েছে। কাজ শুরুর আগেই আমরা বলেছিলাম বিষয়গুলো কিন্তু আমাদের কথা শুনেনি।

সাবেক ইউপি সদস্য পেয়ার হোসেন বলেন, এ ব্রীজটি করার সময়ই আমরা বলেছিলাম আরো দক্ষিণ দিকে করার জন্য। কিন্তু তারা ওই পাশের একপক্ষের বাধার প্রেক্ষিতে উত্তর দিকে করেছে। যার জন্য এ ক্ষতির সম্মুখীন আমরা। এটি নিয়ে যদি দ্রুত কোন পদক্ষেপ প্রশাসন গ্রহণ না করে তাহলে আরো বড় বিপদে পড়তে হবে।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা জানান, এ বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!