fenirshomoy logo black

নিজস্ব প্রতিনিধি :

ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের এক ক্লিনিক মালিককে জিন্মি করে রাখার খবর পেয়ে গভীর রাতে বাঁচাতে এসে চক্রের কবলে পড়েন এক যুবক। তিনি ওই ক্লিনিক মালিকের নিকটাত্মীয়। ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো তার ভয় কাটেনি। এমনকি তার পরিবার-স্বজনরাও আতংকে দিন কাটছেন।

ওই যুবক জানান, ক্লিনিক মালিককে আটক করার খবর পেয়ে তিনি গভীর রাতে পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার এলাকার বাসা থেকে ছুটে আসেন। এখানে আসলেই তাকে ঘিরে ফেলে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা। তার ক্লিনিক থেকে পালিয়ে যাওয়া ওই মালিককে হাজির করতে তাকে চাপ দেয়। তিনি তার কোন তথ্য জানেন না বলে তাদের জানান।

ওই যুবক জানান, ভোররাতে কোন এক ফাঁকে তিনি ক্লিনিক থেকে বের হয়ে যান। টের পেয়ে তারা পিছু নেয়। তার পূর্বপরিচিত এক যুবক তাকে বাসার সামনে পেয়ে চক্রের অপরাপর সদস্যদের নিয়ে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। বিজয়সিংহ দীঘি সংলগ্ন একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধর করে। একপর্যায়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। তিনি জানান, আটক অবস্থায় মোবাইল ফোনের অ্যাপস এর মাধ্যমে তাদের দেয়া ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের একটি একাউন্টে ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করা হয়। অপর দুটি বিকাশ নাম্বারে দেয়া হয় ২৬ হাজার টাকা। দাবীকৃত চাঁদা পরিশোধ করা হলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তিনি একদিন পর ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগে জিল্লুর রহমান সহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ রয়েছে।

ওই যুবক জানান, এরপর তার পরিবার ও স্বজনদের নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেয়া হয়। গত ক’দিন ধরে তিনি বাসা থেকেও বের হচ্ছেন না। ফেনী মডেল থানা পুলিশের মধ্যস্থাতায় বিষয়টি সুরাহা হয় বলে অপর একটি সুত্র জানায়।

ফেনী মডেল থানার ওসি সামছুজ্জামান অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয় স্বীকার করলেও এর বেশি বলতে চাননি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!