মো: মহিউদ্দিন :
পরশুরামে শীতের সবজির আগাম চাষে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। বন্যায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শীতের মৌসুমে অগ্রিম ফসল ফলিয়ে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা। কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় জমি খালি থাকায় স্থানীয় বেশিরভাগই কৃষক মাঠে লাগানো সবজির পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৩৭০ হেক্টর বেশির জমিতে আগাম শীত কালীন সবজির চাষ হচ্ছে। শিম, বেগুন, লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো মুলা, মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়স, ধুন্দল ছাড়াও আরও কয়েক ধরনের সবজি চাষ হচ্ছে।
গত বছর আগাম শীতের সবজি বিক্রি করে লাভবান হয়েছে স্থানীয় কৃষকরা। এবারো কৃষকরা সবজির দিকে ঝুঁকছেন। তিনদিন থেকে ভারত বেষ্টিত এ উপজেলায় তিনটি ইউনিয়নের বেশিরভাগই গ্রামাঞ্চলে সবজির চাষাবাদ হয়।
বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের কৃষক রহিম উল্ল্যাহ জানান, আমাদের এলাকা সবজি চাষের জন্যে খুবই উপযোগী। এখনি সবজি চাষের উপযুক্ত সময়। ফলানো সবজি বিক্রি করতে কোনো বেগ পেতে হয়নি। বাজারে গেলেই পাইকারি সবজি বিক্রি করা যায়। কেউই ইচ্ছে করলে বাজারে বসেও বিক্রি করার সুযোগ আছে। বসে বিক্রি করলে উচিত মুল্য পাওয়া যায়।
কেতরাঙ্গা এলাকার কৃষক হাবিব জানান, আগাম সবজি উৎপাদনে খরচ বেশি। বারবার পোকামাকড় আক্রমণ করে, বৃষ্টির কারণে ক্ষতি হয়। তাই ফসলের দিকে সবসময় খেয়াল রাখতে হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিফাত হাসান জানান, আগাম সবজি উৎপাদনে কষ্টও বেশি এবং খরচ বেশি। আগাম সবজির ফলনে কৃষকরা অপেক্ষাকৃত বেশি লাভবান হয়। এবার সরকারি অনুদান দেওয়ার আগেই বেসরকারিভাবে কৃষকদের মাঝে বীজ, সার বিতরণ করা হয়। এছাড়া কৃষকরা নিজেরাই আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কৃষি অফিস থেকে ৫ হাজার কৃষকের তালিকা হয়েছে। তাদের অতি দ্রুত বীজ ও সার প্রদান করা হবে।
তিনি আরো জানান, অসময়ের বৃষ্টি ফসলের কখনো কখনো সবজির ক্ষতি হয়। তাই কৃষকদের সতর্ক থাকতে হয়। পোকামাকড়ের আক্রমন ও অন্যান্য যেকোনো সমস্যায় উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও পরামর্শ দেয়া হয়। বন্যায় ক্ষতি হওয়ায় এবারে কৃষকরা শীত আসার আগেই এসব সবজি আবাদ করছেন। ভালো দামও পাচ্ছেন।